কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৬

পলাশকুমার পাল

স্বপ্ন কবিতা

রাত গভীর হয়
সময়ের বিন্দুতে বিন্দুতে পা রেখে হাঁটি...
স্বপ্ন আদিম হয়...

স্তন পরশহীন পেষণে
ধীরে ধীরে ভারী-
বৃত্তের বাইরে যাওয়ার কোনো পথ নে!

নিতম্বে গড়াগড়ি দিতে দিতে
আকাশের নীলে মন:
নীল ছবিতে নগ্ন মানবী ঘোড়া দৌড়ায়...

আঙুলের চুম্বন
শিশ্নের অগ্ন্যুত্পাত শীতল ঘুম ডেকে নেয়

তবু
কবিতারা স্বপ্নকে ধর্ষিতা সাজায়


মাতৃহারা
   
সৌখিনতার কৌশলে
চিরুণি
প্রত্যহ সঞ্চিত-ময়লা তুলে নেয় অন্তরে-
মুখশ্রী
সুশ্রী হয়ে ওঠে...
প্রত্যহ
ভিতরে বাহিরে
আর চিরুণি?
সঞ্চিত ময়লার শ্রী হারায়...
আয়নার পাশে শুয়ে একঘর
না, এক পৃথিবী রচে-

সমাধিমঞ্চে তুলসী গাছ
পবিত্র
শিকড়ে কোন ইতিহাস পোষে?


পৃথিবীটা ধরো নীল কাগজ

পৃথিবীটা ধরো নীল কাগজ
কাগজের উপরে
কালো মানব মূর্তি শিম্পাঞ্জীর আকার,
মাথাটা উর্দ্ধপানে তুলে ধরে
সাদা চাঁদ চুম্বিতে ধায়...
শিরদাঁড়া তীর্যক
গলাটা হাতের সরলরেখায় ধীরে ধীরে ওঠে,
কাস্তে চাঁদ ঠোঁটেতে ছোঁয়ায়...

পৃথিবীটা ধরো নীল কাগজ
আর আছে সেই মানবীর চিত্র,
যার চোখও নীল ফোকর
কথারা সাদা চুল হয়ে পিঠেতে ঝোলে,
ভাষারা রূপকথার গল্পে
মাঝে মাঝে দৈত্যকে নায়ক সাজায়...


ছাঁকনি
 
ছাঁকনি ধরে আছি জন্ম থেকে-
জল গলে
দুধ গলে
চাও গলে
অসমাপ্ত সময়।

পিঁপড়েরা গলে না তবু।

আকুতি নিঃশব্দে ছটফটে
আকারের দ্বি-সত্তা,

প্রশ্নেরা প্রশ্নেই চাপা পরে রয়...


মহাচোখ
    
সে চোখের কোনো সীমা ছিল না
ছিল না কোনো পলক,
মণিটার পরিধি শিকড় হয় ক্রমে...
অশ্রু সমুদ্রে খোঁজে কী?
মূলত্রে বর্শিতে মাছ ধরে
পাতাহীন শাখা-প্রশাখার বংশবৃদ্ধি-
সব কথা ঝলসে গেছে কবেই,
ডালে বসে তবু সবুজ পাখি ইতিহাস রচে...
মহাকাব্য মহাচোখ-
সমুদ্র-ঢেউয়ে ভাসে মাঠহীন বৃক্ষ
অভিলম্বে দাঁড়িয়ে ভূমি ভরে
নোনতা স্মারক...

https://ssl.gstatic.com/ui/v1/icons/mail/images/cleardot.gif

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন