কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

প্রশান্ত গুহমজুমদার

 

কবিতার কালিমাটি ১১৮


বেলাছোটোর ক্যাকোফোনি

(১৬)

টুপির অভ্যন্তরে বানারহাট বিন্নাগুড়ি বাস ট্রাক ইত্যাদি এবং সন্ধ্যার ভয়। ফিরিয়া আসিবার আশঙ্কা। ঘরবাড়ি বৃষ্টি ঘোরলাগা পথ ক্রমে এক লাল বারান্দার দিকে। খেলা করিবার সাধ এক কালো বালকের। শীর্ণ হাতে তো ভয় ব্যতিরেকে কিছু নাই। ঐ লাল সাইকেল। কি অপরূপ নির্বাধ, টিংটিং! গন্ধ্রাজের ছায়া দ্যাখে সে। হাত পাতে। সমগ্রটুকু মেলিয়া ধরে। তাহার লাল নাই, স্পর্ধা নাই, সিঁড়ির অবশেষটুকুও নাই। এখন যাহা, মার্বেলের গোলে চলমান সে। আছে, তাহার এই ছায়া আর মাথাভর্তি রাজলক্ষীর হাহাকার আর কামরাঙ্গা আলোকিত বানারহাট তথা অনির্বচনীয় এক টুপি।

(১৯)  

শব্দের খাঁচা। অতুল নামিতেছে। অথবা নৃত্যের ঐশ্বর্যে মৃদংগ। ইহাকে এখন রাত্রি। ইহাকে এখন অমাবস্যা। ইহাকে এখন জন্মের আবৃত্তি পাঠ করিতে হইবে। আমি নাচিবে। আমি জারজ, সুতরাং ইহা মদ ও মাতসর্যে সঙ্গত করিবে। মৃত্যু দেখে নাই। ত্বকের আড়ালে সাদা তরঙ্গ। চামড়ার কোলাহল। জলের অভাব ঘটিলে বরফ আসিবে। বরফের বিকল্পে কোহল। মরু গোলাপের লাল দেখিবে সে এইবার। ঘুমের অভ্যন্তরে সাদা। সাদার আড়ালে অস্বচ্ছ বাতাস। যুদ্ধ তো এ প্রকারেই বিবৃত অদ্যাবধি। হত্যাই শ্রেষ্ঠ আপেল, ইতিপূর্বে যা বহুল আস্বাদিত। অতএব, হে সম্পর্ক, হে পূর্ব, হে ভবিষ্যৎ, কালোর ভিতরে দ্যাখো পোডিয়ামের অনন্ত জিহ্বা। সে, হে আমার মহান আত্মা, এইবার কথা বলিবে এক না-ভাষায়, এক না-গদ্যে। রক্তের আহ্বানে এই রীতিই তো উপযুক্ত।

(২০)

টেবিল সরিয়া যায়। টেবিল আসে। আলোচনা হয়। দশক। অতঃপর দশক। বহু শতকের মেরু উষ্ণ হয়। মেরু শীতল হয়। রুটিসকল ভাগ হয়। মৃত্যু হয়। দীর্ঘ বক্তব্যে স্বীকৃত হিম কার্বাইন। রূপ ক্রমে অরূপে। বরফে রুটি ওড়ে। বরফ। বরফেও রুটি। ক্রমে পোকাসকল।

(২১)

নিস্পৃহ শব্দটি আপাত গোল। কৈশোরযথা। কয়েকটি তীর্যক চিহ্ন অতুল করিয়াছে উহাকে। হাতুড়ি এবং নেহাই মনে পড়ে। মনে পড়ে সময় এবং আগুন। পাঁচ আঙুল ক্রমশ স্পষ্ট। যন্ত্রণা। মৌচাক হইতে উড়িয়া গেল এক ছায়া। বিবাদী কেহ নাই। আহত মাগুরে ভাঙিয়া গেল স্বপ্ন। মূর্খ, শূন্য, সাদা বালির অভ্যন্তরে হাড়, হারিয়ে যাওয়া মাছের। খেলা করি, মা আমাকে খেলা করে, অদ্ভুত ক্রীড়ায় দেখি সাপ, স্পৃহা লতায় লতায়। গোল নহে আর।

 


7 কমেন্টস্:

  1. খুব ভাল লেখা প্রশান্ত দা। দু একটা বানানের গণ্ডগোল চোখে লাগছে। যেমন, গন্ধ্রাজ( গন্ধরাজ)। ১৬ নম্বরটা অপূর্ব।

    উত্তরমুছুন
  2. শব্দদের ইমেজমুক্তি আর বাক্যের যুক্তিভাঙন ভালো লাগলো ।

    উত্তরমুছুন
  3. অনেকদিন পর পড়লাম আপনার কবিতা...খুব লেগেছে

    উত্তরমুছুন
  4. খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে দাদা।

    উত্তরমুছুন