কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ময়ূরিকা মুখোপাধ্যায়




বাই প্রোডাক্ট


একটা কিছু লিখে ফেললেই হত। হেসে খেলে নিজের মত করে বড় হত। তা তো আর হল না। আসলে হিসেবটা মেলাতে চাই বলেই হিসেবটা মেলে না।
সে যাগ্গে...  
তুমি একবার চোখ বোজো তো!  
বুজেছো?
তোমায় আধখানা একটা সংসার দিলাম। তার সঙ্গে একটা নারকেল কাঁথার দড়ি।
না গো সরি। এর চেয়ে বেশি মোটা দড়ি দিতে পারবো না। ধরা পড়ে যাবে নয়তো
এই রকমই একদিন একটা আধখানা সংসার এর সদর দরজা খুলে বেরিয়েছিলাম। বিশ্বাসঘাতকের মত বৃষ্টি এল। অন্ধকার এল।

ঘুম থেকে উঠে যখন দেখলাম সত্যিগুলোকে, র্দা দিয়ে গলা টিপে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করে সমস্ত আলো। মুখ বোজার জন্য বালিশও কম পড়ে যায়। শুধু ফিরে যেতে ইচ্ছে হয়, প্রথম সবকিছুর কাছে। পুরনো সব কিছুর কাছে।

এই কাছে টেনে নেওয়ারই প্রক্সি দেয়, কিছু টানাপোড়েন। সবাই মিলে প্ল্যান না উস্কে দেয়, ভেতরের কিছু কোষ-উপকোষ।
আমি দাঁতে দাঁত চেপে, একটা একটা করে গলা টিপি, সেসব নিখাদ ভালোবাসার।
আইডেন্টি কার্ড-এর মত দেখতে হয়, অনেকটা ফাঁসির দড়ি। ভীষণ চেষ্টা করছি,  কোনোরকমে যদি, অ্যাটলিস্ট একটা ফাঁসও কোনোভাবে!
তাহলে, মাও একদিন, ডায়াল প্যাড ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দুপুরগুলো কাটাতে পারে।
আমারও ততক্ষণে মর্গগুলো খালি করা হয়ে যাবে।
তাও বলব আমি বেশী ভাবি। মাঝে মাঝে হঠাৎ একটা দমকা বাতাস আসে। অগোছালো করে গুছিয়ে দেয় সবকিছু।
আর, প্রতিবার লেখার শেষে ভাবি, এটা আদৌ লেখা হল তো?

1 কমেন্টস্: