কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৫

তোফায়েল তফাজ্জল

দৃষ্টি-চন্দ্রকলা

পাঠানো প্রস্তাব ভেঙেচুরে ভাবেই ফেলে দিলে
কথাটা ফিরিয়ে দিলে,
আশ্বাসের পাহাড়ে উঠিয়ে
চাতকের দৃষ্টি-চন্দ্রকলা উপভোগ করানোর
আঙুলের ভাষা অনুবাদে কাছে টেনে?
পীঠ দেখানোর অবাঞ্ছিত ধাক্কায় পাথর হয়ে  
সাবালক স্বপ্ন মৃতপ্রায় টিকে  আছে
স্রেফ লাইফ সাপোর্টে।

এর গভীরতা স্পর্শ করা রোগ নির্ণয় এলাজ,
পথ্য-অনুপান সব কিছুই যে এক
এলোমেলো পদধ্বনি বা পদধুলির কাছে জিম্মি  
এমন চালের শেষ রফাদফা কবে?

এ কি এখনো হয় নি ওঠে
দস্তা পুড়ে যাওয়া খাঁটি সোনা?

আর কদ্দিন পরীক্ষা নেবে মাকড়সার জুজুজালে?



দৃষ্টি আকর্ষণ

তারুণ্য ফুটেছে ফুলে পাতায়,
মৃত্তিকার সারা অঙ্গ জুড়ে 
সে আমেজে সাড়া পড়ে মানুষের হৃদয়ও সিক্ত।
জরাজীর্ণ খোলস পাল্টিয়ে
প্রফুল্ল প্রকৃতি ঋদ্ধ হচ্ছে নিজ গুণে।

ডালে ডালে জ্বলে ওঠা দৃষ্টি আকর্ষণ
মুগ্ধ পায়ে নেমে এসে আলতো আলতো ছোঁয় আবহাওয়া,  
প্রাণী রাজ্য নাড়া খায় এর তাড়া খেয়ে;
শিল্পী পাখির ললিত কন্ঠে দানা বাঁধে
ঘুম থেকে ডেকে তোলা অগ্নিঝরা কলি।
মলয়েও কী যেনো কি ইশারা উস্কিয়ে

আজ, গাঁ বা শহরের
ছোট বড় বৃত্ত বা বৃত্তান্ত সবই মোহনীয় রূপে।



গৌরব গৌরব ঠেকে ইদানীং  

যে স্পর্শে দুর্গন্ধ, যে নামের পাতা উল্টাতেই গাছের পাতারা 
হৃৎকম্পনে হাত-পা সশব্দে ছেড়ে পড়ে যায় নিচে,
শ্রোতার লোমকূপ কেঁপে ওঠে, খোঁচালে বমিও আসে
সে সব সান্নিধ্য গৌরব গৌরব ঠেকে ইদানীং!

সৌন্দর্য বৃক্ষের কচি অংশ, ভাঁজ একটি একটি খোলে,
দখিনা ঢোলের ধ্বনি আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়
ফুল ফলের নৃত্য, দোল এমন উড়ন্ত উপহার উপভোগ করে
জনাকীর্ণ মাঠ
হর্ষধ্বনি করতালি যৌথভাবে ছিঁড়ে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের শব্দ,
এমন যে, সে বরং অনন্যা তকমা পায়।

এমন কি, দুর্ধর্ষজনকেআরোপিতভাবে  টেনে  
তার কাল বৈশাখের সিঁদুরে প্রসঙ্গ গায়ে পড়ে মেলে ধরে,
পা ফেলার জায়গা বাড়ে, আয় বাড়ে – নামেই সমীহ

অথচ একদিন এমতাবস্থায়, লোক নাক ধরে, লজ্জায় লাজন্তি হয়ে
ঘটনা প্রবাহে চোখ না বুলিয়ে, উৎকর্ণ না হয়ে 
নির্বাক এড়িয়ে যেতো  ভেবে বৈপরীত্য অনাচার।

জরুরি দায় বা তাড়নায় যুথবদ্ধ হতো, এসবের উপায়, ওষুধ
খুঁজে বের করে অনুপানসহ যথার্থ প্রয়োগে

এ কি কাল এলো, চরিত্রের শিলীমুখ অসতর্ক পুষ্পমুখী,
না হয় নর্দমামুখী –
মন্দকে মোড়কে পুরে এক নম্বর হিসেবে বাজারজাত প্রবণতা?



রহস্যপুর

শব্দ দুষণের অচিক্কণ বাঁশে ওঠানামা করা কানের অধৈর্যে
সমব্যথী রূপে ঝর্নাসুর
পাশেই পাতার ঝোপে মুখিয়ে মুগ্ধতা ছড়ানো পেয়ারা কূলে-কাছে পেতে
ইচ্ছে-কাঠবিড়ালি ঘড়ির কাঁটার তালে সাতবার দৃষ্টি ফেলে
আড়াই পায়ের চর্চা করে ডালে ডালে
তাকে তাকে থেকে মাপে পছন্দের দিক
সহসা বাইরে কি বয় দমকা হাওয়া নাকি স্বাভাবিক?

মন চষে বেড়ায় বেদিক   বিপদ সীমার তোয়াক্কা না করে
পিঁপড়ে পায়ে নামে নিচে এক জোড়া চোখ
খুঁজে পেতে পুস্প-উপত্যকা, উপভোগ,
মিষ্টিমুখী যাকে বলে থাকে মোহনভোগ;
উৎকর্ণ উচ্ছ্বাসে বুঝবে অন্য এক ঢেউয়ের নূপুর,
ফিনকিতে ঠাওর হবে উষ্ণ-সন্তরণ
হয়তো বা তুমি বলবে, এভাবেই বসন্ত বরণ।






0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন