রিপ্লাই
রেখে
এলাম তারপর গোলাপচারা।
ভাবলাম ওদের যখন এতই লালের
প্রতি ঝোঁক, থাক না হয় তখন। বড় হোক নিজের মত
করে। বেড়ে উঠুক হাত-পা ছড়িয়ে। লালও আছে, আবার কাঁটাও আছে...
ভেবেছিলাম
এইভাবেই শুরু করব। জোড়াতাপ্পি দিয়ে মোটামুটি কিছু একটা হয়ে যাবে। ঠিক সেই মুহূর্তেই সসম্মানে আমার সামনে হাজির
হল, উত্তর কলকাতার গলি, জোড়াসাঁকোর দালান, অ্যাকাডেমির
চাতাল।
এটাকে
ঠিক ফেরত দেওয়া বলে না। আষ্ঠেপৃষ্ঠে
সব আবিষ্কার, সব বোঝাপড়া কালির মোড়কে করে ছুঁড়ে দেওয়া মাত্র।
বা
অন্যরকম ভাবেও বলা যায় উত্তর;
উত্তর,
সেই চিঠির, সেই কথার। উত্তর বা
অলিখিত ভালোলাগা। এটা অনেকটা ঘুড়ি আর
আকাশের মত। মাঝের সুতোটার সূক্ষ্মতা নিয়ে কেউ কিছু জানে না। তবু আছে...
একটা মোহনার কাছাকাছি এসে দাঁড়ালাম। ভাবলাম ভীষণরকম
ভাবে স্রোত হয়ে যাব। বালি আঁকড়ে ঘর বাঁধবো তাসের।
ফক্কা!
বদলে আছড়ে পড়লো ঢেউ।
তোমার বিশালতার। তোমার গভীরতার।
ওমনি তুমি 'মিউজ' নাম দিয়ে দিলে।
মিউজ...
এটা চ্যাটবক্স হলে, পাশে কয়েকটা ইমোজি বসিয়ে
দিলেই কাম খতম্।
অবশ্যই ভালোবাসা।
কিন্তু এর কোনো ছাদ নেই। এর কোনো ডাইমেনশান্ নেই। এর
কোনো অ্যাক্সিস নেই। স্হান-কাল-পাত্র (পাত্রী) কিছু নেই...
খুঁজবে?
খুঁজো...
ফ্লাইওভারের নীচে বসে থাকা ঠাম্মাটার ভিক্ষার থালায় খুঁজো। রবীন্দ্র সেতুর
তলায়, যেখানে ঘোড়া আর মানুষে এক জায়গায় জল খায়, সেখানেও খুঁজো।
বা খুঁজো না...
রবীন্দ্র রচনাবলীতে বুকমার্ক হিসেবে থাকুক, আমাদের
চায়ে ভেজানো বন্ধুত্ব।
আমি ততক্ষণ ভোর জন্মাতে দেখি।
আর ফোনবুকে তোমার নাম এডিট করি...
'আকাশ'
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন