কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ১৭ মে, ২০২০

তানজিন তামান্না



কবিতার কালিমাটি ১০০



কুরিয়ার সিরিজ’র কবিতা



রোদের হেঁয়ালী


প্রেরক             প্রাপক

দিগন্ত             মেঘ ও কুয়াশা

কুয়াশা জমেছে
রোদের হেঁয়ালীতে ঢোলে পড়ে দিগন্ত!
...রেখায় রেখায় কুয়াশা জমলে, শরৎ গুটিয়ে নেয় শিউলীর মেলা। মেলা থেকে ঝরে পড়া এক টুকরো সাদা মেঘ ভেসে আসেন আপনি... বারান্দায় ততক্ষণে আরাম করে বসেছে, আকাশের বাহানা।
মেঘ কি ঝরে যাবে নির্দ্বিধায়?


একাধিক রোদ


সিলিংএ ঝোলানো ডোরবেলটির একমাত্র সঙ্গী বাতাস। স্মৃতি কামড়ায় ছড়ানো ছিটানো রোদ্দুরে...
স্বাক্ষর করে কি পাঠানো সম্ভব, প্রদত্ত হেঁয়ালীর শুভকামনা?



পোড়া ঘ্রাণ

হেমন্তের রোদ শেষমেশ এসে দাঁড়িয়েছে শীতের কাঠগড়ায়। একটি চন্দ্রমল্লিকা কাঁপতে কাঁপতে মিশে গেল কুয়াশায়! পোড়া পাতাদের ঘ্রাণে খোলা মাঠ হেসে ওঠে। দুলে ওঠে বিগত পায়ের চিহ্ন! চিহ্নগুলো ছোঁ মেরে নিয়ে গেল হেমন্তের সুবাতাস!  
এক তুড়িতে কি ফিরবে চন্দ্রমল্লিকা?


ঘুমের ফাঁদ


প্রেরক       প্রাপক
কেচ্ছা       স্বপ্ন তোমাকেই

ঘুম ভেঙে ভেঙে...
কোকিলের বিভ্রান্তিতে ঘাপটি মেরে ছিলো ঘুম। মেহগনি পাতাদের হৈ-হুল্লোড় ঢুকে  পড়ে বসন্তের ভোরে। জাগিয়ে ভোর হেলানো বাতাসে আছড়ে পড়ে ঘুম...  
ঘুম ভেঙে ভেঙে স্বপ্নেরা জেগে থাকে...


মদখোর শীতে


সন্ধ্যামালতীর ঝাড় উজার করে ডাকে কোয়েলের একরাত্রি ঘুম
আদরে আদরে ঝাপসা হওয়া কেচ্ছারা ভুলে যায় শামুক বিকেল...
“আয় তবে সহচরী” নেচে-নেচে, ঘুরে-ঘুরে গেয়ে যায় নিশ্চিহ্ন পা। পায়ের তালুতে বয়ে গেছে বিগত হেঁটে আসা... কেচ্ছারা ফিসফিস করে এই মদখোর শীতে।


আবার পরান বিনিময়ের ডিঙা


মধ্যরাতে ঘুমের বিলবোর্ড খুলে বসি... সবুজ হৈ-হুল্লোড় ঢুকে পড়ে থানা রোডে।
এখানেই বসে টিংকুলেনের মেলা। জানলা খুলে আঁকি দূর হেমন্তের স্মৃতি। আপনার হেঁটে যাওয়া রাতের ফাঁদে ...‘পরান বিনিময়ের ডিঙা’


মোহ


প্রেরক         প্রাপক

রোদ্দুর         গাছের ছায়া

একমাত্র ট্রেন
একটি প্রেম উড়ে গেল মাঠের উপর দিয়ে। একঝাঁক পাখি দেখতে না পারার শোকে, দলছুট হলো মেঘ। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে বসন্ত!
এবং এইসব তথাকথিত বার্তা বয়ে আনলো একমাত্র ট্রেনটি...
দু’দণ্ড শান্তি শেষে আপনিও কি ফিরবেন ঘরে?


অজস্র গভীরতা


হাতের তালুতে বয়ে যাচ্ছে উত্তাপ...
ঝরে পড়া বৃষ্টিরও ছিলো ভয়! রোদ ছিলো মাটির গভীরে।


...তারপর


উদ্ভ্রান্ত রোদ্দুর হাঁটতে শুরু করলো নাটোরের পথে... দু’ধারে মাঠে মাঠে দিগন্ত রেখা  ছিনিয়ে নিতে চায় দু’দণ্ড শান্তির সোনার চাবি! সন্ধ্যা এসে গুটিয়ে নেয় গাছের ছায়াদের।
সপ্তর্ষির মিটিমিটি আলোয় দু’দণ্ড পথ সামনে বিস্তৃত...

2 কমেন্টস্: