কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

০২) উমাপদ কর


কবিতা পারানি - ১৫                                                                                      
আত্মলতার প্রতিটি শাখায় দ্রাক্ষা ফুটিয়া থাকিত
            প্রশাখাগুলিও রস রস ফোঁপানো
                      কব্জি-বেড় বেল-কুঁড়ি
                      নীলকরেরা
            কর হাতে-নাতে উসুল চাইতো           
            নয়তো শুল বরাদ্দ
চাষার নীলে কর কখনই না হইতো নীল
           বরং আরো লাল লাল বেগ্‌নী
লাল নারীসকল আরও লাল লাল,    রক্ত ফুটিয়া করবী...।

আলতো দ্রোহ কখন বা লাল প্রকাশ
             দমনে সেও লাল
          রে নীলকর, সবুজের আভাটুকুও
        আমার বৌ-মাটির এঁটেল      দোঁয়াশ করে দিলি
সেই থেকে আমার ঠাকুরদার ঠাকুরদা, যেতে আসতে
      তার ছেলের ছেলে লাল হতে হতে মোহনলাল বা লালমোহন
আর তাদের ঘর-ঘরনী শুধুই ছোপ ছোপ লাল লাল
আমার কেন যে স্বপ্নে ছবিগুলো নীল হয়ে এলো আজ
     কেন যে নীল করে আওলা বাতাস শুধুই লাল ঝরিয়ে
              লাল ঝরিয়ে লাল ঝরিয়ে বাটিক করল, স্বপ্ন
                      যদি তুবড়ি এমন...।

কবিতা পারানি ১৬  
সাকুল্যে তুলনাহীন শব্দগুলান দীন হীন নতজানু কাতর প্রার্থনায়
            বসাও বসাও ধ্বনিতে ধুনুরীর তুলো
       লেপে তোষকে মিশুকে ভাব দেখাল...।
বেশ-ভালোকে তোয়াজ দেখাল ভালো, ভালোকে কম ভালো
       তুক-তাক লাগল শব্দে, ধ্বনি সংঘর্ষে
খই ফুটছে ভাত ফুটছে অশোক শিমুল ফুটি ফুটি
      অসহ্য অসহ্য বলছে গুবাক
          বসন্ত কি আগাম পথে নামল...!

শীতে আর্তরা সব আগুন আগুন চু-কিৎ-কিৎ
            ছোলা-পোড়ার বয়স বেড়ে বুটপুলি
      নতুন ডিউস পশম মোড়া ঘরেই লাফায়
           দুই হাতে তিন কাঠি যখন বোনে কার্ডিগান
                    গান বেজে বেজে সারা
                           সাড়া বনভোজন ডিসেম্বরে...
সে এক ধ্বনিমাতৃক অধরা পরিসর পানকৌড়ি ডুবে...
      জল ছিল কি ছিল না কেউই বলতে-টলতে পারে না
              তবু জলকে চলা জলকে চলা
                     চলতেই থাকে
                         আর্ত স্বরে
দখিনা বাতাস নিভে নিভে এলো তবু বসন্ত এলো না, আগাম এসেও...।



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন