কবিতার কালিমাটি ১২৩ |
আরেকটু পেরোলে
(১)
জলোচ্ছ্বাসের
উপর
একটু পুড়ে পাওয়া
নিখাদ
হিম হিম
আয়ুজ্যোৎস্না
এবং খাদে পড়া।
একরাতের সুর
সন্ধ্যা থেকে
মোহিদের
ঘরে ঘরে
জ্বললো কি জ্বললো
না!
নাকথার হাত
ছবিজল
জলে জলে
সব দেশ বাড়ন্ত।
মাধবীর জন্যে
আমাদের
একটু স্বপন
একটুই
স্বপ্নে বাইছে
গানে চলা
নিভিয়ে।
হয়তো জলের ভঙ্গি
একটু সরলো
উট হয়ে
নিঃসঙ্গ হয়ে…
(২)
কুদরতের রঙ
ধার ঘেঁষে
এই মোহনায়
নদীর জীবন
গোটাটাই
ধুচ্ছ
ধুয়ে তুলছো
মাটির বাসনায়।
একটা লয়
মৃত্তিকার পাড়
খুলে
ঢালু নাছোড়
দিগন্তের বায়ে
কে যায়
কে যায়!
পরোয়া করে না।
অঘোরের ঘোর
ঘুরে ঘুরে
আহ্লাদের গায়ে
রোদ মাখা
বীতবসন্ত।
এই তো দীঘল
প্রতিবার ছোটে
ছুটে যায়।
শূন্য এসে
পরত লাগায়
চোখের করাতে।
(৩)
ছায়া অন্তর
রশ্মি থেকে
শিশির হেঁটে
বর্ণমা
হেঁটে হেঁটে
অসমাপ্ত।
ওই নিঝুমচাপা
আসমানের মুখ
চাঁদের গন্ধ
আহা! ঝিঁঝিতে।
গন্ধের ডাক
জানলামেয়ে
একলা এসে ফুঁ
দেয়
নিজেকে।
এই বাসামন
দিন কে দিন
ভাষা ভাসা।
জলের খাতা
গাইতে থাকে
জোনাকির চোখ
মুগ্ধ করে…
হয়তো জলের ভঙ্গি
উত্তরমুছুনএকটু সরলো
উট হয়ে
নিঃসঙ্গ হয়ে…
একটি করে লাইন একটি পরিবেশের সারসংক্ষেপ। 👌👌👌👌👌
উত্তরমুছুনপ্রতিটি লাইন যেন আলাদা কবিতা
উত্তরমুছুন