কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

বলাকা সেন

নতজানু  হতে

আমার যাওয়ার পথ ছিল কঠিন

মুক্তির পথে  কুয়াশা
ঘরের দরজায়  খিল
চিতার আগুনে  প্রতিযোগিতা

আমার যাওয়ার পথ ছিল বন্ধ

সাগর ঘিরে ছিল ঢেউ
হাওয়া থেমেছিল গাছে
বিদ্যুৎ চোখ মেলেছিল আকাশে

শুধু মাটি ছিল হাত মেলে
আমি নত হয়েছি মাতৃভূমির কাছে!



জনশিক্ষা

রোদেরা বাড়ি ফিরে গেলে
ওদের মায়েরাও মুখ মুছিয়ে
মুখে ফেয়ার এন লাভলি মাখিয়ে
হাতে তুলে দেয় গ্লুকোজ গ্লাস

ঢক ঢক করে খেয়ে নিয়ে
গ্লাস নামিয়ে রেখে বলে
মা আমরা স্কুলে যাব না?

সন্তোষজনক মুখ নিয়েই
মা বলে ‘অন্ধকার কেটে গেলেই!

আধভাঙা চাঁদ

কিছু বলবে ভেবেছিলে
বলবে ভেবে এগিয়ে আসতেই
আমি চার পা পথ পিছিয়ে গেছি

সূর্যাস্তের অধরা আলো
ছড়িয়ে নিমজ্জিত শালুকে
থেমে থাকা সময় চুপ!

না! মাঝের চার পা বড় কঠিন
সীমারেখা লঙ্ঘন করিনি কেউই
শুধু আজও শালুক ফোটে নদীবক্ষে!



স্মৃতির ঘরে 

অগোছালো খোলা পাতার মতো সময়গুলো
আমায় ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে
শ্বাস ফুরিয়ে যাওয়াই মৃত্যু নয়
ভালোবাসা মানেই শুধু বোতাম গোনা নয়
সিঁড়ি বেয়ে সেখানে দু'পা নামলেই মৃত্যু
কেউ আসার নেই এই ঘরে অথচ শিকল আছে
বেঁধে রাখে এঁদো পুকুরের কাঁটাগাছের লতায়
দু' হাত দিয়ে ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে গলা শুকিয়ে গেলে
ডেকে জল চাইতেই মনে পড়ে 
একাকীত্ব বাইরের ঘরেও অকাজের কিছু আসবাবপত্র
এছাড়া আর কিছুই নেই যে সাড়া দেবে
কথা বিনিময়ের মূল্য এখানে নিস্তব্ধতা
পিনপতনের নিরবতা রেখে শুধু সময়
এদিক থেকে ওদিক ঘড়ির কাঁটা ঘোরায়
আর পর্দার ওঠা নামায় বুঝি ঋতুকাল!







0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন