কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

নাজনীন খলিল

দৌড়

দীর্ঘশ্বাসগুলো জমা রাখি না;
ভোর হলেই মুঠো খুলে ছড়িয়ে দিই।

সিঁড়ি উঠতে গিয়ে দেখি প্রথম ধাপেই
শুয়ে আছে সতর্ক ডোবারম্যান পিনশার
কানখাড়া, গোটানো লেজ
মুহূর্তেই হামলে পড়তে পারে;
ভঙ্গিমায় একথা সুস্পষ্ট।
সেই থেকে সিঁড়িঘরে গিয়েছি আটকে;
সিঁড়িপথ ভুলে গেছি। 

কেউ কেউ, খোলাচোখ আকাশে নিবদ্ধ
মুক্তকচ্ছ
রণপায় দৌড়ায়।
বলতে ইচ্ছা হয়--
        থামো, এত দ্রুততার কিছু নেই।
        পিছলালে তোমারই পতন। 

কোনো দৌড়াকাঙ্ক্ষীকে কখনো

'ধীরে চলো' একথা বলতে নেই।


চাঁদ সওদাগরের ডিঙ্গি

এতবড় আকাশ ধরে নেবে নদীর সে বিস্তার কই!

দর্পণে বিম্বিত ----অরুন্ধতী;
কেঁপে ওঠে নীল রং জল
তার আরশীতে কনকবরণ নক্ষত্র-জলসা
জলতরঙ্গের উদাসী সুর দোল দিতে দিতে
জলপরীর বিবশ-ডানা স্পর্শ করে ফেলে।
প্রবল মাঝরাতের দোলনায় ঘুরপাক খায় বিভ্রান্ত-জোনাকী
-----
কোনটি অধিকতর প্রিয়
সুদূর আকাশ নাকি জলের নক্ষত্র?

ঘুমের ভেতরে ঢুকে পড়ে স্বপ্নের গরল
নদীর প্রেতাত্মাগুলো ডেকে যায়;
হিল্লোলের যে রহস্য
আর অলীক-নৌকাটির কথা বারবার বলে গেছো
--
মনসার শাপ-ছোঁয়া চাঁদসওদাগরের ডিঙ্গিখানি?
প্রখর ঢেউ তার আপন হয়না
বিপ্রতীপ-স্রোতে জীর্ণ-বৈঠা
প্রমত্ত হাওয়ায় ছেঁড়া-পাল

তরীখানি ভিড়বে কি চম্পাই নগরীর ঘাটে?

2 কমেন্টস্: