সুন্দর
সমীপেষু
এখন সময় নয় খামবন্দী চুপিচিঠির
খোলা
চিঠিই লিখি,
সেই
ফাঁকে চিন্তা করে নিক মস্তিষ্ক;
মস্তিষ্ক...
কার? ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না।
শতশত জন্মের ওপার থেকে যে গর্ভের দায় বহন করোনি,
তার
অধিকার পাবার লালসায় তোমাকে একটু একটু করে ঠেলে দেওয়া,
চতুর্মাত্রিক
এক এজলাসের দিকে... অদূরে তোমার বাদীপক্ষেরা মিষ্টিমুখ।
তোমার নামমাত্র পিতৃপুরুষ ভাঙ্গা শিরদাঁড়া সমেত এগিয়ে যায় স্বাক্ষর গাইতে,
তুমি
ব্যর্থ হয়েছো স্পর্শ করতে সেই নীলকন্ঠ পাখির পালক,
উড়িয়ে
দিয়ে বলেছিলাম... ক্ষমা বানান ভুলে গেছি বহু জন্ম আগেই।
তোমার সাজানো সৌন্দর্য খসে খসে পড়ছে, জন্মগত পৈশাচিক কুষ্ঠে।
অচলায়তন
মেথিমৌরীর গন্ধে আর ডাল রাঁধা হয় না
সব আগের মতো সামলে নিয়েছে রান্নাঘর
ফ্রিজে ঠিক আগের মতোই থাকে না ঠাণ্ডা
বোতল
রোদপোড়া কারুর অপেক্ষায় থাকে না সদর,
আজকাল শান্তির ঘুম পায়।
কবিতার যত বই, দেরাজবন্দী
আবৃত্তিকারের মৃত্যুতে তারা মূহ্যমান, কিছুটা উল্লসিত;
আবৃত্তির বদলে অনেকে পেয়েছিলো ব্যাঙ্গ,
আলো অপ্রয়োজন, তাই পর্দা টানা...
বড় নিবিড় ঘুম পায়।
কাকের সাথে গল্পগাছা দুপুরভর
বয়ে আনা আত্মাদের সাথে আলাপ পরিচয়,
আত্মীয়তা।
গৃহযুদ্ধের খবর শুনে, নিশ্চিন্ত ঘুম পায়।
শান্তনদী বিশ্রীধারা, নিজের হাতে তুলে
নিয়েছে
কৃপাণ আর রণভেরী,
কিছু কিছু জলে কিছু কিছু বই ছাই হয়ে
যায়।
বিজয় সংকেত
নদী না লাভাস্রোত, না বুঝেই ডুব দিয়েছিলে গুনে গুনে চারজন,
শীতলতা, সুখ, বহমান তৃপ্তির ধারা
ক্রমাগত দেহান্তর হতে হতে বুঝে গেলে
এ আসলে চলেছিলো সাঁকো সাঁকো খেলা, যেখানে কমলা নয়,
মাঝদুপুরের সূর্যের সামনে নিয়ে
গেছিলাম তোমাকে...
মাঝখানে ধরা ছিলো কিছু স্নিগ্ধ মেটে
যুবতী রঙ।
অভিসম্পাতি পানকৌড়ি ডুবেছে, ভাসেনি তোমার আয়নায়,
তুমি তৃপ্তিতে চোখ বুঝেছো আধাআধি...
ধর্মমঙ্গল, আয় তোর সব পাতা ছিঁড়ে দিই।
আর এভাবেই ভালোবাসাকে এক উৎসবে পরিণত করে
চড়া দামে প্রবেশাধিকার বিকোও অদ্বৈতের
মুখোশে দৈত্য।
তুমি অসুস্থ, রাক্ষস প্রধান... তুমি
পুরুষ, না নারী, তা নিয়ে তর্ক করতে নেই
গোঙানি শোনার আশায় যতো হাপিত্যেশ
তোমার,
ভরিয়ে দেবো শঙ্খলাগা বা হংসধ্বনিতে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন