কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২১

পৃথা রায় চৌধুরী

 

কবিতার কালিমাটি ১০৮


অমূলপ্রত্যক্ষ  


আলতো,

তোমায় ছুঁয়ে দিলাম হামেহাল;

হাসছো কেমন

শরাব আমি ছুঁই না মোটে,

আলগা গ্লাসের চুমুক


চুর খেয়াল দেখবে আমি যা দেখাবো তাই

দমবন্ধ লাইন ছোঁয়ায় এক পেয়ালা জিত


নরম,

সেদিন বছর শুরুর ফায়ারপ্লেস

দাগ চক্কর আকার বিকার আঁশ চকচক

নেমে আসে আলতামিরা,

ভেসে আসে, মিডাসের কঠিন ভুখ


নালিশ নালিশ আটকে দেখাও যা বলবো তাই

আটকে যাচ্ছে নালিশ, আমার এক পেয়ালায় জিত।

 

আবছায়াকাল  


সুললিত কৃপাণচারী, গুল্মলতার ছাউনি মাঝে যেসব দেখতে চাওয়ার পরিমিতি,

তার পরিধি স্পর্শ করতে পারেনি তোমার কল্মষ।

নিদেন এক মেঘফোঁটা সুবিন্যস্ত জরিপাড়ের ঘিঞ্জিতে কখনো ধান শিশু অথবা দুধে ধান।


মহামান্য আদালত তন্ন তন্ন করে অভিধানে খুঁজেছে আত্মসুখী সর্বজয়ার মাতৃ সংজ্ঞা।

একে একে পেরিয়ে যাবে কার চোখপর্দায় নতুন বছরের মাসপিছু হীন হীন দিন।


সুপ্রাচীন গাঁটছড়ায় আগামী বেঁধে দিয়েছি আঁক কষে,

সর্বেশ্বর খুঁজে ফেরো, খুঁজে ফেরো মানসিক শিশু।

তামসিক, তোমাদের শরীর ছেড়ে দিয়েছে যাবতীয় নদ নদী

দৃপ্তদৃষ্টি সূর্য ও নারায়ণের নহবতখানা আমারই নামে।


মৃত্যুর বসুন্ধরা ছিলো ঝরে পড়া কাল, চৌচির মুক্তিহীন।

সিদ্ধার্থের যাবতীয় উত্তরের পাড়ায় গেঁথেছি বিজয়নিশান।

বিষাদ চিনি না, বুঝি না কান্নাকেবল অমাদেহের কোলে বসে থাকে আলো।

 

রক্তগন্ধা ক্রুশ   


ছবিরা বয়ে আসে আকন্দখেলা। ক্যামেরায় এখন অক্লান্ত ক্লিক পায় উদ্ভ্রান্ত কোকিল; কে কার বাসায় ডিম রেখে গেছে, হিসেব আঁকতে বসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেয় জারুল আসনে। সঠিক ঠিকানা কেবল রেখেছে যত্নে বায়সের পাখ। দেগে গেছে তিরতিরে উপনদী চোখ।


অহংকারের পায়ে পায়ে জড়িয়ে থাকে নিম বসন্তের আনাগোনা। যে ভাবে খোঁজ পাবে অমরাবতীর, তাকে বলে দিই নিজের ঠিকানা। বেনের জাতের মতো সওদা করি, বাজি ধরে ধরে জিতে যাই... কেড়ে নিই দানব-রাক্ষসের মানুষপনা।


উত্তল ছবিবুকে ধীর অভিমানে ঘুরে ঝরে সুখা বাঁশপাতা দুপুর। মধ্যযুগের ব্ল্যাকডেথ দেখে দেখে বেড়ে যায় শিল্পীর ঝোঁক। গর্ভ সংগ্রহের পরে আঁকা যাবে বনেদী শুক্রাণু।

জুনিপারের পাতার ফাঁকে ফাঁকে লুকিয়ে রাখা সওয়াল জবাব। ফিরে এসো, ফিরে এসো সই, আরও খেলি পুরাকালের শৈশব; ওরা পলাশ দেখে, আমরা দেখি কাগজের ঝিল, কাঞ্চনা গ্রাম, পর্বত, তুন্দ্রা অথবা তৃণভূমি।

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন