কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০১৯

সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়




জোনাকি
 
প্রাচীন
 বনবাংলোর কালো দরজায়
কে
 যেন লিখে দিয়ে গেছে -
"ফির
 তেরি কাহানী ইয়াদ আয়ি"
ভেতরে
 কি কেউ আছে ?
কেউ
 নেই , শুধু হাওয়া
আর
 কবেকার বাদুড়ের ঝাঁক
কেউ
 ছিল, কোনোদিন, কেউ ছিল
রামধনু
 হাসি নিয়ে কোনোদিন কেউ ছিল নাকি
কেউ
 নেই, কেউ নেই
বনপথে
 জ্বলে নেভে অধরা জোনাকি...
 

রাত্রির বাস-স্টপে

রাতের
 বাস-স্টপে যে ছেলেটি দাঁড়িয়ে রয়েছে একা,
তার
 কি কোথাও ফেরার নেই?
বাড়ি
 ফিরে, টিভি ছাড়া, তার কি কেউ নেই যাকে ভালোবাসা যায়
নাকি,
 ঘর বলে কিছু নেই, চরাচরে শুধু এক ডুবে যাওয়া জাহাজ?
খুচরো
 মাতাল আর ক্লান্ত পথগণিকারা হেঁটে যায় আলোর সন্ধানে,
মালবাহী
 ট্রাক থামিয়ে রঙ্গ করে ট্র্যাফিক-পুলিশ
বন্ধ
 বাস-গুমটির পাশে, রাতের নির্জন বাস-স্টপে
যে
 ছেলেটি দাঁড়িয়ে রয়েছে বহুকাল ,
তার
 মুখ, চেনা চেনা লাগে -
ম্যানেকুইনের
 ভিড়ে তাকে আমি দেখেছি, রুমাল ওড়াতে
 
অদ্ভুত
 রুমাল এক - গায়ে তার রক্তের ছোপ ছোপ দাগ,
রাত্রির
 বাস-স্টপে সময়ের হাওয়াগান গেয়ে ওঠে ভূতুড়ে কুকুর।


অকিঞ্চিৎ
 
আমাকে
 খুন করেছিলে একদিন -
তারাবৃষ্টির
 দেশে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
 কথা আজ বড় অকিঞ্চিৎ মনে হয়...
 
সারি
 সারি পপলার গাছের তলায়
একদিন
 দেখা হবে ঠিক
পাহাড়ি
 ফুলের পথে মিশে যাবে আঙুলে আঙুল
কে
 যে কাকে খুন করেছিল পুরোনো হাসির মধ্যে মিলিয়ে যাবে সব
একদিন
 মনে হবে খুনিরও কান্না থাকে, থাকে কিছু কথা
ইথারে
 ইথারে জমা হয়, মনে হয়
বিস্মৃতির
 উপত্যকায় একদিন এইভাবে দেবতা হয়ে যাবো
 
পাইন
 আর পপলারে, মেঘ-হাওয়া-জলে
পরিষেবা
 সীমার বাইরে
লেখা
 হবে শান্ত বোঝাপড়া...


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন