কালিমাটি অনলাইন

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

একাদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১২০

মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২

সনৎ বন্দোপাধ্যায়

 

অশোক তাঁতীর হাতেলেখা গদ্যের পান্ডুলিপি 


অশোক তাঁতীর গদ্য


অশোক তাঁতী কেমন গদ্যকার ছিলেন তা নিয়ে বেশি কিছু বলার ক্ষমতা নেই আমার। বেশ কিছু বছর ধরে চিনতাম অশোককে কিন্তু সামনাসামনি দুই চারটের বেশি কথা কখনো হয়নি। তিনি একটু কম কথা বলতেন চিরকালই।  দুর্গাপুরের সাহিত্যচর্চা নিয়ে কথা বলতে এলে অশোক তাঁতীর নাম অবশ্যই উঠে আসবে, কারণ তিনি যেভাবে তাঁর কলম ধরেছিলেন, সবার ক্ষেত্রে সচরাচর তা দেখতে পাওয়া যায় না। প্রবন্ধের জগতে সবাই খুব বেশি কিছু নতুনত্ব নিয়ে লিখতে পারেন না, কিন্তু অশোক রাঢ় বাংলার কল কারখানার বিষয়ের ওপরে  বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। বইটি পড়তেও দিয়েছিলেন আমাদের। সেই বইয়ে যে কয়টি প্রবন্ধ ছিল সবই রাঢ় বাংলার লেখকদের লেখা গল্প ও গদ্যর  ওপরে লেখা। এই কাজটা অশোকের আগে আর কেউ করেছেন বলে আমার  মনে হয় না। মুশকিল হল এসব নিয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা না করলে সবাই ভালো করে জানতে পারবেন না, যতদূর জানি অশোকের লেখা প্রবন্ধের এই বইটার ওপর তেমন আলোকপাত হয়নি এখনও পর্যন্ত। দুর্গাপুরের কেউ কেউ পড়েছেন, কলকাতায়ও খুব বেশি জানাজানি হয়নি। নিজের নিজের নানারকম কর্মব্যস্ততায় বই পড়ারও সময় আজকাল কমই পাওয়া যায়, তবে এও শুনেছি, প্রবন্ধগুলি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পড়াশোনা করেছেন। এটা অবশ্যই আশার কথা। অশোক তাঁতী অণুগল্প ও ছোটগল্পও লিখেছেন, কয়েকটা গল্প শোনার পর মনে হয়েছিল লেখাগুলো আরো বেশি করে ছড়িয়ে পড়া দরকার, অন্তত দুর্গাপুরের বাইরে ছড়ানো উচিত। কলকাতা বইমেলায় বই বিক্রি হয়, অনেকেই বই কিনে নিয়ে যান, পড়েন, কিন্তু লেখার ওপরে আলোচনা হলে একজন লেখকের অনেক উপকার হয় এবং সুবিধাও হয়। ব্যতিক্রমী গল্পকার অশোক তাঁতী নিজের মত করে একটা স্টাইলে লিখতেন। সময়ের সাথে সাথে হয়ত তা আরো জনপ্রিয়  হত। দুর্গাপুর শ্রদ্ধেয় অশোক তাঁতীকে মনে রাখবে।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন