জবানবন্দী
রোজ মৃত্যুর ঠিকানা খোঁজে এক অন্ধ শালিক। হরিণের মুখে কুয়াশার মৃতদেহ।
এই দৃশ্যমান বিষণ্নতার দিনেও,
তোমাকে একবার ছুঁতে ইচ্ছে করে পুরুষ।
তোমাকে একবার ছুঁতে ইচ্ছে করে পুরুষ।
কালজয়ী কালপুরুষের ঠোঁটের কোণে অস্তময় পৃথিবীর নীলাভ ছায়া।
নিদ্রাহীন দু’চোখে এখন শুধু অনিদ্রিত স্বপ্নেরা।
ধ্বংসের শেষদিনে শেষবারের মতো মুখোমুখি আমরা।
চিরবাসরের অন্তিম লগ্নে দাঁড়িয়ে
শুধু একবার বলে যেতে চাই আমি
“হে পুরুষ সমস্তটা জয় করেও তুমি আজও আমার কাছে চির অনাঘ্রাত এক বাস্তবিক সত্য”
শুধু একবার বলে যেতে চাই আমি
“হে পুরুষ সমস্তটা জয় করেও তুমি আজও আমার কাছে চির অনাঘ্রাত এক বাস্তবিক সত্য”
উষ্ণতার চেক-মিট
রাতের মোমেরা
সকালে
ক্ষয়িষ্ণু।
শীতকাল, বর্ণহীন বিশ্বায়নের শতাব্দী।
ক্ষয়িষ্ণু।
শীতকাল, বর্ণহীন বিশ্বায়নের শতাব্দী।
বর্ণ শুষে খায় চোরা
অক্ষর মাঝরাতে।
শহর তখন
নিমগ্ন চেক-মিটে।
অভ্যাসে লীন
হয়ে যাওয়াই তো ভালোবাসা,
তারা বোঝে।
শীতকাল তো
কেবল উষ্ণতা শোষে।
পৌষমাসের
রাত্রে মর্তে নামে মা লক্ষ্মী,
ভক্তের খোঁজে।
ভক্তের খোঁজে।
ভারতবর্ষ
নির্ভয়াদের দেশ। নির্ভয়ে এসো মা লক্ষ্মী।
হতে পারো
তুমি দেবী,
কিন্তু এদেশে যে কেবল তোমার পরিচয় তুমি
নারী।
কিন্তু এদেশে যে কেবল তোমার পরিচয় তুমি
নারী।
কথা দিলাম,
প্রতি পূর্ণিমার রাত্রে
আর পূজো নয়
তোমার নামের পাশেও জ্বলবে মোমবাতি।
প্রতি পূর্ণিমার রাত্রে
আর পূজো নয়
তোমার নামের পাশেও জ্বলবে মোমবাতি।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন