কবিতার কালিমাটি ১০২ |
ক্ষতচিহ্ন ও
ভিসুভিয়াস
(১)
একরাশ
সভ্য কালো ধোঁয়া পাড়ি দিল ওজন স্তরে
আধিপত্য
বিস্তার
তার নতুন
আঁতাত হয়েছে অতি-বেগুনি,
মহাজাগতিকতার
দরজা চিরকালীন বন্ধ
শলা
পরামর্শ
মহাজাগতিক
ডিম্বাণু
পৃথিবীর
সাথে ঠাণ্ডাযুদ্ধ
কিছুটা
অযাচিত বদান্নতা দেখিয়েছে ঋতুরা
তত্ত্বাবধানরত সভ্যতার প্রসবযন্ত্রণা সহ্য করেছিল মহীয়সী
সরস্বতী-বিতস্তা
আজ সব
ধ্বংসস্তূপ—
বৈজ্ঞানিক
চরৈবেতি
বৃষ্টির
সাথে সিঁদুর-খেলা
কথা রাখতে
না পারা
তাই
অভিমানী প্রেমিকার বা বিভাস রাগ
সুনামি হয়ে আছড়ে পড়ছে
আগ্নেয়গিরির
জ্বালামুখে উত্তেজনার ইন্ধন জোগানো
সংখ্যা-তত্ত্ব
তটস্থ
প্রকৃতি কাঠগড়ায় প্রযুক্তিকে রেখে সে চুপিচুপি বলে স্পর্ধা
ত্যাগের বিনয়ী
কথা
(২)
ইতি, তোর
মৃত
তোকে
অনেকদিন চিঠি লিখবো লিখবো করে লেখা হয়নি,
জানা হয়নি
কীভাবে বিভীষিকার সাথে আলো খেলে, জন্ম দেয় উদ্বেল শৈবিক
তোর থেকে
অনেকদিন জানা হয়নি পরজন্মের কথা
মৃত্যুর
পর পৃথিবীতে, কীভাবে ভ্রূণ তার আবক্ষ উন্মোচন করে
জায়মান
মিশে যায় তরলে
শুরু হয়
সহস্র অঘরীর সংকল্প
আর একটা
মানবজন্ম,
তোর থেকে
অনেকদিন জানা হয়নি
এক রৈখিক
মননের যান্ত্রিকতা
কীভাবে
আত্মা স্বপ্ন দেখে মানুষ হওয়ার
প্রকৃতির
অমোঘ নাগরদোলায় ঘুরতে থাকে আত্মমেহনে সাংকেতিকতা জন্ম দেয় এক জীবন বিপ্লবের।
বিন্দু-মাত্রিক
বহুত্ব
আহা!
আমিত্ব নিয়ে শুধু তুমি-আমি ভুগি এরম ভাবার কি আছে? কবীর-ফকির আর বিবেকানন্দ বা
যীশুখ্রিষ্ট এরম কিছু মুষ্টিমেয় হ্যালির ধুমকেতু বাদ দিয়ে আমরা সবাই বড্ড বেশী
আত্ম-সম্মেলনের ভীড়ে ভুলে যাই আমাদের একমাত্র সম্বল পরম শূন্যতাকে, ভুলে যাই ক্ষণিকের
শরীর-যাপনের আগের অঙ্গীকার। কৃত্রিমতার ত্বরণে হারিয়ে ফেলি ঈশ্বর-কণার সাথে দ্রুত
মেশার অভিপ্রায়, রোজ আত্মাদের আঁতুড়ঘরে এভাবেই ভীড় করে কিছু গ্রহ-নক্ষত্র, জন্ম
দেয় আমার-তোমার মতো কিছু মুহূর্তের মরশুমিদের।
আর,
প্রতিনিয়ত প্রতিসরণ ঘটে কিছু ভার্চুয়াল চরিত্রের, একটি অক্ষরেখা অতিক্রম করে জন্ম
দেয় নতুন এক পৃথিবীর, কয়লার খনিতে হারিয়ে যাওয়া কিছু অ্যালকেমিস্ট-এর জীবনী নিয়ে
সূচনা করে আবার এক নতুন মানব-ধরমশালার।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন