রবীন্দ্রনাথ
অনুপম মুখোপাধ্যায়
এই যে একটা গদ্য লিখতে বসলাম, আমার বয়স আর ৩৪ থাকল না, ১৬ হয়ে গেল... পাঠক, এক কিশোরের লেখা পড়ুন।
শীর্ষেন্দুর ‘ঘুণপোকা’ উপন্যাসের সেই চরিত্রটার মতো অবস্থা আমার। সে লোকটা রবীন্দ্রনাথকে তার আস্তিকতার এক নাম করে তুলেছিল, আমি আমার সকল মুগ্ধতা তাঁকে দিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে বসে আছি। এ কি একরকম সর্বনাশ! হতে পারে। সেই ১৫-১৬ বছর বয়স থেকে লোকটাকে খুঁজে চলেছি, নিজের সঙ্গে মেলাতে চেয়েছি কতরকম ভাবে... কত যে লোভ হয়েছিল সেই শান্তিনিকেতনে গিয়ে ওঁর ওই বিরাট জুতোজোড়ায় একবার পা গলাতে, কাচের ঘেরাটোপে ঝুলে থাকা জোব্বাটা গায়ে দিতে, ওই চেয়ারগুলোয় বসে পড়তে একবার চুপিসাড়ে... যদি পারতাম, কে জানে আর হয়তো কবিতা লিখতে পারতাম না, কিংবা... লিখে ফেলতে পারতাম কবিতা।
যে আগ্রহ নিয়ে একদা ‘ছিন্নপত্রাবলী’ পড়েছি, মনে হয় না আর কোনো বই পড়ছি, বা পড়ব। ছাত্রজীবনে পরীক্ষার সকালে একদম না পড়া বইগুলোও ওভাবে পড়িনি। যে কৌতূহলের সঙ্গে পড়েছি প্রশান্তকুমার পালের ‘রবিজীবনী’... শার্লক হোমসকেও পড়িনি, আগাথা ক্রিস্টিকেও না। ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’... বারবার মনে হয়েছে ওই মহিলা কত ভাগ্যবতী! পৃথিবীতে মৈত্রেয়ী দেবী যা পেয়েছেন, আর কেউ পেয়েছেন কি! কিংবা... ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো, রাণু...। রবীন্দ্রনাথ চাইলে হয়তো আমি সমকামীও হয়ে যেতে পারতাম!
‘তবু মনে রেখো...’ স্বকন্ঠে ওঁর ওই গান আমার মোবাইলের রিংটোন। কলার টিউনেও রবিবাবু। কেউ হয়তো স্টাইল স্টেটমেন্ট ভাববেন। সেটা নয়। তবে স্টেটমেন্ট তো অবশ্যই। ওঁর গান... একমাত্র ওঁর ছবির সঙ্গে ওঁর গান মেলে, আর কিছুর সঙ্গে নয় স্বয়ং জীবন ছাড়া।
রবীন্দ্রনাথের অমৃত শুধু নয়, আমি নিজের গরলকেও মিলিয়ে নিতে চাই বারবার ওনার বিষের সঙ্গে। রবিদাদা আমার কালোর কৈফিয়ত। নিজের শয়তানের সাফাই। এটা অবশ্য আপনাদের সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। যদি কখনো আত্মজীবনী লেখার কোনোরকম দুর্যোগ আসে, তখন আর এড়ানো যাবে না।
আর... আমি রবীন্দ্রনাথের হয়ে লিখতে যাবো কেন? উনিই তো আমার হয়ে অনেক কিছু লিখে গেছেন! ভাগ্যিস একটা ‘চতুরঙ্গ’ আমাকে আর লিখতে হবে না! ভাগ্যিস...
এই যে একটা গদ্য লিখতে বসলাম, আমার বয়স আর ৩৪ থাকল না, ১৬ হয়ে গেল... পাঠক, এক কিশোরের লেখা পড়ুন।
শীর্ষেন্দুর ‘ঘুণপোকা’ উপন্যাসের সেই চরিত্রটার মতো অবস্থা আমার। সে লোকটা রবীন্দ্রনাথকে তার আস্তিকতার এক নাম করে তুলেছিল, আমি আমার সকল মুগ্ধতা তাঁকে দিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে বসে আছি। এ কি একরকম সর্বনাশ! হতে পারে। সেই ১৫-১৬ বছর বয়স থেকে লোকটাকে খুঁজে চলেছি, নিজের সঙ্গে মেলাতে চেয়েছি কতরকম ভাবে... কত যে লোভ হয়েছিল সেই শান্তিনিকেতনে গিয়ে ওঁর ওই বিরাট জুতোজোড়ায় একবার পা গলাতে, কাচের ঘেরাটোপে ঝুলে থাকা জোব্বাটা গায়ে দিতে, ওই চেয়ারগুলোয় বসে পড়তে একবার চুপিসাড়ে... যদি পারতাম, কে জানে আর হয়তো কবিতা লিখতে পারতাম না, কিংবা... লিখে ফেলতে পারতাম কবিতা।
যে আগ্রহ নিয়ে একদা ‘ছিন্নপত্রাবলী’ পড়েছি, মনে হয় না আর কোনো বই পড়ছি, বা পড়ব। ছাত্রজীবনে পরীক্ষার সকালে একদম না পড়া বইগুলোও ওভাবে পড়িনি। যে কৌতূহলের সঙ্গে পড়েছি প্রশান্তকুমার পালের ‘রবিজীবনী’... শার্লক হোমসকেও পড়িনি, আগাথা ক্রিস্টিকেও না। ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’... বারবার মনে হয়েছে ওই মহিলা কত ভাগ্যবতী! পৃথিবীতে মৈত্রেয়ী দেবী যা পেয়েছেন, আর কেউ পেয়েছেন কি! কিংবা... ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো, রাণু...। রবীন্দ্রনাথ চাইলে হয়তো আমি সমকামীও হয়ে যেতে পারতাম!
‘তবু মনে রেখো...’ স্বকন্ঠে ওঁর ওই গান আমার মোবাইলের রিংটোন। কলার টিউনেও রবিবাবু। কেউ হয়তো স্টাইল স্টেটমেন্ট ভাববেন। সেটা নয়। তবে স্টেটমেন্ট তো অবশ্যই। ওঁর গান... একমাত্র ওঁর ছবির সঙ্গে ওঁর গান মেলে, আর কিছুর সঙ্গে নয় স্বয়ং জীবন ছাড়া।
রবীন্দ্রনাথের অমৃত শুধু নয়, আমি নিজের গরলকেও মিলিয়ে নিতে চাই বারবার ওনার বিষের সঙ্গে। রবিদাদা আমার কালোর কৈফিয়ত। নিজের শয়তানের সাফাই। এটা অবশ্য আপনাদের সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। যদি কখনো আত্মজীবনী লেখার কোনোরকম দুর্যোগ আসে, তখন আর এড়ানো যাবে না।
আর... আমি রবীন্দ্রনাথের হয়ে লিখতে যাবো কেন? উনিই তো আমার হয়ে অনেক কিছু লিখে গেছেন! ভাগ্যিস একটা ‘চতুরঙ্গ’ আমাকে আর লিখতে হবে না! ভাগ্যিস...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন