কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭

বলাকা সেন

আমি, নদী আর বৃষ্টি


বৃষ্টির ঝমঝম শব্দে ছুটে যাই, নদীর বুকে
দেখি কত বিষাদীয়া পাখি উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে

আকাশ যখন মুখ ভার করে
লোকে বলে ডিপ্রেশন! আমি ইমোশনাল হয়ে
নদীকে আড়াল করি বড় নীল ছাতাটার ছায়ায়

ভোর রাতে যখন ঘুমোয় সময়
কান পেতে শুনি হু হু কান্নার শব্দ

খালি পায়ে ঝিনুক মেখে
এখন নদীর কাছাকাছি আমি

নদী বলে, বৃষ্টির ফোঁটায়
কেউ দেখে না
নদী কান্না কেমন হারায়।



মনঘর

সব আলো নিভে গেলে
কুয়াশা চাদরে মুড়ে তুমি আসো
তোমাকে অমান্য করা অসম্ভব
দূর কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে পথ হারানো যাত্রী
বয়ে আনে সব হারানোর দুঃখ
কিছু কান্না পাথর হয়ে অবরোধ করে রাস্তা
আমি থেমে যাওয়া সময়ের হিসাবের গমিল বুঝি না
শুধু বুঝি এই রাতটা মিশকালো নয়!



ভোরের আগে

নির্মাল্য বাতিটা জ্বালিয়ে দাও
পাঞ্জাবির বোতামটা নিপুণ করে লাগিয়ে দিই
সেলাই করে নিই ঠোঁট চাপা কথার বাঁধন
আঙুলগুলো ক্ষত সুঁচের আঘাতে

নির্মাল্য একটা জানালা খুলে দাও
নিয়নবাতির নীচের অন্ধকার বাড়ছে
চাঁদের গায়ে জমেছে অপার্থিব নখের আঁচড়
আমি গুছিয়ে নিই বাকি বোতামগুলো

নির্মাল্য একটু বসো আমার কাছে
অবমাননার মুহূর্তগুলো সেলাই করে নিই
বুননকারী সুতোর টানে রাত হয়েছে গভীর

নির্মাল্য একটা ভোর এনে দাও

আমি বুনে নিই ঝোড়ো তারাদের স্বপ্ন। 

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন