যে
রাত কারো নয়
পাড়ার নেড়িগুলো একজোট হয়ে কাঁদছে
সুর তুলে
আর দোতলার পোষা ল্যাব্রাডর কিছু না বুঝে
অহেতুক চেঁচামেচি করছে তুমুল।
সুর তুলে
আর দোতলার পোষা ল্যাব্রাডর কিছু না বুঝে
অহেতুক চেঁচামেচি করছে তুমুল।
কাকে
নিতে আসছে অন্ধকার, এই শীতের রাতে?
বাইরের বারান্দার দরজাটা বন্ধ করে
হালকা করে পাখাটা চালিয়ে
নাক অবধি চাদরটা টেনে শুয়ে পড়লাম সটান।
ভাবলাম তোমায় নিয়ে একটু স্বপ্ন দেখি
একটু আদর করি।
কেউ বকবে না করলে,
তুমিও না।
তাছাড়া তুমি তো ভালোবাসো বলেছিলে
যদিও তা অনেকদিনের কথা।
হালকা করে পাখাটা চালিয়ে
নাক অবধি চাদরটা টেনে শুয়ে পড়লাম সটান।
ভাবলাম তোমায় নিয়ে একটু স্বপ্ন দেখি
একটু আদর করি।
কেউ বকবে না করলে,
তুমিও না।
তাছাড়া তুমি তো ভালোবাসো বলেছিলে
যদিও তা অনেকদিনের কথা।
পাব
গতকাল একটা আধো অন্ধকার হিম
ঠাণ্ডা পাবে দেখি
জন্মদিন পালন হচ্ছে কেক ফেক সমেত।
তরুণ তরুণীদের হৈ হৈ তালি কানে আসছে
মিউজিক ভেদ করে।
হাংরিরা একবার দুটো ধূপ জ্বেলে
জীবনানন্দ দাশের জন্মদিন
পালন করেছিল বটে এক পানশালায়
যেখানে মেয়েদের ঢোকা ছিল নিতান্ত
বারণ।
আর আজ এতদিন পর
দক্ষিণ কলকাতার এই ঝকঝকে পাবে
আমাদের পাশের টেবিলে
জন্মদিন পালনের সেলফি উঠছে খচাখচ।
ধূপের বদলে জ্বলছে রঙিন হুঁকারা
আর তার লম্বা পাইপ অন্ধকারে খুঁজে
ফিরছে মুখ।
তেড়ে বাজচ্ছে ইংরেজি গান
তার মিউজিকের ঠেলায়
আমার শরীরের ভেতর সব কিছু কাঁপছে
থরথর
বলছে ক্ষেমা দে বাবা, বাইরে চল।
নয়তো নার্ভাস হয়ে আমি স্রেফ
প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলব এইবার।
কেলেঙ্কারি বাঁচাতে রাস্তায় চলে
এলাম
তখনও ঘিলু, বুদ্ধি, রক্ত,
বিষণ্ণতা
ঝনঝন করছে মাথায়।
আমরা কিন্তু শুধু একটু কথা বলব
ভেবেছিলাম।
বাসু মামার বই
বাসু মামা মারা যাবে আমেরিকায়
আর তার বই ভর্তি ঘর কলকাতায়
একা একা ধুলো খেতে খেতে
একদিন বিক্রি হয়ে যাবে।
যা তার বুড়ি মা বহুদিন
আগলে আগলে রেখেছিল।
আমাকে একটা বইও
নিয়ে আসতে দেয়নি কখনো,
‘ওটা তোমার
বাসু মামার বই
হাত দিও না ছেলে’।
বাসু মামার সাথে কখনো দেখা হয়নি
আমার
তাই চুপি চুপি চুরি করে আনা একটা
বই
বইয়ের তাক থেকে চমকে দিয়ে
এখনো চাপা স্বরে বলে
‘আমি কিন্তু
বাসু মামার’।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন