পরাজয়
হাজারো নিরীক্ষার
পথ খুঁজে
স্ববৈদ্যের সেই অমোঘ সত্য উচ্চারণ-
তুমি কাগজের ফুল রেণু কিংবা ডুমুর ফুলের সারবত্তা
অথচ বর্ণিল বন্ধ্যা সময় দমাতে পারেনি
আমাদের
সামাজিক তালা-চাবির কলরব
এর মাঝে কতবার শীতার্ত মানুষেরা
একটু উষ্ণতার জন্য আগুনে পুড়িয়েছে হৃদয়ের বাকল
আমি তো মেনেছি তোমার সকল বৈকল্য
কেবল মানতে পারি না আমাদের ছোট্ট
পৃথিবীর বিভক্তি বা ব্যাধের মিথ্যা তীরের তর্জমা
অথচ কালের কালিতে লেখা, সিংহ কেশরের হ্যাঙ্গারে ঝোলানো
স্বঘোষিত ঐশ্বর্যবান প্রতাপ পুরুষ তুমি
বইতে পারোনা জ্যোৎস্নার
তাপে পোড় খাওয়া
এক নারীর মৌন বিসর্জন!
আয়না
একটি নব দিবসের সূচনায়,
আমাকে দিক নির্দেশনা দ্যায়, আমার ওয়াশ রুমের ক্রিস্টাল ক্লিয়ার আয়নাখানা। ঘুম তৃপ্ত আলিস্যি নিয়ে আমি যখন ওর অলিন্দে
দাঁড়াই – মায়াবী স্বরে যেদিন সে বলে - তোমাকে সুন্দর লাগছে, আমার গহীনে তিরতির করে নেচে উঠে
নীল পতঙ্গের আনন্দ ডানা।
কালের স্রোতে ক্ষয়ে আসা
বিবর্ণ ত্বক, ক্রমশ নিষ্প্রভ হয়ে আসা আঁখি
তারা, ঝড়তে থাকা কৃষ্ণ কুন্তলে কাশবনের উঁকি সমস্ত কিছুকে মায়াবতীর মত সুচারু
লুকিয়ে রেখে মাঝে মাঝেই সে এক অনিন্দ্য তরুণীর মুখচ্ছবি কীভাবে যেন ফুটিয়ে তোলে আমার অবাক দৃষ্টি সীমায় আর খুব সহজ বিশ্বাসে আমি
বুঝে যাই, আজ আমার দিনটি শুভ। ভালবাসা কিংবা ঘৃণার জীবন যখন আমায় ক্লান্ত ক্লান্ত
করে, আমি বুঝতে পারি না আমার পৃথিবীতে সূর্যঘড়ি কখন কোন পথে যাবে, তখন আমি দাঁড়াই এই চিরন্তন
চক্ষুষ্মতী দর্পণের সামনে।
পৌরাণিক আধুনিক কত কাহিনী স্বচ্ছ আয়নার
অস্বচ্ছ পারদে, আমি জানি, আয়না জানে, আর জেনে যায় নিবিড় অন্তর্বাস।
জেগে থাকে শাহবাগ
বহু
কিছু বদলে যায় তবু জেগে থাকে শাহবাগ। চেতনার সহস্র স্ফুরণে নতুন দিনের ভ্রুণে জন্ম
নেয় নতুন মানুষ। লাশের সমাধি খুলে হেঁটে আসে পলাশ শিমুল। শিশিরের কাঁধে বসে স্বর্গ
থেকে মর্ত্যে আসে আগামী দিনের সহস্র শপথ। সবাই ঘুমিয়ে পড়ে তবু জেগে থাকে শাহবাগ।
খুনির হাসিতে কেঁপে উঠে কালবেলা, থেমে যায়
শিশুদের পুতুলখেলা। রাজদ্রোহী ঘোরে রাজারই পালকিতে, আকাশকে বিধবা বানিয়ে শতত নক্ষত্র খসে পড়ে নিরর্থ নির্জনে। গানের জলসা থেমে যায়, ম্রিয়মাণ হয়ে যায় সেতারের তার। বেদনার ভার বুকে, তবুও উৎসুকে জেগে থাকে শাহবাগ।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন