প্রতিবেশী সাহিত্য
জাবির হোসেনের কবিতা
(অনুবাদ : মিতা দাশ)
কবি পরিচিতিঃ কবি জাবির হোসেন ৫ জুন ১৯৪৫ সালে বিহারের নালন্দা জেলার নৌনাহি রাজগীর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিয়ে, তিনি ১৯৭৭ সালে মুঙ্গের থেকে বিহার বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রী হন। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে বিহার আইন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। জাবির হোসেন হিন্দি, উর্দু এবং ইংরেজিতে সাহিত্য রচনা করেছেন। তাঁর হিন্দি রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে- দোলা বিবি কা মাজার, অতীত কে চেহরে, এক নদী রেত ভরী। তিনি সাহিত্যসৃষ্টির জন্য অর্জন করেছেন একাডামি পুরস্কার, বিশ্বহিন্দি সম্মান, উর্দুভাষা সম্মান।
শব বাহনে
শব বাহনের
আধখোলা জানলা দিয়ে
একটু
পর্দা সরিয়ে
আমি ভেতরে
উঁকি দিলাম
লম্বা স্ট্রেচারে
চোখ বন্ধ করে
শায়িত
বসন্ত।
অবিশ্বাস্য
জীবিত আছে এখনো কিছু স্বপ্ন
পুরনো দেয়ালে অংকুরিত
ব্যর্থ ঝোপ-ঝাড় এর উপর
জমাট শেওলার মত
শুকনো পাতা
আর ছায়া ঘন গাছের
নুইয়ে থাকা শাখার মত
প্রত্যেক বিকেলে
গলির মোড়ে এসে
একটি যাযাবর শুনিয়ে যায়
বিগত দিনের গল্প
আর জাগিয়ে তোলে
ভবিষ্যতের কিছু
উদাসীন আশা
অবিশ্বাস্য!
তোমাকে আশ্বাস দিতে চাই
তখন আমি আর কবিতা
লিখবো না
গল্পও
লিখতে পারবো না
যখন ওরা আমায়
ক্রুশের দিকে নিয়ে যাবে
আমার মাথার উদ্ধৃতি
রাখবে
আমার জিহ্বা ধারালো করবে
এবং ওরা আমাকে জানা অবস্থায়
একটি গভীর কূপে
ধাক্কা দেবে
তারপর আমি কবিতা
কী করে লিখব
আর গল্পও
এককালে
একটাই কাজ
করতে পারবো
আমি মাথা দেব বা
কলম তুলব!
ইতিহাসের আলখাল্লায় পকেট
দেশের সবচেয়ে বড় সংগ্রহালয়ে
পুরো ভব্যতার সাথে রাখা
ইতিহাসের আলখাল্লায়
ইবনে-বাবুতা হাতড়ে দেখলো
একশোর বেশি রয়েছে
ছোট-বড় পকেট
সত্তা ও সমাজের
পুঁজি ও সংবিধানের পকেট
আইন ও ন্যায়ের
ধর্ম ও সংস্কৃতির পকেট
কিছু ভরা পকেট ও কিছু খালি পকেট
আলখাল্লার
ভেতরের ভাঁজে ভাঁজে
ইবনে বতুতাকে চকিত করে তুলল
সে একটি এমন পকেট দেখল
যার মুখ সেলাই করা
ইবনে বতুতা
পকেটের সেলাই খুলে
ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখলো
এ কী কান্ড
পকেটে
একটি আদিম বন্য বিষাক্ত জীব
ঘুমিয়ে আছে।
ভালো লাগলো অনূদিত কবিতাগুলো।
উত্তরমুছুনছায়া ঘন গাছের নুইয়ে থাকা শাখার মতো !
উত্তরমুছুন