কবিতার কালিমাটি ১০১ |
কালি ও কয়লা
তোমার চোখে তাকাতে ভয় হয় শ্যাম
যদি জেনে যাও কতটা কাঙাল হয়েছি
পুড়েছে ভিতর সব
উনোনে ছাইয়ের নীচে জমা আগুন
পুড়ে পুড়ে যদি তাকাতে পারি
বুঝবে কি কতটা শূন্য থাকি
কতটা কুঁকড়ে আছি গুহার ভিতর
ভয় হয় যদি দয়া কর
ছেনেছি যা এ জীবনে - ছাইয়ের ভিতর
কাঁচা কাঠ নিয়ে দেখি কয়লা সব
প্রকৃতি-পুরুষ জোড়
ঊষের তপ্ত পুরুষ প্যাঁচে ধরে রাইপ্রকৃতি
দুই তীরে ষড়রিপুর আনচান
দলাদলা, নিখাঁদ আনন্দে মন্থন
ক্ষীণতোয়া নহর পায় ঠোঁটের লাক্ষা রস
অত:পর, ডেউয়া ফলের মতো কুচুযুগল
স্তনের মোহন চূড়ার জামফলে জীবন্ত জিহ্বাটুকু শিরশির
চু
চু
অজস্র উথালে চিৎপুরুষ
বর্ণের দেহে বর্ণে যুক্তাক্ষরে ফলা
নবরূপে ফোটে ফুল
শাটার চিরে পটচিত্র উজল উজাড় ফল জ্বলজ্বল
আলোর সরু গাঙ মুখে মোহনিয়া নয়াচর চচ্চর
পা পা-হীন রাই অঙ্গে শ্যাম অঙ্গ পুরে
নাম আর ক্রিয়ার লাগালাগি
মন দেহরে দেয় দ্রুতি, কৃষিকাজে ফলন দেখাদেখি
পুরুষ-প্রকৃতি সম্পর্কঃ পুরুষের পুরে প্রকৃতি বিকশিত হচ্ছে যেন অন্ধের স্কন্ধে খঞ্জ
জাটিঙ্গা
‘আউলে বাঘ জালে পড়ে?’
রাই বিলাসে রস লাবণ্যে রসাভাসে মরে?
প্রতিদিন বুক ভাঙ্গছি কাচের চুড়ির চচ্চর
প্রতিদিন দুই চোখ উপুড়
এত উপুড়, এত ঝোঁক, এত ব্যাকুল যেন
হাই-রাইজ থেকে চিল চোখে দেখছি জাদুর শহর
এই বিপদজনক উপুড় দেখে ভাবি
এত গভীর চোখে পড়লে বাঁচবো তো?
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন