কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রিয়া চক্রবর্তী




শবের শহর

একদল মৃতদেহ চিৎকার করতে করতে
আমার দিকেই এগিয়ে আসছে।
উল্লাসে ঘুরে ঘুরে নাচছে তারা।
আমিও মিশে যাই মৃতের সারিতে।
আমার কোনো জীবন নেই,
বুকের বাঁদিক থেকে হৃদপিণ্ডকে
উপরে ফেলেছি অবলীলায়।
বুকের হাড়ে শুনি কর্কশ এক
করুণ মর্মরধ্বনি।

আমি জ্ঞান হারাই,
চোখে উড়ে আসে ধুলো। 
মৃত চোখে নিজেকে দেখি
আর দেখি সিংহের শিকার।
আমি পড়ে থাকি অশনাক্ত স্ফীত,
 গলিত, অপ্রয়োজনীয় ভাবে। 
আমার চোখে এসে জড়ো হয়
কিছু মরা মাকড়শা।
রাস্তায় ছড়িয়ে আছে মৃত্যু।
আর ধোঁয়া উড়িয়ে চলে যায়
কর্পোরেশনের দুর্গন্ধ ময় ট্রাক।

যাওয়া আসা

আমার জ্যোৎস্নাবেলা শেষ। 
এখন বুকের মাঝে অমাবস্যা। 
এখন প্রস্তুত আমি, হাতে খোলা
তরোয়াল নিয়ে এগিয়ে এসো। 
বেদনা যে তরোয়ালের ধার।

শ্মশানের মাঝামাঝি আমি
তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।
আমার ঠোঁট, আমার চোখ,
আমার আকাশ লাল করা
সর্বস্ব নিয়ে অপেক্ষা করছি।

হাতে খোলা তরোয়াল নিয়ে এসো
কষ্ট যে তরোয়ালের ধার।


নীল রোদ

অতল জলরাশির কল্লোলের মতো
অন্তরীক্ষ বিশ্বচরাচরে দাঁড়িয়ে
দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়েছিল।

লাল মাটি, কালো পাথর সেদিন 
কষ্টের শ্বাস নিয়েছিল।
মাটির তলা থেকে তাদের আর্তনাদ শুনেছি।

আমি আমার গায়ে জড়িয়ে নিয়েছিলাম
একটুকরো লালমেঘ।
তোমাকে অনুভব করি আমি তাতে
একটা শঙ্খের ভেতরে আর একটি
শঙ্খের গোপন অভিসার।
ওপারে তুমি ছিলে, হলুদ, বেগুনি
রং এ ফুটে ওঠা স্নিগ্ধ উদ্যান।

এখন দুজনের রক্তস্রোত বয়ে গেছে
দুই মেরুর দিকে।
এখানে এখনও নীল রোদের আলো
বৃষ্টির কথা বলে।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন