শিরোনামহীন
(২২)
লাল হলুদ সবুজ পর পর
জ্বলবেই যদি
একসময় না একসময় তো যেতেই পারি
আটকে থাকা্র কোনও মানেই
হয় না
তবু দাঁড়িয়ে থেকে দাঁড়িয়ে থেকে দাঁড়িয়েই আছি
কেউ যে ডাক দিয়েছে তেমন
নয়
কেউ যে কোথাও প্রতীক্ষার পর প্রতীক্ষা টেনে
অসহ্য হয়ে উঠেছে তেমনটাও নয়
তবু যাওয়ার তো একটা চাড় থাকতেই পারতো
লাল ভেঙে এই চলে যাওয়া, ফেলে ফেলে যাওয়া নিয়ম-না-মানা
হলুদে তীব্র গতিতে যাওয়া, অন্য তরঙ্গে ভাসা,
বেছে নেওয়া ভালো
সবুজের জন্য প্রতীক্ষায়
থেকে থেকে তখন আর নড়তেই ইচ্ছে করে না
বাধ্যতামূলক যাওয়ার আগে একবার লাল-হলুদ হয়ে যাক
এ ছাড়াও কত যে রং কত
যে রঙিন আভা
যাওয়াটাকে একটা মাত্রা দিতে চায় আমি যেন জানতেও চাইনি
(২৩)
হাত রাখি গরম চাটুতে, পোড়ে না, কঠিন হয়
মুহূর্তে তুলে এনে জলের মধ্যে ডোবাই, আরও শক্ত
শিয়রের পাশে পাশে রাখি
পাহারা দেয় কনে-দেখা-আলোর শেষ অবধি
খুঁড়ে খুঁড়ে এই হাত
আমাকে পাতাল পর্যন্ত নিয়ে যায়
কোনও ভূমিকা ছাড়াই
এখানেই একরত্তি প্রশ্ন, যদি অনন্ত আকাশে নিয়ে যেত প্রাণপাত
পাতালেশ্বর না করে আকাশেশ্বর যোজন দূরে
দুই-এর ফারাকে তোমরা থির থির কেঁপে যাচ্ছো
আর আমি নিজের অস্তিত্বকে বন্ধক রেখে
শুধুই দুয়ো দিয়ে যাচ্ছি
কঠিন হাতটাকে আর কিছুতেই
তোমাদের সামনে আনছি না
ভেলকি দেখানোর জন্য
(২৭)
খেলাঘর, সে দু-দিনেরই হোক আর বেশি
দিনেরই, খেলনাপাতি কিছুই থাকে না
খেলা বলতে প্রতীক্ষা সহ গা এলিয়ে খাটে শোওয়া
খেলা বলতে ধুলো ঝেড়ে আসবাবে নতুন ফাঁপানো
আর পুরনো তৈজসপত্রে
খোদাই করা পূর্বপুরুষের নাম দেখে নিজেকে মেপে নেওয়া
কোথায় যত্নে রাখি সায়াহ্নের
এই তীরচিহ্নগুলি
ছুড়ি আর নাই ছুড়ি
দেখে রাখি দিক
আর সরে সরে যাওয়া লক্ষ্যবস্তুর
ধুম উদ্গিরণ
খেলাঘরও বদলে যায় বালিঘরে, যখন আঁধার
স্রোত আসে, ছুঁয়ে যায় পা
স্রোত যায়, নিয়ে যায় শূন্যতা
আর আমার ঘুমের পাশে
বসে থাকে বালিঘর,
একা কুম্ভ
এই পর্যন্ত আসা কাকে
উৎসর্গ করি খেলনাপাতিগো
দেখিনি তোমাদের, কল্পনাই যা করেছি
জিজ্ঞাসা করিনি, নাম গোত্র খেলার চাতুরি
এই সূত্রে বলে দাও তোমার
লীলাখেলা তোমারই প্রকৃতি
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন