খুঁজেছি তোমায়
নীতা বিশ্বাস
চাঁদেলাআলো ২৫তলার জানালায় হুড়মুড়িয়ে স্টুডিওঘরের দখলদার। শুরুটা এইরকমই। কেয়াগন্ধ বাতাস একঝলক –- হাই রঞ্জন! মন খারাপ? স্বাতী এলে! চাঁদ ছুঁয়ে এসেছো? কেন! তাকে না ছুঁয়ে এলে আমি ট্রেসপাসার? চলে যাচ্ছি। রাগ? তবে কী ভেবেছো অনুরাগ? ভাবতে পারি না? না। আমি নক্ষত্র। পূর্ণিমাচাঁদালোকে আমি কেয়ার করিনি রঞ্জন, কেয়াগন্ধ ভুলে গেছ? ভ্রুকুটি কোরো না স্বাতী। আমার ২৫তলার জানালায় গ্রীলের বন্ধন নেই, সর্বস্ব খোলা। খোলা আকাশ, খোলা বাতাস, খোলা নীহারিকা নক্ষত্র সব সব -- হ্যাঁ হ্যাঁ ওই নির্বসনা চাঁদও যাকে নেকুপনা করে জোছোনা বলো তোমরা। বাঃ, কবে থেকে এরম হলে স্বাতী? কী রকম? ঐ যে ঠিকঠাক সুন্দর উপমাটি দিলে -- নির্বসনা চাঁদ। নির্বসনা বলেই তো এমন মোলায়েম পিছল আলো। এ আলোতে কতজন যে পিছলেছে জানো স্বাতী! ক-ত- জ-ন ল্যুনাটিক...। অন্য অনেকজনকে জানি না, তবে তোমাকে জানি, যে বারে বারে আছাড় খায়। কতবার যে এই নির্বসনাদের কাছে নির্বাসন চেয়েছো! বসনহীনাদের তো তোমার ইজেলে ক্যানভাসে রঙে তুলিতে যথেচ্ছ যাতায়াত। তাদেরও কি এরকম পিছল আলো শরীর জুড়ে, চরাচর জুড়ে! উহুঁ, শুধু পিছল নয়, পিতল আলো। মানে? জানতে চেয়ো না স্বাতী, সব কথার কি শব্দার্থ হয়! অনুভবার্থ বলেও, ব্যাঞ্জনা বলেও...। অনুভব, ব্যাঞ্জনা -- এসব তো তোমার চিরকালের, শরীরের ওপারেও এক অন্য শরীর... এইসব বাতেলা। আছে আছে স্বাতী। নক্ষত্রের ইগো নিয়ে তুমি কোনোদিন চাওনি দেখতে...। থামো। কোনো নারীর বুকের আগুন তুমি দেখেছো? দেখিয়েছে তোমার ক্যানভাস? দেখেছো তার পিপাসাঘন বুক? বুকের আগুনে জসমিন রাইস ফোটায় সে, পিপাসার্ত শিশু থেকে যাত্রা শুরু করে হদ্দ মুদ্দ বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার পিপাসাও মেটায় সে-ই। দেখার ওপারে এই দেখা কি তুমি কখনো দেখেছ রঞ্জন? মিটিয়েছো তারও খুদপিপাসা? কোনোদিন? তোমরা শুধু তার বুকের ঢেউ গুনতেই জানো। এভাবে বেঁধাও কেন স্বাতী অহোরহ তোমার শজারুকাঁটায়? কী সুখ পাও? বিঁধেছে তোমায়, এই আমার সুখ। এই যে তোমার বিছানায় কাগজে শুয়ে-বসে থাকা পিনোদ্ধতা, স্বচ্ছ সর্বাঙ্গপ্রকটিনী, তাকে কি তুমি ভালোবাসতে জান? না-আ-আ, হাত বাড়িও না স্বাতী, স্বাতীনক্ষত্র আমার।
রঙ-তুলির জীবন্তকে নিয়ে আমি ঝলক বাতাসের তাড়নায় বিশাল নগ্ন জানালায় আছড়ে পড়ি, পড়তে থাকি, পড়তে থাকি, পড়তে থাকি অখন্ড চরাচরের খোলা বুকে, নক্ষত্র পতনের ওপারে নারীর বুকের আদিম থেকে আগুনে, পেয়ভান্ডারের স্নিগ্ধতায় তাকে প্রথম খুঁজতে, পেতে...
চাঁদেলাআলো ২৫তলার জানালায় হুড়মুড়িয়ে স্টুডিওঘরের দখলদার। শুরুটা এইরকমই। কেয়াগন্ধ বাতাস একঝলক –- হাই রঞ্জন! মন খারাপ? স্বাতী এলে! চাঁদ ছুঁয়ে এসেছো? কেন! তাকে না ছুঁয়ে এলে আমি ট্রেসপাসার? চলে যাচ্ছি। রাগ? তবে কী ভেবেছো অনুরাগ? ভাবতে পারি না? না। আমি নক্ষত্র। পূর্ণিমাচাঁদালোকে আমি কেয়ার করিনি রঞ্জন, কেয়াগন্ধ ভুলে গেছ? ভ্রুকুটি কোরো না স্বাতী। আমার ২৫তলার জানালায় গ্রীলের বন্ধন নেই, সর্বস্ব খোলা। খোলা আকাশ, খোলা বাতাস, খোলা নীহারিকা নক্ষত্র সব সব -- হ্যাঁ হ্যাঁ ওই নির্বসনা চাঁদও যাকে নেকুপনা করে জোছোনা বলো তোমরা। বাঃ, কবে থেকে এরম হলে স্বাতী? কী রকম? ঐ যে ঠিকঠাক সুন্দর উপমাটি দিলে -- নির্বসনা চাঁদ। নির্বসনা বলেই তো এমন মোলায়েম পিছল আলো। এ আলোতে কতজন যে পিছলেছে জানো স্বাতী! ক-ত- জ-ন ল্যুনাটিক...। অন্য অনেকজনকে জানি না, তবে তোমাকে জানি, যে বারে বারে আছাড় খায়। কতবার যে এই নির্বসনাদের কাছে নির্বাসন চেয়েছো! বসনহীনাদের তো তোমার ইজেলে ক্যানভাসে রঙে তুলিতে যথেচ্ছ যাতায়াত। তাদেরও কি এরকম পিছল আলো শরীর জুড়ে, চরাচর জুড়ে! উহুঁ, শুধু পিছল নয়, পিতল আলো। মানে? জানতে চেয়ো না স্বাতী, সব কথার কি শব্দার্থ হয়! অনুভবার্থ বলেও, ব্যাঞ্জনা বলেও...। অনুভব, ব্যাঞ্জনা -- এসব তো তোমার চিরকালের, শরীরের ওপারেও এক অন্য শরীর... এইসব বাতেলা। আছে আছে স্বাতী। নক্ষত্রের ইগো নিয়ে তুমি কোনোদিন চাওনি দেখতে...। থামো। কোনো নারীর বুকের আগুন তুমি দেখেছো? দেখিয়েছে তোমার ক্যানভাস? দেখেছো তার পিপাসাঘন বুক? বুকের আগুনে জসমিন রাইস ফোটায় সে, পিপাসার্ত শিশু থেকে যাত্রা শুরু করে হদ্দ মুদ্দ বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার পিপাসাও মেটায় সে-ই। দেখার ওপারে এই দেখা কি তুমি কখনো দেখেছ রঞ্জন? মিটিয়েছো তারও খুদপিপাসা? কোনোদিন? তোমরা শুধু তার বুকের ঢেউ গুনতেই জানো। এভাবে বেঁধাও কেন স্বাতী অহোরহ তোমার শজারুকাঁটায়? কী সুখ পাও? বিঁধেছে তোমায়, এই আমার সুখ। এই যে তোমার বিছানায় কাগজে শুয়ে-বসে থাকা পিনোদ্ধতা, স্বচ্ছ সর্বাঙ্গপ্রকটিনী, তাকে কি তুমি ভালোবাসতে জান? না-আ-আ, হাত বাড়িও না স্বাতী, স্বাতীনক্ষত্র আমার।
রঙ-তুলির জীবন্তকে নিয়ে আমি ঝলক বাতাসের তাড়নায় বিশাল নগ্ন জানালায় আছড়ে পড়ি, পড়তে থাকি, পড়তে থাকি, পড়তে থাকি অখন্ড চরাচরের খোলা বুকে, নক্ষত্র পতনের ওপারে নারীর বুকের আদিম থেকে আগুনে, পেয়ভান্ডারের স্নিগ্ধতায় তাকে প্রথম খুঁজতে, পেতে...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন