কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

স্বপন রায়






কবিতার কালিমাটি ১০১

দেখা হল  


(১)

তাহলে মন্থর  ঢুকে আসা, দরজা মাখানো জানলায়
                                                 হারাবে সুদূর এই ডাক

নেই
আসতে আসতে ফুরিয়ে গেছে দইওয়ালা

এসে
কিছুটা দেখা, কয়েকটা দাগ
               কয়েকফোঁটা চোখ তার হতে থাকে

এমন তো নয়
যে পাওয়া যাবে হঠাৎ কুড়িয়ে    নাকি যা থাকে
তার নাম দেয়া যায়
ডাকা যায়

ভাবাও যায় যে শোয়ার আগে ক্রিম মাখবে
                                      আস্তে আস্তে বলবে
আলোটা নিভিয়ে দাও...

(২)

শুধু টিপে দেখেছিলো
হাম্পটি ডাম্পটি সেই টেপা
ছোটবেলাকে আনে, দিল-দিওয়ানা আনে
ব্যথা
যেন কোন রঙের
অলস রোদ ঢুকছে সদনে
কে আবিষ্কার করেছিলো বিদ্যুৎ
এই প্রশ্ন এক টানা বারান্দায় হাঁটতে  হাঁটতে বিরল

তবু আসে
স্যুইচ অন করে
হাত লাগাতে লাগাতে শেখা   কোথায় যে কেন যে

এবার বাড়িটা হবে
বাড়িটার হবে স্ক্রোল বোগেনভেলিয়ার...

শীতের রঙ

                                           
শীত কিন্তু বাড়ি হয়ে, পেট্রোল হয়ে গাগরীকে                                          
                      গাগরী যেন গ্রেফতার
আঁকা রঙে চটুল সরলতা যেন কী?
ওই তো গোঁফ  ওই তো রুল  ওই যে রাখলো 
হাসতে হাসতে
গাগরীর সামনে নাকি পুলিশ নাকি পুলিশ গাগরীকে
ডোরবেলে সকাল পৃথিবীর
আজ আবার হল। কাল হবে। হতেও পারতো শুরুর স্টেইনলেস                                      
শেষ পর্যন্ত স্টেইনলেস


নদীকে আবার 
                                          
যে সব হায় হায়, যে সব রচয়িতার ঠাণ্ডা করি
           হারানো হারানো নদীকে
তার জ্বর টুটুলকে কেন। হোক আমার। বাড়ুক আমার কপালে
          পে-লোডার, ক্রেন, লোকো-শেড
হায় হায় সেই নদীমত   জ্বরের জল
                জলের ওপর ডৌলে টুটুল
চাপাদূর গুটিয়ে রাখলে, হলে না রচনাবলীর চেয়ে তীব্র পালিশ
তবু হলে সন্ধ্যা মাত্র, কারফিউ
ঠাণ্ডা
খুব ঠাণ্ডা এখন যারা, তারা নদী, তারা হয়ত নদীই...



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন