কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৯

অভিষেক ঘোষ




শুধরে দিলে ঠিক বুঝতাম না
                                                 

আমার বিচারক হেরে গিয়েই তোমায় লেখা পাঠায়
যখন তুমি কফির কাপ নিয়ে বসে আছো পাখার
নীচে,
যখন তুমি কফি খেতে খেতে চলে যাচ্ছ ক্যাওরাতলা
আমি ভাবলাম,
আমিও না হয় কফি খেতাম ওর সাথে, একদিন
দীঘার বীচে।  
তারপর আমরা দুজনেই বিছিয়ে পড়তাম বালির মাদুরে
পা ঘষে ঘষে যত কবিতা আমার বাদ দিলে তুমি,
আমি কি চেয়েছি নাকি তোমার এত বড় ভালো হয়ে
যাবে,
তোমাকে নিয়ে এবার বিচার করবে গোটা জন্মভূমি।
আমি তো চেয়েছিলাম তোমার জন্য আবারো লিখব
ভালো কিছু লাইন,
তুমি সত্য নিতে না আমার বাজে কথায় জানি,
তুমি সেই বিছিয়ে পরা ধুলোকন্যা হয়ে বল,
অন্তত
তোমাকেই দিয়েছিলাম সেই রাজার আসন,
আসলে তুমিই আমার রানী      
অফুরন্ত যে শুধু ব্যাট দিয়ে বেড়িয়ে আসে না,
আসে না সূর্যাস্তের প্রকোপ থেকে  বাইরে,
আমাকে মেলাতে মেলাতে তুমি তো পারনি,
মিলিয়ে দিতে,
আমি চেয়েছিলাম তোমার হাত দিয়েই নেব
বিকৃতি।
যার গতি নেই, প্রকৃতি নেই,  
সে কীভাবে আমায় দেবে ভাবছিলাম,
সামান্য দেড় ইঞ্চি স্থানের
স্বীকৃতি।   


পরিচয়


(১)


এখন আর একদম লিখতে ঠিকতে ইচ্ছে করে না, ইচ্ছে করে না বলেই আরও লিখব লিখব হয় মনটা, মনটা বলে বসে পড়লিখতে থাক যেখানে খুশি থামিয়ে  দে গাড়ি। তুই যদি না চলতে শুরু করিস, আমিই বা কীভাবে আর তোকে ভুল বলতে পারি।


(২)


যে চিলের ডানা রৌদ্র গন্ধ লাগায় সকালবেলা,
সে জানেও না জীবন বাবু কীভাবে তাঁর জীবন
খরচ করেন তাদের বিকেলবেলায়, সন্ধ্যাবেলায় ভেবে...
আমাকে কেউ নেবে না এই দেহ পশ্চিম,
আমাকে চুপ থাকতে থাকতে একদিন চিলের মত হতেই হবে,
যার ডানায় মুছে ফেলা বলে কোন কথা ছিল না,
যদি মুছে ফেলাই থাকবে,
তাহলে সকাল সন্ধ্যে আর কিছু না করে কেন তোমায় ডাকলাম,
কেন বল তুমি,
তুমি মিষ্টিমুখর হইয়া জানাবে বলে?
এবারের সংখ্যায়
তোমারও দুটি লেখা রাখলাম।


নিউটন নেই সেখানে আর
                                    
জহুরি চোখ ফিরে পায় জলের ব্যথায়
দারচিনি গুঁড়ো হওয়ার আগে,
হাত
ভেঙে পরে...
গড়িয়ে পড়ার শব্দ রেখে, কলশি
গড়িয়ে
পড়ে যায়,
পূর্ণ চাঁদ, আড়াল মেঘে,
যত রাত আমাবস্যা
গড়ে,
ততরাতই আমি ঘুমিয়ে থাকি, ইট বালিশে
মাথা
মুষ্টির জোর পালকের মতই,
হাওয়ায়
উড়তে পারে...  
দুর্বলতা সাজানো গুঁটির, শেষ মারাত্মক চালে
ছিটকে পড়ে, অনেক দূর,
আপেল ছায়ার ধারে।  


মার্ক টেলার
                                             
গাধার সাথে যখন গাধার মারপিট হয়, তখন আমি একজন মানুষ হয়ে কোনো একটি গাধারই দলে যোগদান করি। কিছু দিন যায়।
সত্যি, বেশিদিন নয়, কিছুদিন যায়, গাধাদের মারপিট বন্ধ হয়। দেখি তারা মাল বোঝাই করে সাহারা মরুভূমি পের হয়ে যাচ্ছে... আমি মানুষ, তাই কিছুকে কাউকে বের করে পার করে যেতে পারি না...


চাম্পিয়ান

আদম্যের হাত ধরে টানলেই তুমি ব্যথা পাবে
কিছুটা নীচে চলে গেলে জলের নীচে গিয়েছ
বলেই,
আমিও ভাবিনি,
তুমি সত্য দেখে এসেছ।
কতটুকু এখন ছেড়ে দেওয়ার বসে আসে ভালবাসা
তারা বুঝত,
যারা রোজ লেখে, আর ছোট ভাবে নিজেকেই,
অন্য থেকে,
আমিও তো ছিলাম একদিনও না ওদের মেখে,
আমি মেখেছিলাম কিছুটা কুচকির ধারে যেই ধুলো,
কে বলবে এবার?
যখন আমিও জন্ম নেব,
আর বলব  আমার বিতারিত গল্পগুলো।













0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন