হাসি বিষয়ে
আমার বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি
মুখে হাসির মুখোশ
ভয় দূর করার এ পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছে জাদুকর
কতক্ষণ মনে রাখতে পারব তা নিয়েই ভয়
সৈন্যদল কিছুক্ষণের মধ্যেই নামবে
এলএমজি, এসএমজি নিয়ে
হাসিমুখকে জাগিয়ে রাখা করুণ অভ্যাস
বিবৃতি
আত্মরক্ষার জন্য কী করবে ভেবে পাচ্ছে না পাঁচ
বছরের মেয়ে
কষ্টে আপ্রাণ জাগিয়ে তোলা খুশি বিন্দু বিন্দু
ঘামের মুখে
তার মায়ের সঙ্গে তুমুল হিংস্রতার ছবি চার আসমানের
পর্দায়,
কর্ণফুলিজলে
কিংকর্তব্যবিমূঢ়
লোকটি নিমেষে এক সৈনিকের সেই সিনেমাটির গাঁয়ে
তার মা-কে আপ্রাণ দৌড়ে গিয়ে ধরেছে জড়িয়ে
গাছপালা অবুঝ
হয়তো অমাবস্যায় ঢেকে নিচ্ছে শরীর
বেলুন
এই যে বেলুন
ওড়াচ্ছি জানি না কে কেমনভাবে নিচ্ছে, একজনের
রঙিন নানা
রঙিন ঘুড়ি ওড়ানোর কথা মনে পড়ে, রঙের সঙ্গে রক্তও
যে মিশেছিল অনেকে তা টের পান। আমিও পাই। হৃৎস্পন্দন বাড়ে। একসময় টুপ
করে দিলেন ডুব, আর তাঁকে দেখতে পাই না আমরা,
ঘুড়িগুলোর কথাই শুধু মনে পড়ে, তাঁর দরদের কথা, অভিভূত
মুখমণ্ডলের কথা।
তাঁকে নিয়ে কত যে স্মৃতিচর্যা এখন হয়। আশ্চর্য, ঘুড়িই তো, মধ্যে কেবল
কিছু আঁকিবুকি, আর সূতো নানা রঙের, আর তাঁর ওড়ানোর অঙ্গভঙ্গি, মুখের
দীপ্তি, আর তো কিছু নয়, তবু রোজ ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পূব
আকাশের দিকে, পশ্চিম দিগন্তলক্ষ্যে তাকিয়ে থাকি অনেকক্ষণ আর কেমন
করুণ, বিষাদমাখা বা অরুণলাল ও অচেনা হয়ে উঠতে থাকে মুখ টের পাই।
হঠাৎ প্রবল ঝড়ের দুলুনি ভেতরে ভেতরে কখনও, আর বেলুন ওড়ানোর আয়োজন
করি।
অসহ্য পুলক, মাঘরাতের কাঁপুনি
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন