কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১

ধীমান চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১০৫


ব্যক্তিগত ১৭০

 

মুখে তিল থাকলে, পাখিরা সূর্যোদয়।

সন্ধ্যা মাখা ছায়ায় নিজেকে সাজিয়ে, চামড়া থেকে

বিচ্ছুরিত হয় কবেকার অন্ধকারের আলো। -

স্তনে আঁচড় কাটার আগে, বহতা কালিন্দি

                            হলফনামা দেয় আয়নায়।

মন খারাপের নাভিকেন্দ্র, রঙিন

করে তুলল গীতবিতানের মৃত টিকটিকি!

বৃষ্টি হলে সেখানে কী লেগে থাকে

রক্ত, শুকনো পাতা, আধমরা ব্যাঙ এবং পান্তাভাত?

কে আজ রঙিন করে তুলল?

                               তুলল কি কিছু –

চলে যাওয়া শীতের রূপকথা,

চলে যাওয়া চর্যাপদের পরিযায়ী মৈথুন!

 

ব্যক্তিগত ১৭১

 

কোনও কিছু ধ্বংস করলে, টুকরোগুলো

ছড়িয়ে যেতে চায়। তারা আমার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ

হেসে ওঠে। এ সবই পুরনো জীবনের কথা।

ঠিক যেন কংসাবতীর ময়ূর কথা।

বলতে বলতে মা আঙুলে তাঞ্চোই-এর খুঁট জড়ান।

মার্চ মাসের চারপাশে ইদানীং ঘুরে বেড়ায়

                                 অনেক বাচ্চা বেড়াল।

প্রতিটা রাত শুধুমাত্র সেই রাতেরই হয়।

সে যেন এক অনন্ত শূন্যতায় হেলান দেওয়া হিমোগ্লোবিন।

শেষ বৃষ্টি দেখব বলে, -

একবার আস্ত একটা বাড়ি ভাড়া করব।

শেষ বৃষ্টি দেখব বলে,

একটা পুরো মরশুম ভাড়া করল, প্রিয়

                 আলালের ঘরের দুলাল।

 

ব্যক্তিগত ১৭২

 

রাতের খাওয়া শেষ হয়ে গেলে,

কোথাও আর কোনো কথা থাকে না। অন্যের

স্বপ্ন মুখে এঁকে, যে যার ঘরে চলে যাই।

মুখোশের কান্না নেই বলে, সারারাত

এক্কাদোক্কা খেলি নিজের ছায়ার সাথে।

যাই লিখি না কেন, বলি না কেন –

সবকিছু অসমাপ্ত থেকে যায়।

সামনে দাঁড়ালে, আরশির চোখে লেগে যায়

                          দুঃখের কৃষ্ণকুমারী। 

এক আধ দিন সকাল হলে, এনগেজমেন্ট রিং-এ

লাগা চাঁদের গন্ধ কোথায় যেন চলে যায়।

রাত হলে, সামান্য আমি,

গুনতে থাকি কীভাবে বাকি থেকে গেল

                     রবিবারের কাদম্বরী।

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন