দেহসর্বস্ব
চোখের শক্তি ফুরালে
অসহনীয় ক্ষতি - বেড়ে যায় অনুভব দায়।
এই খোলস মূলত ইচ্ছে পূরণের উইল,
ইন্দ্রিয়ের ধারালো প্রকাশ। অন্যথায়-
কোন্ মৌসন্ধ্যার সঙ্গে হ্যান্ডশ্যাক,
কোন্ কাঁটার গলা টিপে ধরা,
কোন্ ছায়ার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি কারবার
কে দেখে!
অর্ধেক কথারা অর্ধেক কথাদের সঙ্গে ধাক্কা খায়,
কারো বুকে সেঁধিয়ে দিই আগুনছুরি,
কারো নখে জড়ো করি আশ্লেষ
কী এসে যায়!
কোথায় পৌঁছুতে চাই-পৌঁছে গেছি-কাকে ডাকছি
খোলসহীনতায় অগোচর, নাগালহীন সব।
খোলসহীনতায় মৃত্যু অসম্ভব।
জরুরি চিকিৎসক
যেভাবে হাত ধরে নবজাতককে
আলোর করিডোরে নামিয়ে দাও
সেভাবে আমায় রেখে আসো জ্বলন্ত ভ্রমণে।
সঙ্গকাতর, ক্ষুধার্ত মাছের ভূমিকায়
খুঁটে খেতে পৃথিবীর পা।
দ্বৈত চেহারা খুলে রেখে চন্দনকাঠে
মুখাগ্নির সাক্ষী হচ্ছে প্রত্যেকে-
ছাইরঙের কথা মনে রাখছে প্রত্যেকে-
নিতে দাও এই অলীক দর্শন।
ছিদ্রবহুল চুপসানো উপস্থিতি
আকণ্ঠ ভিজিয়ে রাখো তাজা জলে।
সান্ধ্যআড্ডা রঙে আগলে
ড্রয়িং পৃষ্ঠাগুলো গল্পকার হয়ে উঠছে।
তাহিতি বর্তমান সময়ের একজন শক্তিশালী কবি এবং আমার খুবই পছন্দের কবি। কবিকে শুভেচ্ছা।
উত্তরমুছুন