কবিতার কালিমাটি ১২১ |
বন্ধন
পারদসংক্রমণের
বিজ্ঞাপন দেখে
জ্যান্তউৎসব
টানটান
এখন কি আর চলে
'ম' বর্ণের আমোদ!
মনের বাইরে
ঝাঁকি দিচ্ছে ভ্রম
বিছানার রিলেটিভের
চালনায় সূর্যাস্তের ঠেকও
সন্ধি করছে
আকাশের নীচে
আমি সেসব দুধের
ফোঁটায় রাখিনি
তবু বিশ্বের
প্রাচীনতম নক্ষত্রের এ হেন মুণ্ডুছেদ
নামিয়ে আনছে
কল্পনাতীত ঘুম
খণ্ডন ভব বন্ধন...
কেঁপে উঠছে
দৃশ্যের যাবতীয় অর্গল
দীর্ঘস্বর
থেমে থাকার
দীর্ঘস্বরটি
প্রলম্বিত করে
সকালের শিউলি ফুল
ফুলটিকে গোলাম
বানিয়েছে বাতাসের যে লজিক
পরাগবেণু বেজে
উঠেছে তাতেই
অথচ বাঁশেরগাঁট
পাতার ভাষায় সাজিয়েছে
অন্ধনাভির দীর্ঘতা
সাফল্যের নোয়া
স্নায়ুর কাছে
পড়ে তৃষ্ণার
শুকনো আলজিভ
তাকে এইবার
বিরহের ছায়া
দিও
উপপাদ্য
যে কোনোও উল্লাসের পর বামন
লাফানদড়ির সুখ
উপহাস্যের মনিকাঞ্চনে
এটুকু উপপাদ্য নিয়ে যারা জাগলো
বিলিয়ে গেল চৌহদ্দির শুভেচ্ছাবার্তা
কতটা কৌতুক
নীলাভ রাতের মায়ায়
কতটা সম্মোহনে
ঠেলাগাড়ির ঘুঙুর বাজে সারথির স্বেদজলে!
চৌম্বকীয় অসুস্থতা
জেনেও
এইসব আকর্ষণের
প্রতি মাছের ভঙ্গিমা
অবশেষটুকুর
জন্য শুধু লিখে রাখি জালকাটা কথা
শিখার প্রতি
উৎসর্গ করে
হাসে মরাল
মরালগামিনী
ছায়াটি তবে
বালির অংশে
আর হাড়ের ভেতর
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন