‘পরাণের গহীন ভিতর’ বেদনাঘন এক মধুরিমা
সে এক মিস্তিরির গল্প। সেই মিস্তিরি একদিন টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে বিছানায়
শুয়ে শুয়ে রান্নাঘরের পাশের সজনে গাছে একটি পাখি দেখে
জীবনের প্রথম ইট গাঁথলেন। দালান গড়বেন। আর সেই ইটগুলি হলো -
‘‘আমার ঘরে জানালার
পাশে গাছ রহিয়াছে/তাহার উপরে দু’টি লাল পাখি বসিয়া আছে।’’
তখন তাঁর বয়স মাত্র এগারো কি বারো। সেই শুরু হলো গাঁথুনী। মিস্তিরি তো দিনরাত দালান গড়ছেন। সে দালান একদিন মিস্তিরির শারীরিক উচ্চতা ছাড়ালো, সুউচ্চ তাল গাছেরও উচ্চতা ছাড়ালো, বিশাল অট্টালিকাগুলোও নিচে পড়ে রইলো। উঁচু হতে হতে আকাশের কিনারায় গিয়ে পৌঁছালো। কারণ তার কর্মে মিশেছিল বুদ্ধি আর ভেতরে ছিল এক প্রতিভাবান শিল্পী যে দৃষ্টির
মাধ্যমে আয়ত্ব করতে পারতো গভীরতম বোধ। আর মিস্তিরির সুনিপুণ কারিগরি কৌশলে তৈরি করতে পারতো (পারে) কঠিন দৃঢ় দালানের ভিত। তিনি সৈয়দ শামসুল হক।
আমি এক ক্ষুদ্র পাঠক। অনেক অনেক আগে পড়া তাঁর বিখ্যাত সব কবিতা গল্প উপন্যাস কিংবা মঞ্চে দেখা নাটক। অনেক কিছুই বহুকালের চর্চাহীনতায় ভুলে গেছি। কিন্তু তাঁর বানানো
একখান দালান বড় আদরে বড় যতনে বড় অনিচ্ছুক ভাবালুতায় বুকের নিভৃতে গোপনে একটা সুগভীর
রেখা টেনে স্থির অচঞ্চল বসে আছে। যার রং যেন কখনো চটে না। তার রূপ যেন কখনো কমে না। বয়সের সাথে সাথে আরো
বেশি রূপময় হয়ে ওঠে
সে দালান। তার নাম ‘পরাণের গহীন
ভিতর’। তখন বয়স চৌদ্দ কি পনেরো। কিছুই বুঝি না। পড়েছি শুধু। শুধু শুধু পড়ে গেছি। কেন যে পড়তে ভালোলাগে! শুধুই ভালোলাগে। যখন পঁচিশ/ছাব্বিশ বছর বয়স, একটু একটু করে জীবনের গভীরে ঢুকতে
থাকা, বুঝতে শুরু করা। তবু বুঝি না
কেন যেন সব! শুধু কেমন সব এবষ্ট্রাক্ট আঁকিবুকি হৃদয়ের কোণে
কোণে। কী এক বেদনা কেবলই খুঁচিয়ে তোলে। তবু তা বড় ভালো লাগে। বড় আদুরে সে। বড় প্রিয়তম তার প্রাণ। বেদনার সেই গভীর প্রাণময়তাই বুঝি শিল্পীর কাজ। তা না হলে এই সব অতি সাধারণ কথা, সাধারণ
ব্যথাবেদনা, দিনানুদৈনিক সব বিরহ
গাঁথা কী করে এত মনোহর রূপে ধরা
দেয়! কী করে অতি সাধারণ দেহাতি
লোকজ ভাষায় লেখা যায় - ‘‘তোমার সাক্ষাত পাই যেইখানে দারুণ বিরান/ছায়া
দিয়া ঘেরা আছে পরিষ্কার তোমার উঠান/অথচ বেবাক দেখি শোয়া আছে মরণের খাটে।’’ এই বুঝি সেই বিখ্যাত
মিস্ত্রি যিনি কবি গল্পকার নাট্যকার কিংবা ঔপন্যাসিকের ভেতর নিদ্রাহীন দুই পুরুষের
অভিন্ন বসবাসকে স্বীকার করেন। একজন প্রতিভাবান শিল্পী
আর অন্যজন নিপুণ মিস্ত্রি। তাঁর নিজের ভাষায় ‘‘মিস্তিরির দিকটা বুদ্ধি নির্ভর,
আর শিল্পীর দিকটা দৃষ্টি নির্ভর। দৃষ্টি আর বুদ্ধি, এ দু’য়ের রসায়নে হয় একটি ছবির জন্ম, কি একটি কবিতার। দৃষ্টি দিয়ে যা আয়ত্ব করলাম বুদ্ধি দিয়ে তা পৌঁছে দিলাম।’’ তিনি পুরুষ সাহিত্যিক
তাই কথাটা হয়তো এভাবে এসেছে। আমি বলি নিদ্রাহীন দুই
মানুষ। হতে পারে নারীও। কারণ আমি যখন লিখি তখন আমিও নিজের ভেতর ঠিক সেরকম
এক নিদ্রাহীন মানুষের
উপস্থিতি টের পাই। যে গভীর রাতে জেগে ওঠে। কোথাও কখনও দেখা কারো মনোবেদনা তাকে মধ্যরাতে
ব্যাকুল করে তোলে। সেই বেদনাই কখনো মিশে যায় নিজেরই
ভেতরে বহুকাল পড়ে থাকা কোন জং ধরা বেদনার সাথে। মিশে যায় তার রং রূপ আর ক্ষত একই ইজেলে। আর বুকের নিভৃত থেকে উঠে আসে যেন, ‘‘আন্ধার
তোরংগে তুমি সারাদিন করো কি তালাশ?/মেঘের ভিতর তুমি দ্যাখো কোন পাখির চককর? /এমন সরল
পথ তবু ক্যান পাথরে টককর?/ সোনার সংসার থুয়া পাথারের
পরে করো বাস?’’
একা একা গভীর রাতে নিশীথের
রাগ আমায় যেন জাপ্টে ধরে। জানি না তার রং, জানি না তার রূপ। একা একা অনিদ্রার সাথে
বাস। শূন্য ঘর। নিঃসঙ্গ বাতাস আর ব্যাপ্ত নীলাকাশ। আমি খুলে দিই জানালা। নিশীথের সব কষ্ট অনিদ্রার ভার আর শূন্যতার গভীরতা কিংবা
নীলের ব্যাপ্তি আমাকে ভর করে যেন উঠে দাঁড়ায়। আর আমি নিজেরই আরো আরো
গভীরে আবিষ্কার করি নিজেরই অনন্য আরও এক অবস্থান। মনে হয় আমার নিজের কথা আমার বুকের ব্যথাই কইছে যেন কেউ পরাণের গহীন ভিতর,
‘‘কতবার গেছি আমি গেরামের শ্যাষ সীমানায়/আদাড় বাদাড় দিয়া অতিঘোর গহীন ভিতরে/কত না গাছের
পাতা কতবার দিয়াছ বিহবায়,/এমন তো পড়ে নাই পানি পরাণে, শিকড়ে।’’ এরকম পড়া আর বোধের মাঝখানে ভেসে ওঠে আমার মনে আরও অন্য
এক ছবি। আমি দেখেছি অনেক উদাসীন
দুপুরে, হবে হয়তো বা
সেটা চৈত্রের ঘুঘুডাকা প্রাণ উথাল পাথাল করা
কোনো দুপুর - আমার
মাও ‘পরাণের গহীন ভিতর’ পড়তে পড়তে কেমন উদাস চোখ মেলে দিতেন জানালায়। তাঁর সেই দৃষ্টির ব্যথা জানালা গলে নীল আকাশ
পেরিয়ে শূন্যে এঁকে দিত কী এক অব্যক্ত বোধের যন্ত্রণা। এতকাল পরে ঘুরে ঘুরে ফিরে এসে সে আবার বুঝি আশ্রয় করে নেয় আমারই
অন্তরতম বিষণ্নতায়, গভীরে মগ্ন চৈতন্য। আজ এখন
লিখতে বসে মনে পড়লো সেই ছবি আবার। আর একটা নতুন ভাবনার
উদয় হলো-এই কি তবে শিল্পী আর মিস্তিরির কাজ! এমন মহৎ এমন সরল এমন হৃদয় মন্থন - এমনই বিস্তৃতি তার যে দুই প্রজন্মের
দু’টি মানুষের মাঝে অদ্ভুত মনোমুগ্ধতায় নিভৃতে এঁকে দিয়ে যাচ্ছে এক গভীর বেদনাঘন সংযোগ
রেখা। এই বুঝি অমর শিল্প। এই বুঝি তার রূপ। এই বুঝি তার বিশালতা। এটাই বুঝি মিস্তিরির এক দারুণ কৌশল!
অন্তর ছুঁয়ে যাবার মাধ্যমটি
নির্বাচনে কবি কতটা যে পান্ডিত্যের পরিচয় রেখেছেন, তা সনেটগুলো পড়তে পড়তে আমি অনুধাবন করেছি। আঞ্চলিক ভাষায় লেখা সবগুলো সনেট যেন আমাদের
মাটির কাছাকাছি বাস করে। বাস্তব জীবনে আমরা যেমন
মাটির ঘর ছেড়ে দালানে আসি। গ্রাম ফেলে শহরে ছুটে
আসি। টিনের চালের ফুটোফাটা দিয়ে গড়িয়ে পড়া বৃষ্টির জলের চেয়ে ইট বালি সিমেন্টে বাঁধানো ছাদের নিচে অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করি। কিন্তু অনেকদিনের খরার পর প্রথম বৃষ্টির ফোঁটা মাটিতে পড়লে মাটির
সোঁদা ঘ্রাণ যেমন আমাদের পাগল করে, এও যেন তেমনি। তাই কবি যখন প্রশ্ন করছেন, - ‘এলোমেলো চুল’ আর ‘আউলাঝাউলা কেশ’ কি মর্মের ভেতর এক এবং অভিন্ন?’’ তখন
আমি এক শব্দে এর উত্তরে নিজেরেই বলি, “না এক নয়। একই অর্থবহনকারী দু’টি শব্দ অন্তত আমার মর্মের
ভেতর দুটি ভিন্ন মাত্রা নিয়ে প্রবেশ করে। এর একটি সাধারণ অন্যটি ক্ল্যাসিক”। মানুষ বরাবর তার শেকড়ের কাছেই ফিরতে চায়। এটাই তার অবচেতনে মিশে থাকে। আমরা পরদেশে যাবার জন্য কত না কি করি! গ্রামে ভিটেবাড়ি বিক্রি করি, জামানো টাকা পয়সা শেষ করি, লাখ লাখ টাকা খরচ করে ভিসা জোগাড়
করি। তারপর বিদেশ বিভুঁইয়ে
দেশ মাটি আর মায়ের জন্য একবুক হাহাকার নিয়ে গভীর মনোবেদনায় দিন গুনি দেশে ফেরার। মাইকেল মধুসূদন দত্ত একসময় ভাবতেন, ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনা না করতে পারলে
সাহিত্যিক হিসেবে মর্যাদার আসন দখল করা সম্ভব নয়। অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে
নিজের জীবন যাপন পদ্ধতি বদলে নিজেকে নিঃস্ব করে তিনি বুঝেছিলেন শেকড়ের গভীর ব্যাপ্তি। ঠিক এই জায়গাটাতেই (একান্তই আমার মনে হয়েছে) সৈয়দ শামসুল
হক সঠিক ভাষা নির্বাচন করেছেন ‘পরাণের গহীন ভিতর’এর সনেটগুলি লেখার জন্য। এবং কবি নিজেই বলেছেন, ‘‘এই সনেটগুলো লিখতে গিয়ে বারবার আমি অনুভব করেছি
আমার পেছনে অজানা অচেনা লোককবিদের উপস্থিতি”। তাই যখনই পড়ছি, ‘‘পরাণের ভিতরে সুরাখ-/সেখানে কেবল এক ফরফর শব্দ শোনা যায়,/পাখিরা
উড়াল দিয়া গ্যাছে গিয়া, এখন বিরান,/এখন যতই আমি ছড়া দেই কালিজিরা ধান,/সে কি আর আঙিনায়
ফিরা আসে? আর কি সে খায়?’’ তখন সত্যি সত্যি আমার মনের ভেতর কোথায় যেন এক গভীর শূন্যতা
তৈরি হয়। অথবা ছিলই যা শূন্য হঠাৎ যেন ঐ শূন্য প্রাণ পেয়ে যায়। প্রশ্ন আসতে পারে মনে ‘‘শূন্যের আবার প্রাণ!’’ হ্যাঁ ঐ শূন্যতার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করাই বুঝি বৃহৎ/মহৎ লেখকের (কবি/লেখক/ঔপন্যাসিক/নাট্যকার) কাজ। ঐ শূন্যতায় কখন কীভাবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা
করা যায়, এটাই বুঝি সত্যিকারের
লেখকের সারাজীবনের সাহিত্য সাধনার একমাত্র আর চূড়ান্ত লক্ষ্য। সেই শূন্যতার শব্দ একমাত্র
‘সুরাখ’ ‘ফরফর’ ‘বিরান’ ‘গ্যাছে গিয়া’ এই শব্দগুলো ছাড়া
যেন আর কিছুতেই প্রকাশ করা যায় না, কোনোভাবেই যেন দেওয়া যায় না এই নিগূঢ় ব্যথার অন্য ব্যাখ্য।
‘‘আবার ডাকলে পর কিছুতেই স্বীকার হমু না/বুকের পাষাণ নিয়া দিমু ডুব শীতল যমুনা।’’ কী গভীর বেদনায় বুকের নিভৃতে এঁকে দেয় নীল
এক ছবি, আর মিশে যায় তার আর আমার যাতনা একই বিষে! কখনো একা একাই আমি ঠিক একই লাইনগুলো সাধারণ প্রমিত কথ্য ভাষায় (চলিত ভাষায়) বলে বলে দেখি, কী রকম লাগে তার আবেদন! সত্যি বলছি, তখন বড্ড হাসি পায়। অর্থাৎ নিজেরই কাছে
তখন হাস্যকর ঠেকে ঐ সব অসাধারণ শব্দগাঁথা। হয়ে পড়ে একেবারেই স্থূল।
যত বেশি সত্যি যত বেশি অনাড়ম্বর তত বেশি মনের কাছে। যত বেশি অন্তরতম তত বেশি ভালোবাসা। ততই মুখর প্রাণ। কবিতা তো এমন এক মোহনবিষ যা পান করার সাথে সাথে মধুরতা ব্যাপ্ত হয়ে পড়ে মনে আর শরীরে। ঐ বিষটুকুকে মধু বানানোর প্রক্রিয়া জানেন কেবল কবি। সেজন্য তাঁকে চলে যেতে হয় অকৃত্রিমে। পরিচিতের ধারে কাছে। আর পাঠক শুধু জানে সে কোনটাকে বেছে নেবে। কোন বিষটা তার ভেতরে মধুমত্তা ছড়াবে। সচেতনতায় কিংবা অবচেতনে। তাই আমি যখন পড়ি, ‘‘ইচ্ছা করে টান দিয়া নিয়া যাই তোমারে
রান্ধুনি,/তোমার সুতায় আমি একখান নীল শাড়ি বুনি/’’- তখন আমারও বুকের ভেতর এক গভীর বেদনার ক্ষত নীল শাড়ির মতো আঁচল
বিছিয়ে শুয়ে থাকে চেতনার সবগুলো পথ রুদ্ধ করে। সাথে সাথে উঠে যাই যেন এক অধরা আনন্দের ঊর্ধ্বলোকে। এই আনন্দ বোধের গভীরে নতুন কিছু আবিষ্কারের। এই আনন্দ শেকড়ের ভাষার। এই আনন্দ বুঝি দারুণ পাঠেরও। তাই সনেটগুলো পড়তে পড়তে আমার মনে হয়, ‘‘আমারে তলব দিও দ্যাখো যদি দুঃখের কাফন/তোমারে পিন্ধায়া
কেউ অন্যখানে যাইবার চায়/মানুষ কি জানে ক্যান মোচড়ায় মানুষের মন/অহেতুক দুঃখ দিয়া কেউ
ক্যান এত সুখ পায়?’’ এই কথাগুলো অন্য আরও কোনো ভাষায় বলা যায় না কিংবা বললে পাঠকের
বুকের ভেতর ‘ফরফর’ শব্দটিও আর হয় না, সেই মধুমাখা দুঃখটিও পাওয়া যায় না। এই যে বুকের ভেতরে চির
পুরাতন শব্দ পুরাতন ব্যথা দিয়ে নতুন বোধের বাঁধন এই-ই
বুঝি পরাণের গহীন ভেতরের ভাষার সার্থকতা। এই সনেটের ভাষা নিয়ে
বলতে গিয়ে তাই কবি সৈয়দ শামসুল হক নিজেই বলেছিলেন, ‘‘ইংরেজি
ভাষার আওতার ভেতরই একজন মার্কিন নিগ্রো কবি, একজন স্কটিশ কবি, একজন আফ্রিকান কবি যদি
লৌকিক বাকভংগী, শব্দ আর উচ্চারণ ব্যবহার করে সার্থক ও স্মরণীয় কবিতা লিখতে পারেন, আমরাই
বা বাংলায় সে সম্ভাবনা পরীক্ষা করে কেন দেখব না? কখনো কখনো? পাশাপাশি? অথবা একই সঙ্গে।’’ আমি বলব, কবির এই পরীক্ষা চিরকালস্থিত এক অধরা
মাধুরী ছড়িয়ে যুগ যুগ ধরে প্রবহমান রয়েছে মুগ্ধ পাঠকের চেতনায়। জানি না
‘পরাণের গহীন ভিতর’এ আঠারো মাত্রার সনেটগুলো লিখতে গিয়ে ভাষার পরীক্ষায় কবি কি পেয়েছেন! তবে এটা বলতে পারি, বাংলা সাহিত্য পেয়েছে এক অসাধারণ আর সুউচ্চ মাত্রার সাহিত্যাণু
যা সুদীর্ঘকাল ব্যাপী গভীর অনুরণন ছড়িয়ে ব্যাপ্ত হয়ে পড়ছে
কেবলই অন্তর থেকে অন্তরতম লোকে, পাঠকের হৃদয় নিংড়ে বের করে আনছে বেদনাঘন এক অসাধারণ
মধুরিমা।
বহুকাল পরে এক সতন্ত্র কবিতা বইয়ের রিভিউ পড়লাম। লেখিকার জন্য শুভ কামনা।
উত্তরমুছুন