কবিতার কালিমাটি ১২২ |
স্ব কাল
কিছু কিছু ছাইয়ে
জেগে থাকে
আঁচের নিস্তব্ধতা
ভেতরের জ্বরের
মতো নিঃস্বর
কোন প্রকার
উপমাবিহীন,
শুধু অপেক্ষার
শিল্প বুনে
হরফের চিলেকোঠায়।
নিমিত্ত
এই নিরস্ত্র
হাত দেখে
একটি গোলাপের
মৃত্যু
কীভাবে শ্বাসনালীর
পাশ থেকে
একটু একটু করে
ঝরে পড়ে
পাপড়ি হৃদপিণ্ড।
অভিশপ্ত আমি
ঋণস্বীকার করিনি
বলে
আজীবন সুখে
থাকার অভিশাপে
কবিতা আমায়
নির্বাসন দেয় নরক থেকে
ঋণস্বীকারের
ভাষা শিখতে
আমি পাথর ভিক্ষা
করি
আর প্রতিটি
বৃষ্টিকণায় লিখে রাখি
নিজের প্রস্তুতিপর্ব।
এই আমি
কেউ পড়ুক বা
না পড়ুক
কেউ শুনুক বা
না শুনুক
কেউ বুঝুক বা
না বুঝুক
আমি নিজস্ব
রুচিতে ঝলসে যেতে থাকবো
অনিঃশেষ বর্ণমালার
চিতায়।
চিন্তা
আমি ঘরের ভিতর
আগুন জ্বেলে
বাইরে খুঁজি
তাপ
স্মৃতিগুলো
সব আগুন গিললো
মেধায় লাগলো
শাপ।
যাপিত বিকেল
বৃষ্টির সমাপনান্তে
পাখিদের সুরের
চূড়ান্ত পর্যায়
পাতাদের শরীর
থেকে
ঠিকরে বেরোয়
অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস
দূর্বাঘাসের
মতো মাথা উঁচিয়ে থাকা
একটা গল্পময়
বিকেল
আমি ক্লাইমেক্স
খুঁজি মগজের ভিড় সরিয়ে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন