কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২

ইন্দ্রাণী দত্ত পান্না

 

কবিতার কালিমাটি ১২৩


আবছায়া

 

কোনো দূরবর্তী  আবছা তারার সাথে আমার যে কথা

থাকতে পারে তা ভুলে গেছিলাম

অথচ এই অবাধ্য বা স্বাধীন গান ফিরে দেখতে দেখতে বহুদূর পৌঁছে গেছে।

সময়কে মাস ঋতু বছর বা পলে অনুপলে বেঁধে কোনো লাভ হয়নি।

নদীতে চলাচল করছে রঙীন স্টীমার আর জনশূন্য ডেক,

কেবল জল বয়ে যাচ্ছে জলের মতন

হাওয়া ঢেউ তুলছে জলের মতন

কাল বয়ে যাচ্ছে জলের মতন-

এপ্রান্তের কথাবার্তা ঘুরপাক খায় পাঁজরে পাঁজরে

অন্য দেশের ভাষা এসে ভুল বাসে উঠে পড়ে

গণহত্যার পাশে দপ করে জ্বলে উঠছে 'ডিজে নাইট'

খানিকটা দূরে একাকী কালো নৌকাটি দোলে আর তারা খোঁজে

 

ইথারে ভেসে আসছে অসংখ্য উত্তরহীন প্রশ্নচিন্হ

 

গানের পর

 

যখন গান শুরু হল তখন আমার চোখের পাতায় বাসা বেঁধে ফেলেছে

ধূসর নীল নির্জনতা।

আকাশ ঝুঁকে পড়ে রোজ বুঝে নিতে চায় প্রাণ আছে কি না?

এদিকে সেই বেয়াদপ ভালবাসা ভ্রমরের মতো ঘুরে ঘুরে আসে...

এক অনন্ত বারান্দা পার হবার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রোজ আসে

জামদানি বুটিওয়ালা বেদনা সম্ভার,

"অসুবিধা নাই" বলে অপেক্ষায় বসে থাকে ভিনদেশী কাব্যমাধুরী।

যৌনতা বিষয়ক প্রশ্নে কেঁপে ওঠে সুঁড়িপথ, গুহার দেয়াল আর যেন কী

এতটা ব্যক্তিগত ওষ্ঠের রঙ ধরে রাখার মতো তুমি কি যোগ্যতম? 

 

হাওয়া জলের গাথা শেষ হলে গান থেমে যায়

 

ধাতব

 

যদি ধরে নিই এই রাত্রি দিনে গিয়ে ঠেকবে না

আর দিন গিয়ে মিলবে না  প্রত্ন

সন্ধ্যায়

এক অদ্ভুত ধূসর নীল আলো লেগে থাকবে সমস্ত যাপনে।

লম্বা ধাতব গলিপথ পার হয়ে পায়ের আওয়াজ এগোতে থাকবে কেবল।

যে  অভিযাত্রার কোন গন্তব্য নেই গানের শেষ শব্দকে অনুসরণ করতে এসে হারিয়ে যাওয়াই তার ভবিতব্য।

ঢেউ এর মাথায় চন্দ্রাণী বিদ্রোহ এলেকেশে ঘাড় বাঁকিয়ে বসে থাকলে আর কিছু না হোক একটা

দৃশ্য তো হয়।

আর সেই দৃশ্যে গান এসে বসে

সঙ্গে নতুন প্রেম

প্রেম কোনো কথা না শুনে জলে নেমে যায় মত্ত

আর তারপর


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন