কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

জ্যোতির্ময় মুখোপাধ্যায়

 

কবিতার কালিমাটি ১২২


তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল

 

কবিতা নিয়ে। লেখা নিয়ে। যখন আমি ঘুমের ভেতর ঘুম থেকে জেগে উঠলাম একা। যথারীতি তিনি বসেছিলেন আমার বুকের উপর। পদ্মাসনে। বললেন, কবিতাটা পড়লাম তোর। ভালো হয়েছে, মোটামুটি। তবে কী জানিস তো, বাংলা কবিতার মূল সুর ন্যাকামি, নেতানো, বানিয়ে বানিয়ে লেখা। কোনও দর্শন নেই,  খোঁজ নেই‌। বেশিরভাগই, সব নয় কিন্তু। লিস্ট দিতেই পারি, কিন্তু আপাতত থাক, যে কথাটা বলতে চাইছিলাম তোকে, সেটাই স্পষ্ট করে বলি, যদি কবিতা লিখতে চাস, তাহলে কবিতা থেকে বাইরে বের হ, অত কবিতা লিখতে চাস না তো, লেখা! লেখা তোর কাজ নয়, জাস্ট প্রতিক্রিয়া। ভাবনার ভেতর ডুবে মর  আর দেখ। খোঁজ জরুরি, ভেতরে ও বাইরে। গোল গোল করে বৃত্ত এঁকে আর কতদিন চালাবি? গাধা!

 

টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে আর জ্বর

 

এই কম্বিনেশনে যেটুকু ঠাণ্ডা হাওয়া

তাতে আচমকা ছোঁ মেরে যায়

থেমে থেমে কাঁপুনি

এমন দিনে যত এঁটোকাঁটা ভাবনার

ভেতরে ভেতরে ভাঙচুর হতে থাকে

গড়তে থাকে সংলাপ

যাবতীয় কথা, নিজের সঙ্গে নিজের

কাঙাল সহজে, আমি শুভেন্দু চৌধুরী পড়ি

 

'যদি একদিন বর্ণমালা ভুলে যাই, তবে কি বিগ্রহ, ভাষা আমাকে দূরে ঠেলে দেবে? অমন পাগল দিনে তবে কার কাছে যাব বলো? এই শীতে, এই উষ্ণতায়?'

 

সভ‍্যতা

 

যতটা পারো পেটের ভেতর হাত সেঁধিয়ে দাও

একটু পরেই মা-বিড়াল

খেলা করবে তার ছায়ার সঙ্গে

যতটা দীর্ঘ হবে আমাদের খুশি

ঠিক ততটাই বেঁচে থাকা পাঠানো হবে

মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন