রবীন্দ্রনাথের ধর্মভাবনা ও তার বিবর্তন
আলী হোসেন
যদি প্রশ্ন করা হয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধর্ম কী? মনে হয় অনেকেই ঘাবড়ে যাবেন। কেউ বলবেন, তাঁর বাবা যখন ব্রাহ্ম ছিলেন তাহলে তিনি নিশ্চয়ই ব্রাহ্ম। যাঁরা লেখাপড়া জানেন না, তাঁরা বলবেন, কেন! উনি তো হিন্দু ছিলেন। আবার কেউ কেউ তথ্য সহযোগে বলার চেষ্টা করবেন, উনি নাস্তিক ছিলেন। না হলে কেউ বলতে পারেন, ধর্মমোহের চেয়ে নাস্তিকতা অনেক ভালো!১
তাহলে সঠিক উত্তরটা কী? আসলে এর কোনোটাই সঠিক উত্তর নয়। চিন্তাশীল মানুষ সারা জীবন ধরে ভাবে, ভাবতে ভাবতে তার উপলব্ধি বাড়তে থাকে ক্রমশ প্রগতির পথে। জগৎ ও জীবন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একে একে গড়ে তোলে নিত্যনতুন জীবনদর্শন। তাই এ ধরনের মানুষ আজীবন এক এবং অখণ্ড জীবনদর্শনের বার্তা বহন করে না। সময়ের সাথে সাথে পাল্টে যায় তার পথচলার গতিমুখ। মানুষ রবীন্দ্রনাথও তাই পাল্টে ফেলেছেন তাঁর জীবন ও ধর্মদর্শন, সময়ের বয়ে যাওয়াকে অনুসরণ করে।
১৮৬১ সালের ৭ই মে সোমবার রাত্রি ২টা ৩৮ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এর ঠিক ১২ বছর ৯ মাস ১৮ দিনের মাথায় তাঁর প্রথম স্বাক্ষর করা কবিতা ‘অমৃতবাজার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, যা তিনি ‘হিন্দুমেলা’র দশম বার্ষিক অধিবেশনে আবৃত্তি করেন। অর্থাৎ হিন্দুমেলার মতো হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে বাল্যকালেই। সুতরাং হিন্দুধর্ম এবং এই ধর্মকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগসূত্রতা প্রতিষ্ঠা করে তাঁর ধর্মদর্শনের চরিত্র। যদিও এই চরিত্র তাঁর সচেতন মনের অভিব্যক্তি মোটেই নয়, নিশ্চিতভাবে আরোপিত। কিন্তু তাঁর কিশোর মনের উপর যে এই ঘটনা প্রভাব ফেলবে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। বলা যার তার প্রভাবের সুদূর প্রসারী উপস্থিতির কথা। ‘ব্রাহ্মচর্যাশ্রম’এ কায়স্ত শিক্ষক কুঞ্জলাল ঘোষকে ব্রাহ্মণ ছাত্ররা প্রণাম করবে কিনা এ প্রশ্নে অখুশি হয়েও তিনি লেখেন, ‘যাহা হিন্দু সমাজ বিরোধী তাহাকে এ বিদ্যালয়ে স্থান দেওয়া চলিবে না’। এটা ছিল তাঁর ধর্ম চেতনার প্রাথমিক পর্যায়।
আসলে ইউরোপীয় নবজাগরণ, দ্বারকানাথের কর্মযোগ, সৃষ্টিশীলতা, সতর্ক উদ্যম, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞান এবং দেবেন্দ্রনাথের নিরাসক্তি, ঐতিহ্যবোধ, পরিশীলিত সাংস্কৃতিক চেতনার শোণিত ধারায় রবীন্দ্রনাথের জন্ম।২ তাই তাঁর চেতনার বিভিন্ন স্তরে আন্তর্জাতিক মানবতাবাদ, বিজ্ঞান মনস্কতা, সর্বভারতীয় ঐতিহ্য, সষ্টিশীল প্রজ্ঞা, আত্ম চেতনাশ্রয়ী ধর্মবোধ দৃঢ়বদ্ধ ছিল। এই পর্বে দেখতে পাচ্ছি রবীন্দ্রনাথ ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন, তত্ত্ববোধিনী সভা, তত্ত্ববোধিনী পাঠশালা, তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন। এই পর্বে ব্রাহ্মসমাজের ধর্মীয় সংস্কারের পাশাপাশি তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন হিন্দু পুনরুত্থানবাদের এক শক্তিশালী স্রোতকে। তাই এ সময়ের ধর্ম-ভাবনার গতিমুখে কিছুটা বিপরীত স্রোতের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তবে গভীর দৃশ্যটিতে দেখলে বোঝা যায় তাঁর এই চিন্তার গতিমুখ ছিল প্রগতিমুখি। কেননা, যিনি কেশব সেনের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মসমাজের সচিব পদে বসে ব্রহ্ম মন্দির ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করে নিয়মিত উপাসনা করে চলেছেন, তিনিই আবার ধর্মকে সামাজিক ও রাষ্ট্রিক শোষণের অন্যতম অস্ত্র বলে অভিহিত করছেন।
মানুষের জীবনে চল্লিশ বছর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ সময়। মহামানবদের জীবনে তো বটেই। বয়স চল্লিশ পেরোলেই চেতনার মান সর্বোচ্চে পৌঁছায়। মহামানব হজরত মহম্মদ নবুয়ত পেয়েছিলেন চল্লিশ বছর বয়স পার করেই। রবীন্দ্রনাথের জীবনেও এই সময় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯০৫ সালে পিতার মৃত্যুর পরই তাঁর ধর্মভাবনায় আসে আবারও পরিবর্তন যা তাঁর ধর্মভাবনায় বিবর্তনের তৃতীয় পর্যায়। বিপ্লবোত্তর সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া ভ্রমণ রবীন্দ্রনাথের চেতনা প্রবাহে নতুন শক্তি সঞ্চার করে। রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-চেতনার ক্রমবিকাশে রাশিয়া ভ্রমণ কী যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করে, তা তাঁর রাশিয়ার চিঠির পরতে পরতে বিধৃত হয়েছে। এই পর্বেই তিনি লিখেছেন, যে-রাজা প্রজাকে দাস করে রাখতে চায়, সে-রাজার সর্বপ্রধান সহায় হয় সেই ধর্ম, যা মানুষকে অন্ধ করে রাখে। ধর্মমোহের চেয়ে তাই নাস্তিকতা অনেক ভালো। লক্ষ্যণীয়, রবীন্দ্রনাথ তথাকথিত বিশেষ বিশেষ ধর্মের কথার ইঙ্গিত করেছেন।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, তিনি সাধারণ বা বিশেষ কোনো অর্থেই নাস্তিক ছিলেন না, ছিলেন বিশেষ ধর্মে বিশ্বাসী। তিনি নিজেই লিখেছেন, ‘অবশ্য ধর্মমত আমার আছে, কিন্তু কোনো সম্প্রদায় আমার নেই’। আর সে কারণেই তাঁকে ব্রাহ্মও বলা যাবে না। এবারও তাঁর উক্তি, ‘আমি নিজেকে ব্রাহ্ম বলে গণ্যই করিনে’ আমাদের ভাবনাকে সমর্থন করে।
তাহলে কী সেই বিশেষ ধর্ম? তিনি মনে করতেন, ধর্ম হচ্ছে সভ্যতা। মানুষের যা কিছু প্রয়োজনীয় গুণ, যে গুণ সভ্যতাকে নির্মাণ করে, তাকেই তিনি ধর্ম বলে অভিহিত করেছেন। মানুষের এই প্রয়োজনীয় গুণ হচ্ছে মনুষ্যত্ব। তাই ধর্ম তাঁর কাছে আচার-অনুষ্ঠান নয়, প্রচলিত অর্থে যাকে আমরা হিন্দুধর্ম বলি, সে তাও নয়।৩ সে ধর্ম হচ্ছে সেটাই যা --
শ্রদ্ধা করিয়া জ্বালে বুদ্ধির আলো,
শাস্ত্রে মানে না, মানে মানুষের ভালো।
তাই, হিন্দু নয়, ব্রাহ্ম নয়, নয় নাস্তিকও। তিনি হলেন মানব ধর্মের অনন্ত পথ যাত্রী।
------------------------------------------------------------------------
১. রাশিয়ার চিঠি
২. অনুনয় চট্টোপাধ্যায় -– বর্ণ, ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ
৩. কমলেশ সেন -– রবীন্দ্রনাথের মানবধর্ম
৪. পরিশেষ / ধর্মমোহ
যদি প্রশ্ন করা হয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধর্ম কী? মনে হয় অনেকেই ঘাবড়ে যাবেন। কেউ বলবেন, তাঁর বাবা যখন ব্রাহ্ম ছিলেন তাহলে তিনি নিশ্চয়ই ব্রাহ্ম। যাঁরা লেখাপড়া জানেন না, তাঁরা বলবেন, কেন! উনি তো হিন্দু ছিলেন। আবার কেউ কেউ তথ্য সহযোগে বলার চেষ্টা করবেন, উনি নাস্তিক ছিলেন। না হলে কেউ বলতে পারেন, ধর্মমোহের চেয়ে নাস্তিকতা অনেক ভালো!১
তাহলে সঠিক উত্তরটা কী? আসলে এর কোনোটাই সঠিক উত্তর নয়। চিন্তাশীল মানুষ সারা জীবন ধরে ভাবে, ভাবতে ভাবতে তার উপলব্ধি বাড়তে থাকে ক্রমশ প্রগতির পথে। জগৎ ও জীবন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একে একে গড়ে তোলে নিত্যনতুন জীবনদর্শন। তাই এ ধরনের মানুষ আজীবন এক এবং অখণ্ড জীবনদর্শনের বার্তা বহন করে না। সময়ের সাথে সাথে পাল্টে যায় তার পথচলার গতিমুখ। মানুষ রবীন্দ্রনাথও তাই পাল্টে ফেলেছেন তাঁর জীবন ও ধর্মদর্শন, সময়ের বয়ে যাওয়াকে অনুসরণ করে।
১৮৬১ সালের ৭ই মে সোমবার রাত্রি ২টা ৩৮ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এর ঠিক ১২ বছর ৯ মাস ১৮ দিনের মাথায় তাঁর প্রথম স্বাক্ষর করা কবিতা ‘অমৃতবাজার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, যা তিনি ‘হিন্দুমেলা’র দশম বার্ষিক অধিবেশনে আবৃত্তি করেন। অর্থাৎ হিন্দুমেলার মতো হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে বাল্যকালেই। সুতরাং হিন্দুধর্ম এবং এই ধর্মকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগসূত্রতা প্রতিষ্ঠা করে তাঁর ধর্মদর্শনের চরিত্র। যদিও এই চরিত্র তাঁর সচেতন মনের অভিব্যক্তি মোটেই নয়, নিশ্চিতভাবে আরোপিত। কিন্তু তাঁর কিশোর মনের উপর যে এই ঘটনা প্রভাব ফেলবে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। বলা যার তার প্রভাবের সুদূর প্রসারী উপস্থিতির কথা। ‘ব্রাহ্মচর্যাশ্রম’এ কায়স্ত শিক্ষক কুঞ্জলাল ঘোষকে ব্রাহ্মণ ছাত্ররা প্রণাম করবে কিনা এ প্রশ্নে অখুশি হয়েও তিনি লেখেন, ‘যাহা হিন্দু সমাজ বিরোধী তাহাকে এ বিদ্যালয়ে স্থান দেওয়া চলিবে না’। এটা ছিল তাঁর ধর্ম চেতনার প্রাথমিক পর্যায়।
আসলে ইউরোপীয় নবজাগরণ, দ্বারকানাথের কর্মযোগ, সৃষ্টিশীলতা, সতর্ক উদ্যম, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞান এবং দেবেন্দ্রনাথের নিরাসক্তি, ঐতিহ্যবোধ, পরিশীলিত সাংস্কৃতিক চেতনার শোণিত ধারায় রবীন্দ্রনাথের জন্ম।২ তাই তাঁর চেতনার বিভিন্ন স্তরে আন্তর্জাতিক মানবতাবাদ, বিজ্ঞান মনস্কতা, সর্বভারতীয় ঐতিহ্য, সষ্টিশীল প্রজ্ঞা, আত্ম চেতনাশ্রয়ী ধর্মবোধ দৃঢ়বদ্ধ ছিল। এই পর্বে দেখতে পাচ্ছি রবীন্দ্রনাথ ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন, তত্ত্ববোধিনী সভা, তত্ত্ববোধিনী পাঠশালা, তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন। এই পর্বে ব্রাহ্মসমাজের ধর্মীয় সংস্কারের পাশাপাশি তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন হিন্দু পুনরুত্থানবাদের এক শক্তিশালী স্রোতকে। তাই এ সময়ের ধর্ম-ভাবনার গতিমুখে কিছুটা বিপরীত স্রোতের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তবে গভীর দৃশ্যটিতে দেখলে বোঝা যায় তাঁর এই চিন্তার গতিমুখ ছিল প্রগতিমুখি। কেননা, যিনি কেশব সেনের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মসমাজের সচিব পদে বসে ব্রহ্ম মন্দির ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করে নিয়মিত উপাসনা করে চলেছেন, তিনিই আবার ধর্মকে সামাজিক ও রাষ্ট্রিক শোষণের অন্যতম অস্ত্র বলে অভিহিত করছেন।
মানুষের জীবনে চল্লিশ বছর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ সময়। মহামানবদের জীবনে তো বটেই। বয়স চল্লিশ পেরোলেই চেতনার মান সর্বোচ্চে পৌঁছায়। মহামানব হজরত মহম্মদ নবুয়ত পেয়েছিলেন চল্লিশ বছর বয়স পার করেই। রবীন্দ্রনাথের জীবনেও এই সময় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯০৫ সালে পিতার মৃত্যুর পরই তাঁর ধর্মভাবনায় আসে আবারও পরিবর্তন যা তাঁর ধর্মভাবনায় বিবর্তনের তৃতীয় পর্যায়। বিপ্লবোত্তর সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া ভ্রমণ রবীন্দ্রনাথের চেতনা প্রবাহে নতুন শক্তি সঞ্চার করে। রবীন্দ্রনাথের চিন্তা-চেতনার ক্রমবিকাশে রাশিয়া ভ্রমণ কী যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করে, তা তাঁর রাশিয়ার চিঠির পরতে পরতে বিধৃত হয়েছে। এই পর্বেই তিনি লিখেছেন, যে-রাজা প্রজাকে দাস করে রাখতে চায়, সে-রাজার সর্বপ্রধান সহায় হয় সেই ধর্ম, যা মানুষকে অন্ধ করে রাখে। ধর্মমোহের চেয়ে তাই নাস্তিকতা অনেক ভালো। লক্ষ্যণীয়, রবীন্দ্রনাথ তথাকথিত বিশেষ বিশেষ ধর্মের কথার ইঙ্গিত করেছেন।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, তিনি সাধারণ বা বিশেষ কোনো অর্থেই নাস্তিক ছিলেন না, ছিলেন বিশেষ ধর্মে বিশ্বাসী। তিনি নিজেই লিখেছেন, ‘অবশ্য ধর্মমত আমার আছে, কিন্তু কোনো সম্প্রদায় আমার নেই’। আর সে কারণেই তাঁকে ব্রাহ্মও বলা যাবে না। এবারও তাঁর উক্তি, ‘আমি নিজেকে ব্রাহ্ম বলে গণ্যই করিনে’ আমাদের ভাবনাকে সমর্থন করে।
তাহলে কী সেই বিশেষ ধর্ম? তিনি মনে করতেন, ধর্ম হচ্ছে সভ্যতা। মানুষের যা কিছু প্রয়োজনীয় গুণ, যে গুণ সভ্যতাকে নির্মাণ করে, তাকেই তিনি ধর্ম বলে অভিহিত করেছেন। মানুষের এই প্রয়োজনীয় গুণ হচ্ছে মনুষ্যত্ব। তাই ধর্ম তাঁর কাছে আচার-অনুষ্ঠান নয়, প্রচলিত অর্থে যাকে আমরা হিন্দুধর্ম বলি, সে তাও নয়।৩ সে ধর্ম হচ্ছে সেটাই যা --
শ্রদ্ধা করিয়া জ্বালে বুদ্ধির আলো,
শাস্ত্রে মানে না, মানে মানুষের ভালো।
তাই, হিন্দু নয়, ব্রাহ্ম নয়, নয় নাস্তিকও। তিনি হলেন মানব ধর্মের অনন্ত পথ যাত্রী।
------------------------------------------------------------------------
১. রাশিয়ার চিঠি
২. অনুনয় চট্টোপাধ্যায় -– বর্ণ, ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ
৩. কমলেশ সেন -– রবীন্দ্রনাথের মানবধর্ম
৪. পরিশেষ / ধর্মমোহ
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন