কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দেবযানী কর সিনহা




অর্ন্তগত শিল্প

প্রজন্মদের জন‌্য খুলে দাও জানালা 
উধাও হবে কুয়াশা জড়ানো সকাল
 
পেছন ফিরে গার্ড দেখল ছোট ছোট ঘর
 
উঁচু নিচু পাহাড় আর লাল
  পৃথিবী 
সোনালী আলোর দিকে এগিয়ে গেল ট্রেনটি
 
এভাবেই বদলে যাবে শৈল্পিক অসময়
 
চিন্তার আভ‌্যন্তরীণ আর্টগুলো অস্হির হবে
 
রসিকতাঅন্ত উচ্ছ্বাসরা খিলখিল করে হাসবে
 
কোনো এক অক্লান্ত উশৃঙ্খলতায় যেতে যেতেও
 
প্রকৃত
  রং ঠিক খুঁজে নেবে নিজস্ব বিধি।


কমিটিতে জায়গা হয়নি

সহ‌্যের রসে অনেকদিন ভিজে থাকবার 
পর পাকা ধান বেড়ে উঠল ভাল মানুষের মতো
 
ওদিকে দলিতদের জমি জিরেত একদা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
তৈরি হয়েছে আবাদ, গৃহ, ও যাতায়াতের রাস্তা। 
সভ‌্যতার মানচিত্র বদলাতে কালো, বেঁটে
  ওরা,
অস্তিত্বের জন‌্য  লড়াই আর ঘাম    
শরীর জুড়ে মারভাতের হাতছানি
 
তবু মুখে নুন নিয়ে ছোটা, অসম্ভব মৃত‌্যু
 
কিছু কিছু ধার আজীবন খর্ব করে রাখে
 
দিনে দিনে ইতিহাস ক্ষয়ে গেছে, ধুলোর
 
সঙ্গে উড়ে যাচ্ছে সেইসব শ্রম, না জানা গল্প
চলে যায় দিন চলে যায় ঢিমাতালে যাওয়া রাত 
লক্ষ বছর ধরে কাঁদলে মানুষ অবিনশ্বর হবে
 
এটা কি ন‌্যায় সঙ্গত চাওয়া?


মাংসের অপর নাম মাদক

সে রাতে ঘুমন্ত মেয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিল 
সেখানে বিভ্রান্তির কালো ছায়া ছিলনা
 
ওভারব্রিজ পেরিয়ে দূরতম দেশে যাবে সে
সমুদ্রের গর্জন এতো শিল্পসম্মত! তার
মনে হয়নি কোনো গোঁড়ামি আদৌ আছে
 
তবু একদিন মেয়েদের নরকগামিনী হওয়ার
  সময় আসে,
বাসনায় মিলেমিশে যায় শূন‌্যতা 
অনেকটা পথ যাওয়ার পর আশ্চর্য হয়ে
 
তাকিয়ে হা হুতাশ করে, শীত এলে বুদ্ধি সজাগ
 
মাংস খসে পড়ে শুধু কংকালসার শরীর ও মন
 
বুঝি অর্ন্তবাস হারিয়ে গেছে এটুকু ভেবেছিল
 
রাতের সখ‌্যে তার ঘুম আসেনি, সেদিনও 
বিষাক্ত ফেনায় মুখ ভরে ওঠেনি,
শুধু জ্বরিত ভাপে চমকে চমকে উঠছিল স্বপ্নের 
ফাঁকে ফাঁকে
আসলে দামী ভাস্কর্যের ভেতর শিল্পীর হাড়ের
 
গুঁড়ো মিশে থাকে, মায়া এমন এক শক্তি
 
যার প্রকৃত রং অদৃশ‌্য, মাঝে মাঝে স্বপ্নে আসে -

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন