কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বলাকা সেন




এই শ্রাবণে

(১)

চিতার আগুন, মৃত্যুর কারণ জানতে চায় না
দগ্ধ করে ছাই করে উপরি ক্ষতের দাগ

প্রবল ইচ্ছায় তুলে রাখি ঘুণ খাওয়া পৃষ্ঠা
ভিতরে পোকার পরিশ্রম শব্দের ব্যঞ্জন

কাছের থেকেও কাছে থাকা মানুষ বোঝে না
সচল দেহের ভিতরে হৃদয় কবে মরে গেছে! 

(২)

রোজের কাজের ফাঁকে টিয়া ডেকে ওঠে
বনে যায় না অনেক দিন হল
শুনে চুপ করে থাকে খাঁচার শূন্যতা

বাইরে রেলের পাতে ঝিকঝিক মন কাটা পড়ে

(৩)

দূরে আরো দূরে চলে যাবে ভেবে
একটা ডাইরি নিয়ে ফেলো ভুল করে

ভুলে যাও এত দুঃখ পড়ার আগেও কেউ ছিল না, এখনো নেই

(৪)

তাহলে করার কিছু নেই বলে বসে থাকা 
অন্যের গানের গলায় নিজেকে ফুটিয়ে তোলা

আর খুব কান্নার বুকের কাছে মুখ রেখে বলা
একটু হাসতে পারো না কেন গো!


সেই সব লুকনো পালক

অতঃপর
ঋতুপাখি পাথরের শুষ্ক ফাটলে অগুনতি পালক রাখে,
নদীর কামনায় স্রোতবীজ রোপণের আশা করে প্রতিনিয়ত

মাহেন্দ্রক্ষণ
অকালবর্ষণে রুক্ষ পাহাড় বুকে আসে শ্রাবণ উতরোল
ঢেউ আছড়ে পড়ে মুকুটচূড়ায়; আঁকাবাঁকা হস্তলিপির রেখা;
উল্লাসে পাখি, ঠোঁটে তুলে নিতে চায় এক বিন্দু প্রতীক্ষাসুধা...

পাহাড় সে তো
অপরূপ জলপর্বত, ভ্রমণসঙ্গী জলমুক; উৎসবে
আহ্লাদে ভুলেছে পাখিকন্ঠের যন্ত্রণা, ক্ষরিত পালক; দীর্ণ সুর;

আর কিছু না
পাখি উড়ে যায় ধুকপুক বাঁ পাশে জমা বরফ, বোঝাতে পারে না--
অশ্মে ফোটানো জলপালক শৌখিন নয়, অনুভূতির শঙ্খচিল!



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন