নদীর কাছেই শেখা
নদীকে ভাবতে গেলে নদী শূন্য হয়ে যায়
পরিধি বেড়ে গিয়ে শূরার সৈকত
চিন্তিত সেনাপতির উন্মুক্ত তলোয়ার
শুকনো শিরায় বিলায়
অবাঞ্ছিত শুশ্রূষা...
কেবলই নদী আপন ছলাৎ ছলাৎ।
নদীপথ শিখিয়েছে নির্ভেজাল আদর্শ
মাতৃত্বের জলসুধা
মনীষীর জীবনী
নব নব আবিষ্কার;
নদীর পানি শিখিয়েছে তৃষ্ণার্ত সাঁতার
জমজম তৃষ্ণা
গঙ্গার পূজনীয় ঢেউ
নায়াগ্রার শব্দ দৃশ্য।
নদীকে ভাবতে গেলে নদী শূন্য হয়ে যায়
অথচ, একটা নদীর শূন্যতা বোঝেনি মানুষ!
প্রস্তুতি
সমস্ত সুখ যে গলিতে, সেই গলিতে একটা বাসা বানাবো। আর্টফিল্মে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির চেয়ে আরেকটু পুরনো সে বাড়ি। ঘরের খাটে দুটো বালিশ থাকলেও, নিয়ম করে একটা বালিশের উপর আরেকটা বালিশকে সহোদর বানিয়ে তার উপর মাথা রেখে আমি ঘুমাবো ভাবছি। বালিশের কভারে ছাপার অক্ষরে লতাপাতা-ফুল-পাখি-ফড়িং-প্রজাপতি আঁকা। মনে পড়ে না, কখনও আমার পাশে কোনো সিংহী ঘুমিয়েছে কী না! বালিশের কাপড়ে নারীর কোনো প্রতিকৃতি ছিল কী না! অদ্ভুত শহরে পালিয়ে যেত ওইসব বালিহাঁস পরা বিছানা।
সমুদ্রের ঠোঁটে পুরোদস্তুর হাসি দেখতে পেয়ে একটা রাজ্য ডোবে। শহর হয়ে যায় আদি পুস্তক, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত আত্মা। নদীর চামড়া শুকিয়ে বালি হলে, অথবা চোরাই সাম্রাজ্যের হাতে যখন উজাড় হবে শালবন, তখন না হয় সেই বাড়িটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে আমার ভ্রূণের সন্তান।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন