কবিতার কালিমাটি ১২২ |
সন্ধি
ধ্রুপদী আকাশ
থেকে ছিটকে যায় বিদ্যুৎলাগা তরঙ্গসমূহ...
এক পশলা বৃষ্টি
এলে জানলা খুলে গৃহস্থালির উপর বইয়ে দিলে
নিশ্চিত হালকা
হয় মেদহীন দেওয়ালের শরীর, মেঝের বুক …
বৃষ্টিচূর্ণ
লেগে লেগে বাদামখোসার মত মিইয়ে আসে
মাথার ডৌল,
তছনছ এলোচুলের সংসার
বিবর্ণ আঙুলে
আংটির মত
সন্ধিতে জড়াতে
চায় শুধু...
অন্বেষণ
অতঃপর ঝুঁকেপড়া
অন্বেষণ থেকেও মাটি উঠে আসে,
মাটিই উঠে আসে
আগে সরজমিন তদন্তে
আত্মপ্রতিকৃতির
উপর ঝুঁকে পড়া
কুমারীর ভিজে
শ্বাস, সেও তো অন্বেষণ…
লাঙলফলার বিরানমাঠে
ফসলের নকশায়
নবজন্মের অন্বেষা।
এবার ফুল ফোটার
দিকে চেয়ে আছে শিউলির বাঁজা গাছটা
সারা গায়ে আদিম অদ্ভূত স্বস্তি নিয়ে
আমরা তাহলে
আবার হেঁটে যাব শিউলিতলা…
পা বাড়িয়েই
আছে অন্বেষণের পথে
একটুকরো দীদার
পাথরবন্দী আদিমতা
(১)
প্রথম সতী হওয়ার
থেকে আগুন চিনল নারী
তার আগে আগুন
ছিল
পাথরবন্দী আদিমতা…
(২)
এক নজরে তাকালে
কাঠপুতুলি আর নজরে আসে না
যা আসে তা হল-
মানুষের ছদ্মবেশে
এক একটি কাঠুয়া প্রাণ!
(৩)
যান্ত্রিক করাতের
সুরে ছাদ পর্যন্ত নড়ে ওঠে, জন্মান্ধের বিবেক নড়ে না
বিরল প্রতিভারা
স্বার্থপর আঁচলের স্নেহছায়ায় বাড়বে যতক্ষণ
সংখ্যায় বাড়বে
বৃদ্ধাশ্রম
(৪)
হাঁড়ির জল...
শুকিয়ে গেলে ভাতও ফুটে যায়
সন্তানের খিদে
মিটিয়ে শেষে মায়ের খিদে
সেও ঘুমন্ত
নাকি ভান?
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন