আলোয় ফেরা
রাতের ভীষণ কাছে পৌঁছে সে জানায় প্রেম ছিলো না আজ সন্ধ্যের আলোয়।
তখন শীতঘুম জমে ছিলো শরীরের আনাচে কানাচে।
তুমি এখন রেট্রোস্পেকটিভ সিনেমা বানাচ্ছো রূপোর আলোয়।
তবুও জানি আর কোনও দিন তুমি ভোরের চোখে চোখ রাখতে পারবে না।
হাজার বছর জঙ্গলে ঘুরে বেড়ালেও আর মহুয়ার মধুস্বাদ মনে থাকবে না।
তুমি যতোই ভ্রমণপিপাসু মুখোশ পরে থাকো,
পিঠের রুকস্যাক ব্যাগের ফাঁক থেকে বেরিয়ে পড়েছে শিকারী মুখোশ।
একদিন আমিও ভুলে যাই তুমি দেখাতে চেয়েছিলে ঈদের আলো,
নক্ষত্র বোনা আকাশ।
নিঃস্ব হতে হতে আমিও এখন জানি চুম্বনের জন্যে লাগে শুধু এক পশলা বৃষ্টি।
কোনও ঈশ্বরের উপস্থিতির দরকার নেই।
যুদ্ধ নয় শান্তি চাই
আমারও এক পুরুষ চাই।
আমি একটি দীর্ঘ কবিতার পংক্তি সাজাবো শুধু তারই জন্যে।
লক্ষ লক্ষ বছর ধরে জমিয়ে রাখা বিদ্রোহী মেঘ
তাকে ছুঁয়ে অঝোর বৃষ্টি হবে।
সে যেন এক মানুষের মতো মানুষ,
স্নিগ্ধ কুয়াশা কিংবা কালবৈশাখী
একই বুকে পুষে রাখে।
কারা যেন শিশুপার্কে যুদ্ধের ট্রেঞ্চ কাটছে,
ফুলের বাহু ভেঙে দিতে উদ্যত।
নীল সরিয়ে আকাশটাকে বারুদে ধূসর করতে চায়।
আমার পুরুষ একটি দৃপ্ত শান্তির কবিতা সাজাবে।
পাখির বাসায় আন্তনীয় গ্রামসির প্রিজন নোট গুছিয়ে রাখবে।
যুদ্ধ দ্বিপ্রহরকে বৃষ্টিতে ধুয়ে ধুয়ে
লিখবে শিশু প্রহরের কথা।
আরশীতে লুকোবে সবুজ মাঠের ছায়া,
আত্রেয়ীর ঢেউ,
স্কুলপথে ছড়িয়ে দেবে কৃষ্ণচূড়ার আভা।
সে হবে আমার পুরুষ।
যুদ্ধহীন পৃথিবীর—
|
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন