সমকালীন ছোটগল্প |
নিরুদ্দেশ
জীবনটা আস্তে আস্তে কখন যে সুনীল নারিনের অভিব্যক্তির মত
হয়ে গেছিল অর্জুনের, ও নিজেও বুঝতে পারেনি! আনন্দে হাসি নেই, দুঃখে কান্না নেই!
প্রতিদিন সেই একই রুটিন, টিফিন করে অফিসে আসা, অফিসে ফাইল সামলাতে সামলাতে লাঞ্চ
টাইম, তারপর আরও কিছুক্ষণ ফাইলের কাজ সামলে টাউন সার্ভিস বাস ধরা, তারপর ট্রেন,
তারপর বাড়ি ফিরে সেই ছেলেমেয়ে আর বৌ-এর একই মুখ। দিন পেরিয়ে যাচ্ছিল এভাবেই। শোভা মাঝেমধ্যেই
ছেলেমেয়েকে পড়াতে বসিয়ে বাঁকা কথা শোনাতো অর্জুনকে, সংসারের প্রতি ওর উদাসীন
দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ছেলেমেয়েদের বোঝাতো। ছেলেমেয়ের মনে বাবার প্রতি ঘৃণার বীজ তৈরী
হতে দেখেও চুপ করেই থাকতো অর্জুন, বিশেষ কিছু মন্তব্য করতো না। কিন্তু সেদিন রাতে ধৈর্যর
বাঁধ ভাঙলো। খাওয়ার টেবিল থেকে শুরু হওয়া ঝগড়া গড়ালো প্রায় মাঝরাত অবধি। নীচের
ফ্ল্যাটের মিত্তির গিন্নী এসেও সে ঝগড়া থামাতে পারলেন না।
পরেরদিন সকালে উঠে যথারীতি রেডি হয়ে অফিস চলে গেল অর্জুন।
ছেলে এসে মা’কে জানালো, বাবা খাবার না খেয়েই বেরিয়ে গেছে। ঘরের অন্যান্য কাজ করতে
করতে শোভা এসে দেখলো, ডাইনিং টেবিলে লাঞ্চের টিফিন ক্যারিয়ারটাও পড়ে রয়েছে।
আজ অফিসে একটুও কাজে মন বসেনি অর্জুনের। ফাইলগুলো অলস
জন্তুর মত ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থেকেছে ওর দিকে। আর মাথায় ঘুরপাক খেয়েছে ঝগড়ার
সময় বলা শোভার সেইসব কথাগুলো যেগুলো শোনার জন্য স্বপ্নেও প্রস্তুত ছিল না ও, যে
কথাগুলো একেকটা বিষাক্ত কাঁটার মত বিঁধেছিল ওর বুকে। লাঞ্চের সময় ওকে চুপচাপ বসে
থাকতে দেখে কয়েকজন কলিগ জানতে চেয়েছিল টিফিন আনতে ভুলে গেছে কিনা। ক্লার্ক
অনিরুদ্ধ তো আরেক কদম এগিয়ে জিজ্ঞাসা-ই করে বসেছিল, “কি বিশ্বাসদা, বৌদির সাথে
ঝগড়াঝাটি হয়েছে নাকি আজ?” কোনোমতে মলিন হাসি হেসে ঘাড় নাড়িয়ে ‘না’ বোঝাতে
হয়েছিল।
অফিস শেষে আজ অন্যান্য দিনের মত টাউন সার্ভিস ধরলো না
অর্জুন। অভুক্ত অবস্থাতেই ব্যাগ কাঁধে হাঁটা দিল বাড়ি ফেরার বিপরীত রাস্তাটাতে। এই
রাস্তাটাতে যাওয়ার অনেক বছরের ইচ্ছা ছিল ওর, কিন্তু বাড়িতে একটু বেশী সময় দেওয়ার
তাগিদে একটুও দেরী না করে টাউন সার্ভিস ধরে গেছে বছরের পর বছর। মোবাইলটাকে অফ করে আজ
সেই রাস্তায় হাঁটতে শুরু করলো ও। দু’পাশে সারি সারি দোকান, মানুষের ভিড়, বাস,
ট্যাক্সি, মোটোর বাইক সবকিছু কাটিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলো। বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নামলো
অচিরেই। রাস্তা কখনও বাঁয়ে, কখনও বা ডানে বেঁকে যেতে যেতে এসে দাঁড়ালো শান্ত নদীর
ধারের অন্ধকার কোণটাতে। সন্ধ্যায় নদীর ধারে নানান বেআইনি কাজকর্ম হয় বলে শোনা যায়,
তাই এই সময়টাতে নেশাসক্ত ছেলেছোকরা, শরীরগন্ধী প্রেমিক-প্রেমিকা আর কিছু সদ্যোজাত
ক্রিমিনাল ছাড়া অন্য কারো দেখা মেলে না। সেসব কিছু ভাবছিলোই না অর্জুন, চুপচাপ
গিয়ে বসলো মাটিতে। নদীর অন্যপারে বিশাল মেলা হচ্ছিল কী একটা উপলক্ষ্যে যেন। নাগরদোলা, আলোর রোশনাই,
অজস্র স্টল আর অগুন্তি মানুষ। একদৃষ্টে সেদিকে তাকিয়েছিল যখন হঠাৎই
একজনের কর্কশ কন্ঠস্বরে ঘোর কাটলো, “ঘুগনি খাবেন দাদা? একেবারে ঝাল-টক-লেবু-চানাচুর
দিয়ে ঝ্যাক্কাস করে বানিয়ে দেব।” সকাল থেকে পেটে দানাপানি কিচ্ছু পড়েনি, অথচ
ক্ষিদেও ছিল না, অথচ আলো-আঁধারিতে ঘুগনিওয়ালার চোখমুখের দিকে তাকিয়ে কেন জানি না ‘না’ বলতে পারলো
না অর্জুন। সম্মতি পেয়ে মাথা থেকে ডেকচি নামিয়ে ঘুগনি মাখাতে লাগলো মাঝবয়সী ঘুগনিওয়ালা। “এদিকে বেশীক্ষণ থাকবেন না, আজকাল প্রায়ই পুলিশের রেড
হয়। জায়গা ভালো নয়, জানেন নিশ্চয়ই?” ঘুগনিওয়ালার প্রশ্নের কোনো উত্তর এলো না। থার্মোকলের পাতায় ঠান্ডা
ঘুগনি ধরিয়ে দিয়ে দশটাকার একটা নোট বুকপকেটে ভরে গান গাইতে গাইতে চলে গেল
ঘুগনিওয়ালা। খাওয়া শেষ করে পাতাটাকে ছুঁড়ে ফেলে একটা সিগারেট ধরায় অর্জুন।
আজকাল সিগারেটও কেমন যেন বিস্বাদ লাগতে শুরু করেছিল, কিন্তু আজ লাগলো না। ভুরভুর
করে ধোঁয়া ওড়াতে ওড়াতে ওপারের মেলায় যেতে ইচ্ছা হল ওর, অকারণ। কিন্তু এত রাতে, আশেপাশে
ফেরিঘাট নেই, ব্রিজও নেই! সিগারেটটা শেষ করে একটু অস্থির হতেই চোখে পড়লো একদল লোক হাতে
হ্যাচাক-লন্ঠন নিয়ে নদী পারাপার করতে নামছে। একমুহূর্তের জন্য স্থান, কাল ভুলে
সেদিকে ছুট দিল ও। মেলার যাত্রাপার্টির সাথে হেঁটে গ্রীষ্মের চড়া পড়ে যাওয়া নদী পার হয়ে ওপারে গিয়ে উঠলো। অসংখ্য মানুষের ভিড়ে এদিক-সেদিক দেখতে দেখতে হেঁটে যেতে থাকলো উদ্দেশ্যহীন।
মানুষের আনন্দ-উচ্ছ্বাসে কোনও কমতি নাই, আলোগুলো গড়িয়ে পড়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে
বিন্দু বিন্দু ঘামের মত আর যৌবনের ফেলে আসা দিনগুলোর রঙীন গন্ধ আধভিজে জামার
বুকপকেট ছুঁয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে কেমন ধীরলয়ে! অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অর্জুন। নাগরদোলার
ওঠানামা, বুদ্বুদের বেলুন উড়ে যাওয়া আর কালো আকাশে স্থির নক্ষত্রদের দেখার সময়ই
কারোর কাঁধের ধাক্কায় অফিসব্যাগের স্ট্র্যাপটা ছিঁড়ে যায় ওর। সম্বিৎ ফেরে। জিলাপির স্টলের
সামনে অনেক অনেক মানুষের মাঝে নিজেকে খুঁজে পায় ও, আর কেউ যেন অনেকক্ষণ গলা ফাটিয়ে
ডাকার পর ওর জামার আস্তিনটা ধরে ফেলে! “অর্জুন, আরে কতক্ষণ ধরে ডাকছি শালা! কী করছিস এই
চড়কের মেলাতে?” কানে তখনও
নিজের নামের প্রতিধ্বনির রেশ, চোখ গুগল সার্চ করে যাচ্ছিল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা
মানুষটার ব্যাপারে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হল অর্জুন, মাটি থেকে ব্যাগটা কুড়িয়ে
নিয়ে বললো, “থ্রী এম, তুই এখানে, এত বছর পর!” নীল পাঞ্জাবি, সাদা পাতলুন পরা কাঁচাপাকা
চুলদাড়ির ছিমছাম মানুষটি নিজের কালো ফ্রেমের চশমাটাকে একটু ওপরে তুলে নিয়ে বললো, “ঠিক
চিনেছি! অর্জুন। মেলা ঘুরতে এসেছিলাম রে বোনপো’কে নিয়ে। তা তুই এইদিকে? কী ব্যাপার? ফেসবুকে
তেরো বছর ধরে
খুঁজছি তোকে! ঐ ফাঁকাটাতে চল, বসবো।” অর্জুন ঘাড় নাড়িয়ে সায় দিতেই তিনজনে মিলে
এগিয়ে যায় মেলার পশ্চিমদিকে, বসে বটগাছের নীচে একটা আধভাঙা বেদীর পাশে। একটা সিগারেট
ধরিয়ে অর্জুন বলে, “দিয়ে বল থ্রী এম,
কেমন কাটছে?” মাঝবয়সী মানুষটি হাসি হাসি মুখ নিয়ে বলেন, “থ্রী এম, কি আশ্চর্য নাম
দিয়েছিলি কলেজে! মেয়েরা আমার নাম শুনে মুখ বেঁকিয়ে চলে যেত!” অর্জুন বলে, “উঁহু,
দোষটা আমার নয় বন্ধু! তোমার দোর্দণ্ডপ্রতাপ দাদু সাধ করে তোমার নাম রেখেছিলেন
মুরারীমোহন মুখোপাধ্যায়; আমরা তো মডার্নাইজ করেছিলাম মাত্র! তো এটা তোর বোনপো, তোর
নিজের ছেলেমেয়ে ...?” মুরারী হাসিমুখ নিয়েই উত্তর দেয়, “বিয়ে করিনি ভাই, মানে
হয়নি, আসলে কেউ করেনি আরকি। বেকার ছেলেদের জীবনটাই বেকার, বুঝেছিস? তা তুই আজকাল
কি করছিস? বিয়ে করেছিস নিশ্চয়?” ধোঁয়ার রিং ছাড়তে ছাড়তে অর্জুন কিছুটা উদাস হয়ে
যায়, উত্তর দেয় না। মুরারী কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলতে শুরু করে, “পাশের গাঁয়েই বোনের
শ্বশুরবাড়ি, আসি মাঝেমধ্যেই, মানে আসতে হয়। বোনের সাথে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে
শ্বশুরবাড়িতে, বনিবনা হয় না, বর মাতাল, ইনকামপাতি যা করে, বোতলের পিছনেই উড়িয়ে দেয়। আমিই
দায়িত্ব নিয়েছি বোনপো’র সবকিছু। গ্রামে মোবাইল সারানোর একটা গুমটি দোকান দিয়েছি
বছর পাঁচ-সাতেক হল, আর টিউশন পড়াই। যা হয়, আমার আর বোনের সংসার চলে যায় টুকটাক।”
সিগারেটটা নামিয়ে অর্জুন একঝলক তাকায় মুরারী’র বোনপো’র মুখের দিকে, জিজ্ঞাসা করে “কী নাম
তোমার?” লাজুক উত্তর আসে, “কেবল।” অর্জুন কিছুটা অবাক হয়, বলে, “বাহ! তা বড়ো হয়ে কি হতে চাও?” আবার লাজুক
ভঙ্গিতেই উত্তর আসে, “সুখী হতে চাই।” চমকে যায় অর্জুন! মুরারী হেসে ওঠে, বলে, “কি,
ঠিক শিখিয়েছি তো অর্জুন? আমাদের সেই ইংরাজির সমীরণ স্যার বলতেন, মনে আছে? তুই বাপু
জ্বালিয়ে ছেড়েছিলি মানুষটাকে!” অর্জুন কিছুটা স্বাভাবিক হয়, হাসে, বলে, “সে এক দিন
ছিল রে ভাই!” মুখের কথাটা কেড়ে নিয়ে মুরারী বলতে থাকে, “সত্যিই, সে এক দিন ছিল রে
ভাই! অসাধারণ সব ছবি আঁকতিস তুই তখন! ফুটবলটাও খেলতিস চুটিয়ে! মেয়েরা তো তোর নাম
শুনলেই পাগল! আর তোর সেই বাহামাস
যাওয়ার স্বপ্ন, বিপ্লবের প্রতি আগ্রহ, চ্যে গ্যেভারা, বব মার্লে, ফরাসী মদ আর
কবিতার প্রতি আসক্তি। কয়েকবছর আগেও যখন তোর কথা মনে পড়েছিল, ভেবেছিলাম অর্জুন
নিশ্চয়ই কিছু একটা করে ফেলেছে! আমাদের অস্তিত্ব তো শুধু জীবন্মৃত হয়ে বছর নষ্ট করা,
‘পাতি মিডিওকার লোকজন’, তুই-ই বলতিস, মনে পড়ে?” সিগারেট-টা ফেলে পা দিয়ে মুচড়ে দেয় অর্জুন, চোয়ালটা শক্ত
হয়ে আসে ওর আর চোখগুলো ঘোলাটে। কিছুক্ষণ গুম মেরে বসে থাকে দু’জনেই। তারপর অর্জুন
শুরু করে, “হুম, তখন ছিলাম-ই অন্যরকম। তবে তোরাও আমাকে একটা ‘লার্জার
দ্যান লাইফ’ চরিত্র ভেবে বসেছিলি!” মুরারী বাধা দেয়, “ভেবে
বসিনি ভাই, তুই ছিলিই ওরকম। তোর মধ্যে যে স্পার্ক দেখেছিলাম, যা প্রতিভা আর
সম্ভাবনা... হয়তো তুই নিজেই নিজেকে সেভাবে দেখিসনি কোনোদিন!” অস্বস্তি বোধ করতে
থাকে অর্জুন, মাথাটা ঝিমঝিম করে ওঠে, বারকয়েক কেঁপে কেঁপে ওঠে দূরের আলোগুলো, উঠে
দাঁড়ায় ও, পকেট থেকে মোবাইলটা বার করতে গিয়ে দ্যাখে সেটা সুইচড্ অফ রয়েছে, মুরারীর
দিকে পিছন ফিরে দাঁড়ায় পাছে বন্ধু ওর ছলছলে চোখদুটো দেখে ফেলে! মুরারী জিজ্ঞাসা
করে, “বাড়ি ফিরবি এবার?” অর্জুন মুখ না ঘুরিয়েই উত্তর দেয়, “হুম, রাত হয়ে গেল অনেকটা।
এবার তো...।” মুরারীও উঠে দাঁড়ায় কোলে বোনপো’কে নিয়ে, বলে, “কোথায় থাকিস এখন? সেই
আগের মতই, দিশানপুরে?” অর্জুন উত্তর দেয়, “নাহ রে, ভুবন স্কোয়্যারে ফ্ল্যাট নিয়েছি
আট-দশ বছর হল, থার্ড ফ্লোর। ওখানেই থাকি তোর ভাইপো, ভাইঝি আর বৌদির সাথে। চল,
হাঁটা দিই, নদী পেরোতে হবে।” দুজনেই হাঁটতে থাকে মেলার দিকে। মুরারী বলে, “ভুবন
স্কোয়্যার যেতে নদী পেরোবি কেন! এই মেলার মাঠটা পেরোলেই বড়ো হেলেঞ্চা রেলস্টেশন,
১০টা ৪৫ এর লোকালটা ধরলেই তো সোজা ভুবন স্কোয়্যার!” দুই বন্ধুর কথোপকথন শেষ হওয়ার
আগে একঠোঙা জিলাপি আর মিষ্টি কিনে দেয় অর্জুন মুরারীর হাতে, চারটে লজেন্স দেয়
ছোট্ট কেবলের হাতে। তারপর একাকী হাঁটা দেয় বড়ো হেলেঞ্চার দিকে। মাথাটা টলমল করতে
থাকে। কেমন একটা বিস্বাদের ঢেকুর এসে পুরো শরীরটাকে ঘুলিয়ে দেয় অর্জুনের। দু’চোখ
জুড়ে ভেসে ওঠে নিজের ছেলেমেয়ের হাসিমুখ, আর ঠিক তখনই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায় ও
মাঠপাড়ের মোড়াম বিছানো রাস্তায়!
জ্ঞান যখন ফেরে, তখন সকাল প্রায় হবো হবো। কোনোমতে উঠে
জলের বোতল থেকে জল খায়, চোখেমুখে জলের ছিটে দেয়, তারপর অনিচ্ছা সত্ত্বেও হাঁটতে
শুরু করে মুরারী যেদিকে যেতে বলেছিল। বড়ো হেলেঞ্চা একটা ফাঁকা গ্রাম্য রেলস্টেশন। শুনশান,
কোনো লোকজন নাই, শুধু একটা ভোরের ট্রেন। সেদিকে এগিয়ে যেতে যেতেই অর্জুনের চোখে
পড়ে প্লাটফর্মের দেওয়ালে সাঁটানো একটা পোস্টার। দাঁড়িয়ে যায় ও, দেখতে থাকে। পোস্টারে
ছাপানো ওর নিজেরই একটা ছবি, তলায়
লেখা ‘শ্রী অর্জুন বিশ্বাস’, ওপরে বড়ো বড়ো করে মোটা কালিতে লেখা ‘নিরুদ্দেশ’! হতবাক হয়ে
যায় অর্জুন, ব্যাপারটা কী! পোস্টারের সমস্ত লেখাগুলো পড়তে শুরু করে, আর
তারপরেই তারিখটা দেখে হেসে ওঠে। তেরো বছর আগের তারিখ! কিন্তু পোস্টারটা ছাপালো কে?
মোবাইলটাকে অন করে তার ফ্ল্যাশলাইটটা জ্বালায়। পোস্টারের একেবারে শেষে প্রকাশকের নাম ছাপা
রয়েছে খুব ছোট্ট করে। ‘শ্রীমুরারীমোহন মুখোপাধ্যায়’, কিন্তু ‘শ্রী’-এর আগে বসানো
রয়েছে একটা আস্ত চন্দ্রবিন্দু!
চমৎকার লেখা ! শেষের চমকটা fantastic.
উত্তরমুছুননীতা বিশ্বাস۔
ভালো টুইস্ট আছে গল্পে।
উত্তরমুছুন