কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১৩৭

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / দশম সংখ্যা / ১৩৭

শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

আলী আফজাল খান

 

কবিতার কালিমাটি ১৫২


'ক' হরণ 

সলাজ তোরঙ্গ খুলে বর্শা এঁকে দেওয়া হল ভ্রূক্ষেপণাস্ত্রে… ক্ষেপিণীর ব্রহ্মাণ্ডে পদ্মনাভ নিজ নাভিতে দেয়ালা যাচ্ছেন।

পূর্ণিমার দূরসম্পর্কে আলো হয় এই রাত, যতেক জঙ্গলবালকেরা নিজের শরীরে এঁটে যাচ্ছে তপ্তবোতাম।

মেহগিনীর গায়ে টোকা মারলেই খুলে যাবে কেরাচিনির প্রহর, দারুহেমন্তে।

কিছু বা সটান না দিলে কর্তাঠাকুরের গায়ে ইস্তক জোছনা পিছলে যায়, তীর সমস্ত ব্যর্থ হয়ে আঙুল হাঁটে পড়শি বালুর গায়ে, বস্তা গলে পড়ে আসে ডাকাতিনীর পুরাতন ডাক আর ডাকের সাজোঁয়া…

এমন চমকদমকে গুমখুন নেই, আছে কেবল রাতচরা পাখিদের ছাপ গোয়েন্দা মশাইয়ের ব্যাপক সন্দেহ হয়ে…

ঠাকুরানীর ডাকবাক্স সন্দেশের লোভে দেহ বেচিয়া ফেলে!

 

অত:পর পুঁটুলিবাস্তব।

তিনফলা বিদ্যুৎ আঙুলে দাবিয়া শেষে তুঁষবিদ্ধ হইলেন প্রহরাণী!

চন্দ্রাবলী ভোগবোতামটি কেরদানিতে রাখিয়া তিনি আকুলবাতাস ঠেলিয়া দিলেন চম্পারণ্যে…

পানের বাটা অপার হইল,

আজ মাধুকরীর 'ক' হরণ হইবে!

 

অবয়বী বিসর্জন

বিগত কৌতুকে লস্করী হয়ে আসে পুরানো গলিমহল্লা…

এবং দিকাদিক গন্ধ ওঠে,

সবুজের নাম নিয়ে জলঘেঁষা কিছু

ভেপসে ওঠা রঙ্গ রঙ্গ ধুলোর পাশে…

কবুতর মগজের ইজারা বুঝে থিরিথিরি কাঁপে…

যতেক অভিনয়ের সময় হল বুঝি বা এবার হে,

ইতিহাসের গায়ে রম্য হতে,

ফোটোগ্রাফের গায়ে ডানা

আর, আর নীরবের প্রতি অনন্ত গুটরগু...

মাটির হিয়ান্ত জুড়ে দেবী তৈরি হতে থাকে রোজ ত্রিপলজীবন…

আর এ শহরের বুকে হান্স জেগে ওঠে কেউ,

আগলে কাদাটে দুর্গ ভারী…!

কাদা এন্তার ভাগাভাগি হয়ে যায়।

কে ভাঙবে আগে, হাঁটু ভেঙে

দেবী নাকি কাদার প্রাকার…

শহর ভাঙুক ভেবে কাদাটে নাবিক

ঝগড়ালো হয়

মৃন্ময়লোভী দু এক নিমেষের ঘাটে...

বিসর্জন বড়ো অবয়বী।

 

রিমাইণ্ডার - রুমাইণ্ডার

রোহিণীকালে কিছু স্বল্পতারা…

বৈঠকের মাঝে গ্রহান্তর কিছু চিক নেমে এসেছিল অশালীন সশব্দে,

বাকি জাজিম তার নিজস্ব গ্রীবাগরবিণী,

আর যা সমস্ত হয়,

নক্ষত্র আধো ভেঙে অর্ধস্ফুট অর্ধপ্রণবম

স্বল্প ফুঁড়ে অস্তিত্বে অর্ধরমণ সেরে আধেক রমণী বসে আছে...

ভরা সে বিকট সংসারে হবু পৃথুল পৃথুলিনীর

অচ্যুতম রে মোহনিয়া

নিক্কণে শিশু তুমি অলকায় সুরসুন্দর অলকে-চিকুরে নিভাঁজ আমিই;

রোজ নেমে এসো তুলোটে ধুলোটে,কেমন?

সেইক্ষণ পারে অনন্তযৌবনা থাকলাম আমি অনন্তরভসে,

এ জনমের মতো তোমাকে পেড়ে না ফেলে শান্তি নেই আমার

কৃষ্ণমরমেকৃষ্ণঔরসেকেশবমরতিসার।

 

 

 

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন