সন্ধ্যার কাছে
একটা চায়ের কাপ
বিস্কুটের কামড়
মেগা সিরিয়াল
বেরিয়ে দেখছে না
কতটা মেঘ
চাঁদ খেয়ে গেল
আর অন্ধকার পাতায়
জোনাকির খেলা
বুকপকেটে
মোবাইল
কানগান
শুনতে দিচ্ছে না
শাঁখ
ঝিঁঝিঁ
আর পাশের বাড়ির
বিস্কুটের কামড়
মেগা সিরিয়াল
বেরিয়ে দেখছে না
কতটা মেঘ
চাঁদ খেয়ে গেল
আর অন্ধকার পাতায়
জোনাকির খেলা
বুকপকেটে
মোবাইল
কানগান
শুনতে দিচ্ছে না
শাঁখ
ঝিঁঝিঁ
আর পাশের বাড়ির
হারমোনিয়াম...
অমাবস্যা সাগরের কাছে
অমাবস্যা সাগরের কাছে
বালি উট
আমরা যখন ঢেউ দেখতে দেখতে
মরুভূমির কথা ভাবছি
তখন শিশুরা একটি চরকি
ঘুরে যাচ্ছে আর ফিরে আসছে আনন্দ শিশুবেলার
কখনো বাবা মার সাথে পুরী ঘোরা হয় নি আমার
বাবা নিয়ে গেছেন অনুষ্ঠান বাড়ি
মা খাইয়ে দিয়েছেন খুব যত্নে
আর ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছেন
অসুখে দুটো চোখ ছাপিয়ে নেমে আসছে জল
জগন্নাথের এমন মূর্তি দেখে
মাঝেমধ্যে একটা অসহায় অবস্থা
তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে আর একটা লড়াই
আমাকে পৌঁছে দিচ্ছে সর্বোচ্চ তরঙ্গের মাথায়
পারছি না তবু কোনারকের গায়ে মহাসন্ধিযুক্ত মূর্তিগুলি
আমাকে ভেঙে খান খান করে দিচ্ছে
অনেক না পাওয়ার ভেতর আমি পাওয়া খুঁজছি
আর দেখছি আলো জ্বলা বল ধরতে
বিক্ষুদ্ধ নোনা জলে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে তরুণ সত্তা
বয়স শব্দটি আপাতত মাথায় নেই...
বালি উট
আমরা যখন ঢেউ দেখতে দেখতে
মরুভূমির কথা ভাবছি
তখন শিশুরা একটি চরকি
ঘুরে যাচ্ছে আর ফিরে আসছে আনন্দ শিশুবেলার
কখনো বাবা মার সাথে পুরী ঘোরা হয় নি আমার
বাবা নিয়ে গেছেন অনুষ্ঠান বাড়ি
মা খাইয়ে দিয়েছেন খুব যত্নে
আর ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছেন
অসুখে দুটো চোখ ছাপিয়ে নেমে আসছে জল
জগন্নাথের এমন মূর্তি দেখে
মাঝেমধ্যে একটা অসহায় অবস্থা
তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে আর একটা লড়াই
আমাকে পৌঁছে দিচ্ছে সর্বোচ্চ তরঙ্গের মাথায়
পারছি না তবু কোনারকের গায়ে মহাসন্ধিযুক্ত মূর্তিগুলি
আমাকে ভেঙে খান খান করে দিচ্ছে
অনেক না পাওয়ার ভেতর আমি পাওয়া খুঁজছি
আর দেখছি আলো জ্বলা বল ধরতে
বিক্ষুদ্ধ নোনা জলে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে তরুণ সত্তা
বয়স শব্দটি আপাতত মাথায় নেই...
সমুদ্র স্নান
একটা সমুদ্রের গল্প গরমে তৈরি হচ্ছিল। ঢেউ স্নান করানোর জন্যে ছটফট
করছিল আর লবণ থেকে উঠে আসছিল জিভ। চোখ কিছু খোলাখুলি
দেখে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারছিল না। এতো বালি ঘর ভাঙছিল যে কোনো
মুদ্রা সমুদ্রের এই বেপরোয়া থামাতে না পেরে পুড়ে যাচ্ছিল।
অমাবস্যা নিয়ে বসে আছি বালুকাবেলায়। ঘন কালো চুল ছড়িয়ে রেখেছে
মেয়ে তার নাম নিশিকন্যা আর ঢেউগুলি তার দাঁতের হাসি। আমাকে সহ্য
করতে হচ্ছে তার থেকে বেরিয়ে আসা ফেনারা যখন পা ধুইয়ে যাচ্ছে। যেন
আমি তার সেই কত যুগ আগের পুরুষ যে এলে সে পা ধুইয়ে ঘরে তুলবে।
শান্ত স্বভাবের মেয়েটির ক্রুদ্ধ গর্জন শোনা যাচ্ছে মাঝে মাঝে। সে কি আমাকে
তার বুকে আমায় না পাওয়ায় এমন ক্ষেপে আছে চোখের । আলোয় সে এক
অদ্ভুত আবেশ নিয়ে এসেছে আর আমি চোখ ফেরাতে পারছি না। তার
শরীরে একটা যাদু টান আছে যে ফিসফিস করে কথা বলে ওঠে আর আকর্ষণ
করে চলে। বসে থাকি অনন্ত কাল যতক্ষণ চাওয়ালা আবার গরম চায়ের
পেয়ালা এগিয়ে ভেঙে দেয় এক লম্বা কবিতার লাইন।
একটা সমুদ্রের কাছে কিছুই ছেড়ে আসা হয় না, সে সবকিছুই ফিরিয়ে দেয়।
দিয়েছিলাম মেঘমাখা অতীত, ধূলো খাওয়া জুতো, আর একলা লেখা
কবিতার খাতা। সে ফিরিয়ে দিলে নিরুপায় হাতে তাকে ধরি আর জগন্নাথের
অসহায়তা আমাকে পায়। শরীরে আঁশগন্ধ নিয়ে ফিরি আর সাবানের
সুগন্ধি ফেনায় সমুদ্র ধুয়ে আরো ডিওড্রেন স্প্রে করতে করতে ফিরে
আসি পুরনো শহর শরীরে। স্নানের কোনো রিপ্লেকা আনি নি এই
জনসমুদ্রে।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন