কবিতার কালিমাটি ১০২ |
আষাঢ়ে বুলি
* অন্ধ
পালক
খেললে ময়ূর তুমি,
কৃষ্ণ
জানলে না।
** কৃষ্ণা
কীর্তন
সোনার
অঙ্গে কাঁটা রুইছে আষাঢ় অতি ধীরে।
আর পালক
খসছে নীলের ভিতর,
গৌরচাঁদের
ছলে।
জিন
টাঙানো কাচের গায়ে,
পেরেকে
ছেঁড়া ঘুম,
জোহরের
নিশি জানু পেতে রাখে, শিশির পোড়ায় চাঁদের আলজিভ।
কী আসে
যায়?
বাঁশী আজ
কৃষ্ণা ভিলায়।
তোমার
শুধু যমুনা ছিলো,
চিরল
ছায়া, তমাল কিছু,
ননী ছেঁচা
মায়া, শিখী বা গাভি।
সামান্যে
গলে যাওয়া সোহাগিনী কদম।
সাম্রাজ্য
খুবই পানসে এমন।
যজ্ঞ
লাগে, আর
লীলা বা
লালা থেকে ঝরা
অগণিত
দোহাই...
পঞ্চ ভূতের
ধর্ষণ বিনে,
সহস্রবার
বস্ত্র গেলেও কি মিনার জোটে রাই?
*** শোক প্রস্তাব
তোলপাড়
বারিষ এলে চূড়া থেকে কৃষ্ণ ঝরে পড়ে, আর কিছুটা ভারী হয়ে ঘনাতে থাকে রাধা।
এখন ভোঁ কাট্টা
সুতো অথবা জানে বৃক্ষ সকল, ডোবা ছায়াদের চর থেকে আলোর তামাম ডানা, কোকিল যেমত একা।
দালির
ছবির নিচে সাবলীল সরগমে আধ পোড়া সে কাছিমে গাঁথা রুপোর সুইঁ। অশ্ব ও গজ নিখুঁত
সাজালে তস্করেই পায় রাজসূয় আসন,
তুমি
আজকেও জানলে না জিগর বাঈ?
কী হবে এত
ভেবে নাজিল-এ-কুরান!
ভাঙা নথের
শোক প্রস্তাব,
রবিশঙ্করও
কি কখনো বাজান?
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন