চা পর্ব
এক্কা দোক্কা তেক্কা এই পর্যন্ত মনে করতে পারছি ঠিকঠাক
চৌকোটাকে ঠিক কী বলতাম চৌকো না চৌকা!
টেরিটি বাগিয়ে না টেরিটি চড়িয়ে কী যে মাথামুন্ডু...
হাতলের মধ্যে বেশ বাস করে হাতা
চেয়ারের হাতল জামার হাতা
হাতা থাকলেই চামচ অনিবার্য
চামচে চামচা চামোচ
স্ত্রীলিঙ্গে চামচি বুঝি বা
চামুর্চি চা-বাগান কেন যেন মনে হয় পুরুষ পুরুষ...
চামচিকা বা চামচিকে ঠিক পাখি নয় বাদুড়জাতীয়
চা থেকে ঠিক বেরোতে পারছি না সকাল কিংবা বিকেল হাঁটায়
এতক্ষণে সেটা পরিস্কার
চালমুগরার তেল বোধহয় এখন আর পাওয়াই যায় না...
যৎসামান্য
শিবের গীতে লক্ষ্মী পা পূর্ণিমা উঠোনে
হা-হা করে ওঠে গা-গেরাম
এবার রবি মাঠে মারা
জাবর কাটা গরুর মুখে ও বাঁটে দুধ
বকনা বাসন মাজে এঁড়েটা এপাড়া ওপাড়া
সন্ধে নামতে নামতে অমা বর্ষা পায়
তুড়ি এক্কা-দোকায় ম’জে
পিয়ানোর রিড পেরিয়ে আমার পাঁজরে
প্রতিবেশীরা এবার পুজোয় এটাই থিম মেনেছে
মাস্তুলে কেউ একটা হাল দয়িতসম বেঁধেছে
চাষা ও মাঝি ভীষণ অবাক এবং তর্ক
সিনেমায় কেমন খাবে মন্দ নয়
সাইকেল যেতে যেতে বলে যায় এসবই জোচ্চুরি
স্বীকারোক্তি
সিঁড়ির নিচেই ছিল ধাপ্পা
সবাই খুব চীৎকার করছিল — পালিয়ে আয় পালিয়ে আয়
আগুন শনৈ: শনৈ: থেকে শনশন
ছবিটার কাচ এবার হয়তো গলে নামবে
শ্লেষ্মা আর কথা গুলিয়ে যাচ্ছিল
মাকে কেউ আর সহজে আটকে রাখতে পারছিল না
মা নিশ্চয়ই তার মুখাগ্নির কথা ভাবছিল না
আমার পাতলাপারা শরীরটা নিয়েই হয়তো বা
আমাকে দাঁড় করানো হয়েছিল প্রায় দশজনের সামনে
খাঁকি পরে থাকারা খুব হেসে হেসে বার বার জিজ্ঞাসা করছিল —
দেখ্ তো চিনতে পারিস কিনা, দেখ্ তো খচ্চরদের
দশজন হাসির আগুন ছিটোচ্ছিল আমি কি গলে যেতে পারি কাচ কাচ
চিলেকোঠা দিয়ে ফায়ার ব্রিগেড একটা লম্বা নল পাচার করতে তৎপর
বেশ বোঝা যাচ্ছে, হয়তো জল পিপাসার কথা ভেবেই
ওই যে গর্তে পরা বাচ্চাটাকে অক্সিজেন জুগিয়েছিল তারপর কিছু ক্যাডবেরি
আমার জন্যও এরপর হয়তো আসবে খোঁপা বাঁধার মেয়েটি
কাউকেই চিনতে পারিনি, আমি একা নই, কেউই পারেনি
মা রাগবে না জানি, বাবা বলবে — বাঁচা গেল
সবাই চীৎকার করতেই থাকবে বল বল, বলে পালিয়ে আয়
যেন ওরা জানেই না আমার ভীষণ জল পিপাসা গলা বুক এবার সত্যি পুড়ে যাব
এক্কা দোক্কা তেক্কা এই পর্যন্ত মনে করতে পারছি ঠিকঠাক
চৌকোটাকে ঠিক কী বলতাম চৌকো না চৌকা!
টেরিটি বাগিয়ে না টেরিটি চড়িয়ে কী যে মাথামুন্ডু...
হাতলের মধ্যে বেশ বাস করে হাতা
চেয়ারের হাতল জামার হাতা
হাতা থাকলেই চামচ অনিবার্য
চামচে চামচা চামোচ
স্ত্রীলিঙ্গে চামচি বুঝি বা
চামুর্চি চা-বাগান কেন যেন মনে হয় পুরুষ পুরুষ...
চামচিকা বা চামচিকে ঠিক পাখি নয় বাদুড়জাতীয়
চা থেকে ঠিক বেরোতে পারছি না সকাল কিংবা বিকেল হাঁটায়
এতক্ষণে সেটা পরিস্কার
চালমুগরার তেল বোধহয় এখন আর পাওয়াই যায় না...
যৎসামান্য
শিবের গীতে লক্ষ্মী পা পূর্ণিমা উঠোনে
হা-হা করে ওঠে গা-গেরাম
এবার রবি মাঠে মারা
জাবর কাটা গরুর মুখে ও বাঁটে দুধ
বকনা বাসন মাজে এঁড়েটা এপাড়া ওপাড়া
সন্ধে নামতে নামতে অমা বর্ষা পায়
তুড়ি এক্কা-দোকায় ম’জে
পিয়ানোর রিড পেরিয়ে আমার পাঁজরে
প্রতিবেশীরা এবার পুজোয় এটাই থিম মেনেছে
মাস্তুলে কেউ একটা হাল দয়িতসম বেঁধেছে
চাষা ও মাঝি ভীষণ অবাক এবং তর্ক
সিনেমায় কেমন খাবে মন্দ নয়
সাইকেল যেতে যেতে বলে যায় এসবই জোচ্চুরি
স্বীকারোক্তি
সিঁড়ির নিচেই ছিল ধাপ্পা
সবাই খুব চীৎকার করছিল — পালিয়ে আয় পালিয়ে আয়
আগুন শনৈ: শনৈ: থেকে শনশন
ছবিটার কাচ এবার হয়তো গলে নামবে
শ্লেষ্মা আর কথা গুলিয়ে যাচ্ছিল
মাকে কেউ আর সহজে আটকে রাখতে পারছিল না
মা নিশ্চয়ই তার মুখাগ্নির কথা ভাবছিল না
আমার পাতলাপারা শরীরটা নিয়েই হয়তো বা
আমাকে দাঁড় করানো হয়েছিল প্রায় দশজনের সামনে
খাঁকি পরে থাকারা খুব হেসে হেসে বার বার জিজ্ঞাসা করছিল —
দেখ্ তো চিনতে পারিস কিনা, দেখ্ তো খচ্চরদের
দশজন হাসির আগুন ছিটোচ্ছিল আমি কি গলে যেতে পারি কাচ কাচ
চিলেকোঠা দিয়ে ফায়ার ব্রিগেড একটা লম্বা নল পাচার করতে তৎপর
বেশ বোঝা যাচ্ছে, হয়তো জল পিপাসার কথা ভেবেই
ওই যে গর্তে পরা বাচ্চাটাকে অক্সিজেন জুগিয়েছিল তারপর কিছু ক্যাডবেরি
আমার জন্যও এরপর হয়তো আসবে খোঁপা বাঁধার মেয়েটি
কাউকেই চিনতে পারিনি, আমি একা নই, কেউই পারেনি
মা রাগবে না জানি, বাবা বলবে — বাঁচা গেল
সবাই চীৎকার করতেই থাকবে বল বল, বলে পালিয়ে আয়
যেন ওরা জানেই না আমার ভীষণ জল পিপাসা গলা বুক এবার সত্যি পুড়ে যাব
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন