কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

১৬) লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল

বসতি গড়ার সন্ধ্যে

কার সঙ্গে যায় জ্যোত্‍স্না, যতই বসতি গড়ি চাঁদের নিচে
দু’চোখে রাত বুনে ভীষণ গুমোট, সেই সন্ধ্যের আলো
একটু একটু কমতে থাকে একাকী কালপুরুষের শরীর থেকে
ঝিঁ ঝিঁ পথের গ্রন্থগুলোয় প্রদীপ জ্বালায় শুদ্ধপ্রাণের
শীতলতা, জামাকাপড় খুলে গামছা ঝাপটাতে ঝাপটাতে
তাকিয়ে থাকি অন্ধকারে ডুবে যাওয়া পাতা নাড়ার দিকে--
এসো বাতাস জুড়িয়ে দাও সারাদিনের ঘাম
ক্রমাগত কৃষ্ণচূড়ার পাপড়িগুলো ফিসফিস করতে করতে ভাবে কৃষ্ণপক্ষ
মাথার উপর অগুন্তি তারার আলোয় চেপে রাখে নিঃসঙ্গতা
মেঘ মেঘ স্বপ্নগুলো স্বজনবিহীন

আমার এই বসবাস শব্দ শুনে আলপথের কোল বেয়ে
ফিরে যায় জ্যোত্‍স্না সাপ



প্রবাহ

একটা হিজল গাছের প্রচ্ছদে কাঁকন পরা মেয়েরা
জড়িয়ে ধরে মেঘ, তোলপাড় করে শুকনো পাতার নিঃশ্বাস
হারিয়ে যাওয়া বাউল লালমাটি ওড়ায়, একে একে
ফিরে আসে বাতাসের চাঁদ হারানো সুখ, রাধাফুল
ঝোপের আঁধার থেকে চমকে ওঠা ঢেউ মৈথুনের গন্ধ
জন্ম লিখে মরা খিদের মাটির পাতায়--
স্থবির আমি, দাহিত ক্যানভাস নিয়ে শিকড়ে স্পর্শ ঢালি
পুকুরের জলে ঢাকা আকাশটা কেঁপে ওঠে বারবার



ভেজা সলতের কবিতা


আমি কি তোমার বুকে বারুদ ঢিপি ছুঁয়েছি
কখনো, মনে নেই; অথবা তোমার স্রোতে পুঁতেছি
সবুজ মাইলস্টোন, মনে হয় না তাও - তবুও একটা
উদাসীন মাঠ আমার চারদিকে, কুয়াশা বিছিয়ে
রেস্তোরাঁ বানায়, দিনের আলোর আঘাতে
বিবর্ণ ঠোঁটের আলাপে আমাকে শুইয়ে দেয় মাটিতে

দু’হাতে টেনে ধরি আকাশ: ঝোপ খুঁজি সন্ধ্যার প্রশ্রয় অসুখে
তোমার খোলা গোড়ালির কৈশোর সুখে তাকিয়ে থাকি
সরষে মাঠ ঢেউ মধ্যমায়, তুমি সেসময়
শতাব্দীর ফসল তুলে ক্রমশ পার হয়ে যাচ্ছ জলের
নির্জনতায়; আমি ভেজা সলতের বাতাস নিয়ে নাক
ভেজাই, গা ভেজাই, ঈশ্বরীর গা ধোয়া জলে--

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন