কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১২৪

শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪

গৌরাঙ্গ মোহান্ত

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৭

মাঠের কোমলতা তরঙ্গিত

 

উজ্জ্বল জ্যোৎস্নায় আমার সাথে তুমি বসেছিলে, বাড়ি থেকে স্পষ্ট আমাদের দেখা যাচ্ছিলো; ব্যস্ত হয়ে তুমি ফিরে গিয়েছিলে বাড়িতে, রাতের নীরবতার ভেতর তোমার আঙুল দৃশ্যমান হলে মাঠের কোমলতা তরঙ্গিত হতে থাকে; মনে পড়ে শৈবালের আশ্চর্য সৌরভে আকাশ কীভাবে সবুজ হয়ে ওঠে, সৈকতের বর্ণময়তার পাশে জেগে থাকে স্লাট-বোর্ড বাড়ির কোণ, উয়িন্জলো হোমারের যুবতী ফুঁ ও ডিনার হর্ন।

 

পালকবাতাস 

 

থানাটস কার গৃহে কখন পালকবাতাসের কৃষ্ণতা ছুঁড়ে দেয় তা কল্পনা-অসাধ্য। কালচেতনা মৃত্যুর কাছে মূল্যহীন।আর্নল্ড বক্লিন মৃত্যুর নির্লজ্জ হাসি দেখেছেন, একতন্ত্রী বেহালায় ছড়ানো ছিলো তার অস্থিময় আঙুল, জীবনসূত্রকে কখন সে বাতাসের উদ্দামতায় উড়িয়ে দেবে, বলা কঠিন। তার বেহালার সুর-অনিশ্চয়তার অপেক্ষায় সময় নষ্ট করবার কোনো কারণ নেই। এর চেয়ে বরং কবিতা লেখা যেতে পারে কিংবা ইগনেস স্পিরিদোনের কন্টেমপ্লেশনের বদলে আঁকা যেতে পারে প্রেয়সীর কোনো ছবি।

 

আগুন ও প্রপাতের গ্রীষ্মশব্দ

 

'গাহি তাহাদেরি গান বিশ্বের সাথে জীবনের পথে যারা আজি আগুয়ান!'

আগুন ও প্রপাতের গ্রীষ্মশব্দ আমাদের ডাহুক নদীকে স্রোতবাহী করে। যুদ্ধদিনে শ্বাপদকে বিখণ্ডিত করার জন্য আমরা তুলে ধরি জ্বলন্ত তলোয়ার। সকল যুদ্ধেই প্রতিধ্বনিময় ব্যাগে আমরা বয়ে চলি আগুন। যুদ্ধ শেষে আমরা প্রপাত সন্ধানে বেরিয়ে পড়ি। চিতপুরে গ্রামোফোন কোম্পানির রিহার্সেলরুমে কাননবালাও ছুটে গিয়েছিলেন প্রপাতময় অর্ফিয়াসের কাছে। বকুলপথ পেরিয়ে আমরা যখন শূন্য হয়ে পড়ি তখন অশ্রুজলে মিশিয়ে নিই প্রপাতের গন্ধ!


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন