ঝুরোকবিতা সিরিজ
(১)
দুটো মাথা তিনটে হাত
পাঁচটা পা
একটা অযান্ত্রিক গান
ঘুরপথে অট্টহাস্যে
এখানে কেউ কোনোদিন জীবন
বাজি ধরেনি
বাজি পোড়ায়নি ছিন্নমস্তা
হয়নি
একটা টগর ঝরে টুপ দুটো
কলকে ওড়ে টুপটুপ
ওগো কে তুমি ললিতা
সুন্দরী পাছাভারি
দর্পনে দেখ তোমার মুখ
দর্পনে নয়নতারায়
পদাবলী কীর্তন আজ
অমাবস্যায় সারারাত
(২)
কাঁচুলিতে লাগল এ কেমন
রঙের ফোঁটা
মাথামোটা ছেলেগুলো খুঁজে
পায়নি মন্দিরের ঠিকানা
শনশন হাওয়া বইছে বাসরঘরে
কে তোমার পর কে অপর
নিঝুম সন্ধ্যায় গান গায়
ক্লান্ত পাখিরা
মেয়ের নাম কলাবতী
কাঁঠালিকলা
একটা বাস একবারই আসে
সকালে সন্ধ্যায়
তারারা নগ্ন হয় কমলিনীর
ছাদে
পর্দায় হলুদের ছোপ
মন্দিরে ঘন্টা বাজে ঢং
ঢং এলোমেলো পাতা
(৩)
নাম ধরে ডাকে না কেউ অগা
অগা
ভাতে পড়ল মাছি কোদাল
দিয়ে চাঁচি
চ্যাংরামিরও একটা সীমা
আছে অসহ্য অবেলায়
সেই যে তুমি আমাকে
বলেছিলে আবার দেখা হবে
আমি কোনো সোয়েটার বুনিনি
কাঁসার গেলাসে ঢেকে
রাখিনি পাতকুয়োর জল
বিছানা ডাকছে বিছানা
রাতের বিছানা
সদ্যপাতা বিছানায় কেন যে
এত ইঁদুরের উৎপাত
(৪)
তারপর সে হলো বিবি আমি
সাহেব
গোলাম কোথায় গোলাম
জানেন এখানে আসার কথা
ছিল মধুবালার
আষাঢ় নম্র আষাঢ় স্নিগ্ধ
আষাঢ় বাহুবলী
এই আমি বলে রাখলাম আমার
কথা মিথ্যে হলে আমার নামে
গরুটির নাম ধবলা মহিষের
বাবা মহিষাসুর
গোটা কাৎলামাছ প্রতি
কেজি একশো ষাট বা আশি
গোটা রুই ধ্যুত্তোরি
একশো চল্লিশ
সুক্তোতে কেন যে
লঙ্কাফোঁড়ন দেওয়া হয় না আজও
(৫)
আমি তোমাকে খুব ভালো
করেই চিনি
ওগো নন্দিনী যৌনসঙ্গিনী
বাড়া ভাতে ছাই রূপঙ্কর
ভাই মহালনবিশ
বলটা গড়াতে গড়াতে কখন যে
চোরপকেটে
গভীর জোট বিন্যাস কষকষে
মা-গোল মা-গোল
পাড়াতুতো বোনেরা আর দাদা
বলে ডাকে না কেউ
বাজপাখি উড়ে যায় উড়ে যায়
উড়ে যায়
(৬)
কনেদেখা আলো বরদেখা ভালো
লজ্জিত আজ সব সাধের
পাতাবাহার
ডুব দিলেই হলো ডুব মারা
শিখতে হয় গভীর নিষ্ঠায়
পাতা ঝরার দিন কবে যে
এলো চলেও গেল
এখন কী যে হবে চম্পাকলির
সাতনরী হারের
তৌবা তৌবা একথা বলে কোন্
শূয়োরের বাচ্চা
নরম অতি নরম মাখন নরম
গালে এসে বসে চিতাবাঘ
চানঘর থেকে গড়িয়ে আসে
সাবানের বুদবুদ
শীত বারোমাস
কবিতাগুলো খুবই উচ্চমানের হয়েছে কাজলদা। কিন্তুই এগুলো ঝু্রোকবিতা কেন?
উত্তরমুছুনjhurokobita baromas...
উত্তরমুছুন