রেলা-৭
-বাত এক রাত কি... এটা দিয়েই শুরু বুঝলেন, সেই ১৯৬৭’র
কথা, আমি হারু’কে বললাম, দেখ ভাই সবাই যে ভাবে বেচে, সে
ভাবে বেচলে চলবে না... তো হারু যা হয়... হকারি করে তো, ব্যাপারটা বুঝলো না, আমি তখন ওকে বোঝালাম...
আমি প্রায় ইন্টারভিউই নিচ্ছি, আমার সামনে পরিতোষ ভটচায, সাপ্লায়ার!
পরিতোষ কোনো মামুলি সাপ্লায়ার নয়, মঙ্গলাহাট থেকে মাল কিনে মফঃস্বল কি ওড়িশা বা ঝাড়খন্ডের খুচরো বিক্রেতাকে বেচবে, অর্থাৎ যাকে
বলে জেনারেল সাপ্লায়ার, তেমনটা নয় সে।
পরিতোষের কথা আমায় বিনোদ বলে! খড়গপুর টু হাওড়া ডেলি প্যাসেঞ্জারি করার সুবাদে বিনোদের চা আমার এবং আমাদের অপেক্ষাই ছিল, যাকে বলে প্রাত্যহিক অভ্যাস! বিনোদ কামরায় এসেই হাঁক পাড়তো, বাজে চা এসে গেছে, খেয়ে দেখুন, ভালো হলে পয়সা ফেরত! তো ওর এই হট্কে আহ্বানে আমরা আটকে যাই, ডেলি প্যাসেঞ্জারি ভাষায় যাকে বলে চিপকে যাই।
পরিতোষের কথা আমায় বিনোদ বলে! খড়গপুর টু হাওড়া ডেলি প্যাসেঞ্জারি করার সুবাদে বিনোদের চা আমার এবং আমাদের অপেক্ষাই ছিল, যাকে বলে প্রাত্যহিক অভ্যাস! বিনোদ কামরায় এসেই হাঁক পাড়তো, বাজে চা এসে গেছে, খেয়ে দেখুন, ভালো হলে পয়সা ফেরত! তো ওর এই হট্কে আহ্বানে আমরা আটকে যাই, ডেলি প্যাসেঞ্জারি ভাষায় যাকে বলে চিপকে যাই।
বিনোদকে নেহাতই কৌতূহলবশত একদিন জিজ্ঞেস করি, এ রকম একটা
উলটো চা-প্রচার তোমার মাথায় এলো কী করে?
বিনোদ হেসে বলে, দাদা এ আমার কথা নয়, পরিদা’র।
-পরি’দা কে?
এক রোব্বারের অপরাহ্ণে আমি হাওড়ার কাছাকাছি এক গ্রামীণ
মফঃস্বলে লোকাল থেকে নামি। অনেকটা ধানক্ষেতের নিঃসঙ্গতা দূরের অদৃশ্য অব্দি ছড়ানো,
তারপর দিগন্তে টোল ফেলছে এক বিলীয়মান সূর্য... যা হয়, তাকিয়েই ছিলাম... বিনোদ
বললো, দাদা চলুন... সন্ধ্যার পরে পরি’দা একটু ইয়ে নিয়ে বসে, কেউ গেলে পছন্দ করে
না... তো হাঁটা লাগাই... আলতো পুকুর, খয়েরি হাঁস, বিষণ্ন পার্টি অফিস, মাধবীলতা ভিডিও হল, চায়ের স্বরবৃত্তিময় কিন্তু
খেঁকুরে দোকান, মাইকের গান পেরিয়ে আমি সাপ্লায়ার পরিতোষ দাশের ঠেকে হাজির হই। ছোট্ট বাড়ি, টিনের চাল, একটা
আঁশ শ্যাওড়ার গাছ বাড়িটাকে অদ্ভুত ছোঁয়া দিয়েছে... বিনোদ এবার ডাকলো, পরি’দা... পরি’দা...
বছর ষাটের পরিতোষ এখন আমার সামনে চৌকিতে। আমরা কথা শুরু
করে দিয়েছি, আমি একটু আগোছালো ভাবেই আমার
প্রশ্নগুলো ছুঁড়ে দিচ্ছিলাম... পরিতোষ একটু থেমে থেমে, কথা খুঁজতে খুঁজতে আমায়
উত্তর দিচ্ছিল... একটু সাজিয়ে নিলে ওই উত্তরগুলো প্রায় এরকমই হবে!
বাত এক রাত কি
প্রথম শ্লোগান হলো “বাত এক রাত কি”! ১৯৬৭ সাল, তখনো আমি
বিষ্ণুপুরে, হারু যে রকম রোজই আসে সেরকমই এলো আমার কাছে, আমার বন্ধু, হকার! যা হয়,
হকারি ঠিকঠাক হচ্ছে না বলে গাঁইগুঁই করতে
শুরু করলো। কিছুদিন আগে মা’কে হারিয়েছি, মন ভালো ছিল না, হারুর একঘেয়ে
হতাশোক্তি আমায় বিরক্তির চরম সীমায় নিয়ে বলিয়ে নিলো, দ্যাখ হারু, তোকে নতুন
শ্লোগান দিতে হবে, চারদিকে কত শ্লোগান এখন, এই যুগটা শ্লোগানের...। হারু অবাক, না বুঝে
বিরক্ত, বললো, আমার হকারিতে শ্লোগান?
-হ্যাঁ শ্লোগান! তুই তো বাতের মলম বিক্রি করিস, তোকে
একটা চমক দিতে হবে... তুই কামরায় ঢুকেই চেঁচিয়ে উঠবি, “বাত এক রাত কি!” “বাত এক
রাত কি!”
-আরে এতো ফিলিমের নাম... এ দিয়ে আমি করবো?
- ফিলিম দিয়েই তো চমকে দিতে হবে... তুই বলবি “বাত এক রাত
কি”... চেঁচিয়ে কিন্তু... কয়েকবার বলার পরে থামবি... সবাই তোর দিকে তাকিয়ে যখন, মানে
তুই পাগল কিনা এসব ভাবছে যখন, তুই সময় নষ্ট না করে বলবি, “এ বাত সে বাত নয়! এ হলো আমার আপনার জীবনের অভিশাপ বাত... বাতের
ব্যথা... যা আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নেয়... কি
চান আপনি? বাত না মুক্তি? যদি ব্যথাকে রাতের শয্যাসঙ্গী না করতে চান, ব্যবহার করুন
এই মলম, ‘বাতকল্প’...
আমি হারুর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য যা যা বলেছিলাম...
ওই শ্লোগান আর কী... হিট করে গেলো... হারু রাতে এসে দু টাকা হাতে দিয়ে বললো পরি,
কী ডায়লোগ লিখেছিস রে, পুরো হিট...! ব্যাস
সেই শুরু... হারুর কাছে এসব শুনে হকাররা
আসতে শুরু করলো... চা-অলা, ফল বিক্রেতা, খেলনা বেচিয়ে, মনিহারি জিনিস বা রুমালের
বিক্রেতা, সবাই। আমি তাদের মানানসই স্লোগান লিখে দিতে থাকি... জীবন, জীবনই
আমায় এ সব দিয়েছে... এ ভাবেই তো ওটা হলো, ওই যে, “দেখলে হবে খরচা আছে!”...
দেখলে হবে খরচা আছে
আমি সতেরো কি আঠারো বছর বয়সে এখানে আসি, তার আগে
বিষ্ণুপুরে। ওহ সেই সব দিন!
মা চলে যাওয়ার পরে আমাদের বাপ ব্যাটার সংসার। বাবা একটা মন্দিরে
পুজোটুজো করে, আর কিছু যযমানি... খুব গরীব ছিলাম, কিন্তু ব্রাহ্মণ! কোটা ফোটায়
চাকরি পাবো না, তাছাড়া পড়াশোনা ভালো লাগতো না, বাবার সঙ্গে ঘুরতাম... প্রসাদের ফল, মিষ্টি, বাতাসা খেয়ে এ
মন্দির সে মন্দির করে, আর স্কুলের খাতায় নাম ছিল বলে এক আধবার ওমুখো হয়ে দিন
কাটছিল। বাবা আমার ছিল
চরমপন্থি সঞ্চয়ী। কী রকম জানেন... সকালে
আমাদের রুটি হতো, সঙ্গে চিনি... সারাদিন প্রসাদ ট্রসাদ যা পেতাম সাঁটাতাম, রাতে
আবার সেই রুটি। সকালের বাসি রুটি বাবা কাঠের বাক্সে রেখে যেত... ঠান্ডা
পাঁপড় আর কী! ভাবুন বাক্সবন্দী রুটির কী স্বাদ হতে পারে! বাবা পরমানন্দে সেই রটিতে
কামড় লাগিয়ে গুন গুন করতো, পার করো আমারে...! এ রকম বিস্বাদ রসকষ ছাড়া জীবন ছিল আমার...
পুরো মরুভূমি! কিন্তু ধীরে ধীরে মরুভূমিতেও ফুল ফুটলো স্যার।
আমি প্রেমে পড়ে গেলাম। মেয়েটার নাম ছিল চাঁপা। মাইরি বলছি, খরখরে গরমেও চাঁপাকে দেখলে আমার ভেতরে ইয়ে হতো... ইয়ে আর কি... সিটি মারার ইচ্ছে...। কিন্তু ভটচায বামুনের ছেলে হয়ে মারি কী করে বলুন তো? সিটির চেপে যাওয়া খুসখুস নিয়েই আমি চাঁপাকে দেখতাম... চাঁপা স্কুলে যাচ্ছে... চাঁপা পুকুরের দিকে গেলো... চাঁপা মনিহারি দোকানে... চাঁপার গায়ে লাল ফ্রক... চাঁপার চোখে বেলজিয়াম কাচের আয়না... সেখানে আমার প্রতিচ্ছবি...। চাঁপার শরীর তখন উঁচুনিচু হতে আরম্ভ করেছে। আমার রুটি খাওয়া রাতে চাঁপা সেঁধিয়ে গেলো ফুল্কো লুচি আর আলুর দম হয়ে... ঝাল ঝাল... বেসামাল... কী বলবো স্যর... যা হয় আর কী... হয়ে যেত, সামলাতে পারতাম না। কিন্তু চাঁপাকে বলি কী করে? আমার বন্ধু ছিল রঞ্জন... রঞ্জন মৈত্র... কবি...। তো কবিরা তো প্রেমের ইয়ে টিয়ে ভালো বোঝে... তো সেই রঞ্জনকে সব খুলে বললাম। রঞ্জন কিছুক্ষণ আমায় দেখলো, তারপর বললো, নাড়াটা ঠিক কর!
আমি প্রেমে পড়ে গেলাম। মেয়েটার নাম ছিল চাঁপা। মাইরি বলছি, খরখরে গরমেও চাঁপাকে দেখলে আমার ভেতরে ইয়ে হতো... ইয়ে আর কি... সিটি মারার ইচ্ছে...। কিন্তু ভটচায বামুনের ছেলে হয়ে মারি কী করে বলুন তো? সিটির চেপে যাওয়া খুসখুস নিয়েই আমি চাঁপাকে দেখতাম... চাঁপা স্কুলে যাচ্ছে... চাঁপা পুকুরের দিকে গেলো... চাঁপা মনিহারি দোকানে... চাঁপার গায়ে লাল ফ্রক... চাঁপার চোখে বেলজিয়াম কাচের আয়না... সেখানে আমার প্রতিচ্ছবি...। চাঁপার শরীর তখন উঁচুনিচু হতে আরম্ভ করেছে। আমার রুটি খাওয়া রাতে চাঁপা সেঁধিয়ে গেলো ফুল্কো লুচি আর আলুর দম হয়ে... ঝাল ঝাল... বেসামাল... কী বলবো স্যর... যা হয় আর কী... হয়ে যেত, সামলাতে পারতাম না। কিন্তু চাঁপাকে বলি কী করে? আমার বন্ধু ছিল রঞ্জন... রঞ্জন মৈত্র... কবি...। তো কবিরা তো প্রেমের ইয়ে টিয়ে ভালো বোঝে... তো সেই রঞ্জনকে সব খুলে বললাম। রঞ্জন কিছুক্ষণ আমায় দেখলো, তারপর বললো, নাড়াটা ঠিক কর!
এ শালা কবিদের কথা টথা বোঝা যায় না... আমার আবার কি
নড়ছে? নিচের দিকে তাকালাম... নাহ, ঠিকই তো আছে সব... বললাম, কিসের নাড়া রে রঞ্জু?
-তোর পাজামার। গান্ডু, এ রকম ঝুলন্ত
নাড়া নিয়ে চাঁপার কাছে গেলে তোকে প্রথমেই ফুটিয়ে
দেবে। নিজেকে তৈরি কর
পাগলা! একটু স্মার্ট হ... শোন চাঁপা তো প্রায়ই বাজারে আসে কেনাকাটা করতে, ওই সময়ে
যাবি ওর কাছে, একটু সেজেগুজে যাবি কিন্তু!
-সেজেগুজে মানে? বোরোলীন লাগিয়ে?
রঞ্জন চোখ সরু করে তাকালো আমার দিকে, বললো, হ্যাঁ
বোরোলীন লাগিয়ে... সব জায়গায় লাগাবি, ঠিক আছে?
আমি না বুঝেই মাথা নাড়লাম! বললাম, তারপর?
-তারপর আর কি, ওর কাছে যাবি, বলবি চাঁপা কেমন আছো?
-তারপর?
-তারপর বলবি, তোমায় আজ খুব মিষ্টি দেখাচ্ছে...
-তারপর?
-তারপর ও লজ্জা পাবে, তোর দিকে আড় চোখে তাকাবে।
-তাকাবে রঞ্জু? সত্যি বলছিস? আমি তো মরে যাবো রে... তারপর?
-আরে প্রথম দিন এই অব্দি... দেখ না কি হয়... পরে অবস্থা
অনুযায়ী ব্যবস্থা।
পরের দিন, সকাল। আমি বাজারে, আর ওই তো
চাঁপা! ওহ কি লাগছে! রঞ্জন আমার সঙ্গে, বললো, এগিয়ে যা...
আমি এগোলাম, চাঁপা সব্জির দোকানে, চাঁপার গায়ে সকালের
রোদ হেলান দিয়ে আছে। ওর তুঁতে রঙের ফ্রকে
আমার প্রেম কুরুশকাটার কাঁটার কাজ হয়ে ফুল তুলছে আজ...। আমি মনে মনে গেয়েও
উঠলাম, কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে/মন্দ করেছে আমাকে ওই দুটো চোখে...। ওই গাইতে গাইতেই চাঁপার
কাছে পৌঁছে গেলাম। চাঁপা তাকিয়ে আছে সব্জি, তরিতরকারির দিকে। আমি প্রস্তুতি নিলাম... আমার
গলার কাছে সর্দি চলে আসছে, তবু বলতেই হবে আজ, চাঁপা কেমন আছো! আমি বলতে যাবো, ঠিক
সেই মুহূর্তে চাঁপা তাকালো। একেবারে সরাসরি... হয়ে গেলো আমার... আমি চাঁপাকে
আর চাঁপার একেবারে সামনে রাখা মূলো’র দিকে দেখতে দেখতে বলে ফেললাম, চাঁপা...
চাঁপা তাকিয়ে আছে...
আমি বলেই ফেললাম, চাঁপা... ইয়ে মূলো কিনছো?
চাঁপার ভ্রু কুঁচকে গেল, বললো, তাতে তোমার কি?
আমি আরো ঘাবড়ে গিয়ে বললাম, না না কোন্ মূলো কিনছো, রাঙা
না সাদা? আসলে রাঙা মূলোর চেয়ে সাদা মূলোয় বেশি গ্যাস হয়... তো রাঙা কেনাই ভালো...
তাছাড়া মূলোর আরো ইয়ে আছে... হেঃ হেঃ পাঞ্জাবীরা জানো তো কচ কচ করে কাঁচা মূলো
খায়... ভাবো, কাঁচা...
-দুত্তোর! এটা চাঁপা বললো, বলেই হাঁটা দিল অন্যদিকে... আমি
হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। তাকালাম দূরে দাঁড়িয়ে
থাকা রঞ্জনের দিকে, রঞ্জন কিছু একটা জানতে চাইছে। আমি ওর দিকে এগোতে যাবো,
এমন সময় মাস্তান গোছের দুটো ছেলে আমায়
থামালো। একজন বললো, কি রে বামুনের পো, চাঁপাকে খুব দেখছিলিস যে... পছন্দ?
আরেকজন দাঁত কেলিয়ে বললো, গুরু শুধু দেখলে হবে, খরচা
আছে!
রঞ্জনের ভাষায় আমার প্রেমের মূলোৎপাটন আমিই করেছিলাম। তবে আমার ভাঙা মনে কিন্তু ওই লাইনটা থেকে গেলো, গুরু দেখলে
হবে, খরচা আছে... চালিয়ে দিলাম... লোকালে লোকালে সুপারডুপার হিট হয়ে গেলো এটা। আর যা হয়, পসার বেড়ে
গেলো আমার। শুধু ট্রেনের ভেন্ডাররা নয়... বাস, ট্রাক, এমন কি
প্রাইভেট গাড়িতেও আমার লেখা জ্বল জ্বল করে এখন...। কত বলবো আপনাকে – “সুযোগ
পাইনি তাই সৎ”, “দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি”, “আমি সৎ-এরও মা, অসৎ-এরও মা”, “একফুল দো মালি, সকালে লোড বিকেলে
খালি”...
আমি মানুষটাকে দেখছিলাম, সারাজীবন ধরে সখের পায়রা ওড়ানো
একেই বলে, অথচ কেউ জানেই না পরিতোষ ভটচাযকে। আর সেই না জানা নিয়ে কোনো
ক্ষোভও নেই পরিতোষের। আমি বললাম, আপনি এ সব নিয়ে একটা বই লিখুন, সবাই জানুক!
পরিতোষ হেসে বললো, এ সবই তো তাদের... আপনি যাদের জানাতে বলছেন...। আমি ট্রেনে বাসে ঘুরে
বেড়াই, সঙ্গে থাকে পকেট ডায়েরি... মানুষই আমায় এ সব দিয়েছে... এ তাদেরই মুখের
কথা... আমি তো সংকলক মাত্র... নিজের নামে চালাবো কেন?
আমার অনেক কথা জানার ছিল, কিন্তু বিনোদ বেশ কয়েকবার
কানের কাছে মুখ এনে জানিয়েছে, এবার উঠতে হবে... পরি’দার সময় হয়ে গেছে... পাঁইট
নিয়ে বসবে এখন। তো ওঠার আগে বললাম, এই যে ওয়ানলাইনার বা পাঞ্চলাইন বা
শ্লোগান যাই হোক না, এর সবকটার পিছনেই কি “চাঁপা মূলো কিনছো”র মতো গল্প রয়েছে?
-আছে তো... কিন্তু সে সব বলতে গেলে তো রাত কাবার হয়ে
যাবে... আজ থাক... আরেকদিন আসুন... সব বলবো...
আমি উঠে দাঁড়ালাম। বললাম, যাওয়ার আগে আপনার
লেটেস্ট পাঞ্চলাইনটা কি বলা যাবে?
পরিতোষ ভটচায মৃদু হেসে বললেন, মারিও না...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন